ছবি : মেসেঞ্জার
রাজশাহীর পুঠিয়ায় চুরি হওয়া বিদ্যুতের মিটার ফেরত দিতে চিরকুটে মোবাইল নম্বর লিখে রেখে যায় চোর চক্র। চিরকুটে ‘চুরি যাওয়া মিটার ফেরত পেতে ফোন করুন’ লেখা থাকছে।
চিরকুটের মোবাইল নম্বরে ফোন করলে বিকাশ নম্বরে টাকা চাওয়া হয়। টাকা পাঠানোর পর মিটার কোথায় পাওয়া যাবে, তা বলে দেওয়া হচ্ছে।
জানা গেছে, গত বুধবার (১০ জুলাই) রাতে পুঠিয়ার বানেশ্বর ও বেলপুকুর ইউনিয়ন এলাকা থেকে ১১টি মিটার চুরি হয়। পরে মিটারের স্থানে গিয়ে ভুক্তভোগীরা একটি ছোট্ট চিরকুট পান।
চিরকুটে একটি ফোন নাম্বার দেওয়া এবং লেখা রয়েছে, মিটারের জন্যই যোগাযোগ করুন। পরে মিটারের জন্য যোগাযোগ করা হলে বিকাশের মাধ্যমে ছয় হাজার টাকা দাবি করা হয়। ৬ হাজার টাকা পরিশোধ করলে মিটার পাওয়া যাবে বলে জানিয়ে দেওয়া হয়। বানেশ্বর ও বেলপুকুর থেকে এভাবে প্রায় ১১ টি মিটার এক রাতেই চুরির ঘটনা ঘটে।
ভুক্তভোগী মিটার মালিক আয়নাল হোসেন বলেন, সকালে মিলে গিয়ে দেখি মিটার নেই। পরে সেখানে একটি চিরকুট দেখতে পান। ঐ চিরকুটে লেখা মোবাইল নম্বরে যোগাযোগ করলে মিটার ফেরত পেতে ঐ নম্বরে ৬ হাজার টাকা বিকাশ করতে বলা হয়।
বাধ্য হয়ে ঐ নম্বরে ৬ হাজার টাকা বিকাশ করলে মিলের পাশের জঙ্গলে মিটার খুঁজতে বলা হয়। পরে জঙ্গলে মিটারটি পাওয়া যায়। এরপর ঐ মোবাইল নম্বর বন্ধ দেখায়। তিনি পুঠিয়া থানায় অভিযোগ করবেন বলে জানান।
স্থানীয় আলাউদ্দিন হোসেন বলেন, শুনেছি অনেক জনের মিটার চুরি হয়েছে। টাকার বিনিময়ে মিটার ফেরত দেয়ার জন্য মোবাইল নাম্বারও রেখে গেছে। আমার বেলাও ঠিক এমনটাই ঘটেছে। যখন জানতে পারি টাকা পরিশোধ করার পরে আশেপাশে মিটার পাওয়া যাচ্ছে।
তখন আমি কিছু লোকজন নিয়ে আমার মিলের আশেপাশে খোঁজাখুঁজি করার পরে আমার মিটারটি খুঁজে পাই। আমার মত এভাবে অনেক জনই মিটার তাদের ফেরত পেয়েছে। কিন্তু প্রথম অবস্থায় যারা ফোন করেছে তাদের থেকে মিটার প্রতি ৬ হাজার করে টাকা নিয়েছে চোরচক্র।
এ ব্যাপারে নাটোর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-১ এর অধীনে পুঠিয়া জোনাল অফিসের এ জি এম বলেন, এ বিষয়ে আমরা শুনেছি, আমরা গ্রাহকদের পরামর্শ দিয়েছি পুলিশ ও র্যাবের কাছে এ বিষয়ে অভিযোগ দায়ের করার জন্য। তিনি আরও বলেন, চোরচক্র এই কাজগুলো করছে, সবাইকে একটু সজাগ থাকার পরামর্শ দেন তিনি।
পুঠিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সাইদুর রহমান বলেন, এ বিষয়ে আমার কাছে এখনো কেউ কোন অভিযোগ নিয়ে আসেনি। যদি কেউ অভিযোগ নিয়ে আসলে তদন্ত করে দেখা হবে।
মেসেঞ্জার/আনিসুজ্জামান/আপেল