ছবি : মেসেঞ্জার
ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেছেন, আইটিতে দক্ষ জনশক্তি হিসেবে গড়ে তোলার লক্ষ্যে আইটি ট্রেনিং সেন্টার নির্মাণ করা হচ্ছে। সে লক্ষ্যে দেবীগঞ্জে শেখ কামাল আইটি ট্রেনিং ও ইনকিউবেশন সেন্টার নির্মিত হচ্ছে।
এটি পঞ্চগড়বাসীর জন্য প্রধানমন্ত্রীর এক অনন্য উপহার। এতে একদিকে যেমন বেকারত্ব দূর হবে, একই সাথে তথ্যপ্রযুক্তিতে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন বৃদ্ধি পাবে।
শনিবার (১৩ জুলাই) দুপুরে পঞ্চগড়ের দেবীগঞ্জ উপজেলা সদরে শেখ কামাল আইটি ট্রেনিং এন্ড ইনকিউবেশন সেন্টারের ভিত্তি স্থাপন উপলক্ষ্যে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, সরকার ইন্টারনেট সেবার দাম কমিয়েছে। পঁচাশি হাজার টাকার প্রতি এমবিপিএস ইন্টারনেট মাত্র ৬০ টাকায় আনা হয়েছে। এজন্য দেশের নিম্নবিত্ত, মধ্যবিত্তসহ সাধারণ মানুষ ইন্টারনেট ব্যবহার করছেন।
এই ইন্টারনেট শক্তি ও তারুণ্য মেধার শক্তি কাজে লাগিয়ে সারাদেশে লার্নিং আর্নিং সহ বিভিন্ন প্রকল্পের মাধ্যমে দক্ষ হয়ে পঞ্চগড়ের দেবীগঞ্জ সহ প্রত্যন্ত এলাকা থেকে এই জনশক্তি বিশ্বের বিভিন্ন মার্কেট প্লেসে কাজ করছে।
তিনি আরো বলেন, সহজ ইন্টারনেট সুবিধার কারণে করোনাকালীন দুই বছরে ভার্চুয়াল পদ্ধতিতে প্রায় চার লাখ বিচারিক শুনানি করা হয়েছে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী এক হাজার ছয়শটি ভার্চুয়াল সভা করে দাপ্তরিক ও রাজনৈতিক কর্মকান্ড চালু রেখেছিলেন। এখন পেপারলেস স্মার্ট সার্ভিস স্মার্ট বাংলাদেশের প্রধান লক্ষ্য।
ভিত্তিপ্রস্তর অনুষ্ঠানে জেলা প্রশাসক মো. জহুরুল ইসলামমের সভাপতিত্বে পঞ্চগড়-২ আসনের সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট নূরুল ইসলাম সুজন, বাংলাদেশ হাই-টেক পার্ক কর্তৃপক্ষের ব্যবস্থাপনা পরিচালক জিএসএম জাফরুল্লাহ বক্তব্য রাখেন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন প্রকল্প পরিচালক আতিকুল ইসলাম, পুলিশ সুপার এস এম সিরাজুল হুদা সহ প্রশাসনের কর্মকর্তা, জনপ্রতিনিধি, আওয়ামী লীগ নেতাকর্মী ও শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।
উপজেলা সদরে তিন একর জমিতে ৫৯ কোটি ৬৭ লক্ষ ৭০ হাজার ৩৮৪ টাকা ব্যয়ে সাত তলা বিশিষ্ট শেখ কামাল আইটি ট্রেনিং ও ইনকিউবেশন সেন্টার নির্মিত হচ্ছে। ২০২৬ সালের সেপ্টেম্বর মাসের মধ্যে এর নির্মাণ কাজ শেষ হওয়ার কথা রয়েছে। ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রালয়ের অধীন বাংলাদেশ হাইটেক পার্ক কর্তৃপক্ষ প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে।
মেসেঞ্জার/আপেল
