ঢাকা,  রোববার
০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪

The Daily Messenger

আশ্রয়ণ প্রকল্পে ঘর দেয়ার নামে ঘুষ নেয়ার অভিযোগ

বরগুনা প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ২২:৪০, ৮ জুলাই ২০২৪

আশ্রয়ণ প্রকল্পে ঘর দেয়ার নামে ঘুষ নেয়ার অভিযোগ

ছবি : মেসেঞ্জার

বরগুনার তালতলী উপজেলায় সরকারি আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘর পাইয়ে দেওয়ার কথা বলে অসহায় পরিবার গুলোর কাছ থেকে ২৫ হাজার টাকা করে ঘুষ নেয়ার অভিযোগ উঠেছে ভুক্তভোগী পরিবারের।

'আশ্রয়ণের অধিকার, শেখ হাসিনার উপহার স্লোগানকে সামনে রেখে বরগুনার তালতলী উপজেলার পঁচাকোড়ালিয়া ইউনিয়নে প্রধানমন্ত্রীর উপহার হিসেবে দ্বিতীয় ধাপের (গুচ্ছ গ্রামের) ১৮টি ঘরের নির্মাণ কাজ চলছে।

আমতলী উপজেলার আরপাঙ্গাশিয়া ইউনিয়নের চরকগছিয়া গ্রামের রশিদ গাজীর ছেলে আলমগীর মানিক মোল্লার ছেলে রুবেল মোল্লাকে ঘর পাইয়ে দেয়ার কথা বলে ঘর প্রতি ২৫ হাজার টাকা করে চুক্তি করে নগদ অগ্রীম ১১ হাজার টাকা করে নিয়েছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

এমনকি ঘরের নির্মাণ কাজ শুরু হওয়ার আগেই ঘুষ বাণিজ্যের অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় এক ইউপি সদস্য স্থানীয় ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতির বিরুদ্ধে। অভিযুক্ত এই ইউপি সদস্য বরগুনার তালতলী উপজেলার পঁচাকোড়ালিয়া ইউনিয়নের নম্বর ওয়ার্ডের চান্দখালী গ্রামের মো. ইব্রাহিম খান অপরজন আমতলী উপজেলার আরপাঙ্গাশিয়া নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি আইয়ুব মোল্লা।

এ বিষয়ে ভুক্তভোগী রুবেল বলেন, এক দেড়মাস আগে আমার কাছে ইব্রাহিম মেম্বার আইয়ুব মোল্লা ঘর দেয়ার কথা বলে ২৫ হাজার টাকা চেয়েছিলো। আমি আমার মা রাজিয়া বেগমের সাথে কথা বলতে বলছি। তারপর তারা মায়ের কাছ থেকে নগদ ১১ হাজার টাকা নিয়েছেন বাকী ১৪ হাজার টাকা জোগার করে দিবো।

ভুক্তভোগী রুবেল মোল্লার মা রাজিয়া বেগম বলেন, আমি অসহায়,আমার  থাকার মতো কোনো ঘর নেই। স্থানীয় চরকগাছিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ছাত্র হোস্টেলে রান্না করি এবং সেখানেই থাকি। আমার ছেলের নামে একটা ঘর দিলে আমরা সবাই থাকতে পারবো।

সে জন্য ইব্রাহিম মেম্বার আইয়ুব মোল্লার কাছে টাকা দিতে বলেছে। তাও সব দিতে পারিনাই। আমি আলমগীর ১১ হাজার করে দুইটা ঘরের জন্য ২২ হাজার টাকা দিয়েছি। বাকি ১৪ হাজার টাকা করে দুই জনে ২৮ হাজার টাকা জোগার করে পরে দিবো।

এ বিষয়ে ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি আইয়ুব মোল্লা বলেন, এক দেড় মাস আগে কাগজপত্র আমার কাছে দিয়েছে তারা টাকা পয়সার বিষয়ে সে কোন মন্তব্য করতে রাজি হননি।

অভিযুক্ত ইউপি সদস্য ইব্রাহিম খান ঘুষ নেওয়ার বিষয়ে অস্বীকার করে বলেন, আমি কারো কাছ থেকে কোন টাকা পয়সা নেইনি।

বিষয় তালতলী উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) সিফাত আনোয়ার তুমপা বলেন, এ বিষয়ে এখন পর্যন্ত আমি কোন অভিযোগ পাইনি। প্রধানমন্ত্রীর উপহার গুচ্ছ গ্রামের ঘর দিয়ে কেউ টাকা নিতে পারবে না। খোঁজখবর নিয়ে আমি আইনগত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।

মেসেঞ্জার/হিমাদ্রি/আপেল

×
Nagad