ছবি : মেসেঞ্জার
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইলে মো: মুজিবুর মিয়া ও আলী রহমান নামে দুই ব্যক্তির বিরুদ্ধে জোরপূর্বক জায়গা দখল ও অসামাজিক কার্যক্রম করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য গত ১ জুলাই ২০২৪ইং তারিখ সরাইল উপজেলা নির্বাহী অফিসারের বরাবর ভুক্তভোগী ৩০ জন গ্রামবাসী স্বাক্ষরিত লিখিত আবেদন করেছে। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার নোয়াগাঁও ইউনিয়নের কানিউচ্চ গুচ্ছ গ্রামে।
লিখিত অভিযোগ ও ভুক্তভোগী সূত্রে জানা যায়, ৪/৯/১৯৯০ ইং সনে তৎকালীন সরকার মানবিক উদ্দ্যোগ হিসেবে সরাইল থানাধীন নোয়াগাঁও ইউনিয়নের কানিউচ্চ গুচ্ছ গ্রামের ৪০টি হতদরিদ্র ভূমিহীন পরিবারের প্রত্যেককে ৪.৭৫ শতক ভূমিসহ ঘর নির্মাণ ও বাড়ীর আঙ্গিনায় সম্মিলিত ভাবে চাষাবাদের জন্য প্রায় ১২০ শতক পুকুর দান করেন। তার পর হইতে সুবিধাভোগী অভিযোগকারীগন শান্তিপূর্ন ভাবে পারস্পরিক সোহার্দ্যপূর্ন অবস্থায় বসবাস করিয়া আসিতেছেন।
এমতাবস্থায় অভিযুক্ত নোয়াগাঁও গ্রামের কানিউচ্চ গুচ্ছ এলাকার বাসিন্দা মোঃ মুজিবুর মিয়া (৪৫) পিতা- মৃত সাহিদ মিয়া। (২) এবং আলি রহমান (৪০) পিতা- মৃত জয়ধর আলি বিভিন্ন ধরনের সন্ত্রাসী ও অপরাধ মূলক কার্যক্রম চালিয়ে আসিতেছে এবং ভুক্তভোগী অভিযোগকারী হত দরিদ্র মানুষগুলোকে একেবারে অতিষ্ট করে রেখেছে।
বর্তমানে মুজিবর মিয়ার ৩ ভাই এর মধ্যে ১ ভাই বিদেশ থাকে এবং আর্থিক ভাবে অনেক স্বচ্ছল থাকায় এলাকার নিরীহ মানুষদের মধ্যে বিভিন্ন রেসা রেসি তৈরী করে সন্ত্রাসী কার্যক্রম চালিয়ে জোরপূর্বক ২৫ শতক জায়গা দখল করে নিয়ে ভোগ দখল করছে এবং অনেককে জোর করে মারধর করে বিভিন্ন মামলা মোকদ্দমার ভয় দেখিয়ে অনেক পরিবারকে বাড়ি ঘর ছাড়া করেছে।
অভিযুক্ত মুজিবর মিয়া সহযোগী হিসেবে আলী রহমান নামে তাহার এক আত্মীর সহযোগিতায় এসব অনৈতিক কর্মকান্ড চালিয়ে যাচ্ছে। আলি রহমানকে সাথে নিয়ে মুজিবুর মিয়া এলাকায় মাদক ও নারী গঠিত বিভিন্ন কু কর্মের সাথে জড়িত। তাদের বাড়িতে বিভিন্ন গ্রামের মাদকাসক্ত লোকজন আসা যাওয়া করে। তাদের কে কোন ধরনের বাঁধা দিলে অভিযোগকারীদের মারধর করে।
মোঃ রফিক মিয়া নামে স্থানীয় এক এলাকাবাসী গত ১৩/০১/২০২২ ইং সালে বিএস খতিয়ান নং ৩০৫৮ দাগ নং সাবেক ৫৩০, ৬০৭৮ বর্তমানে দাগ নং হালে ১৬১৪৮ দাগে ১৩ শতক এবং সাবেক ৬০৭৮ হালে ১৬১৪৯ দাগে ২১ শতক মোট ৩৪ শতক নাল জমি ধীরেন্দ্র কুমার দাস নামে এক ব্যক্তির কাছ থেকে ক্রয় করেন। কিন্তু এলাকার চিহ্নিত ভূমি দুস্যু মুজিবুর মিয়া অসৎ উদ্দেশ্যে উক্ত জায়গা নিজের দাবি করে ক্রয় সূত্রে জায়গার মালিক রফিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা দায়ের করে। বিজ্ঞ আদালত উভয় পক্ষের কাগজ পত্র যাচাই-বাছাই করে উক্ত মামলা খারিজ করে দেয়। পরবর্তীতে মুজিবুর ফের উক্ত জায়গা দখলে রাখার পাঁয়তারা চালিয়ে যাচ্ছে।
এমতাবস্তায় কাগজ পত্র যাচাই বাছাই প্রকৃত সত্য বের করে অবৈধ ভূমি ব্যবহার ও অসামাজিক কার্যক্রমের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহনের দাবি জানিয়েছেন ভুক্তভোগীরা।
অভিযুক্ত মুজিবুর মিয়া বলেন, আমার বিরুদ্ধে অভিযোগটি সম্পূর্ণ মিথ্যা। আমি কারো সাথে ঝগড়া বিবাদ করছি না এবং করতে রাজি না। পুকুরের মধ্যে একটি জায়গা নিয়ে আমি আদালতে মামলা করে রেখেছি। আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী যা হবে তাই মেনে নিব।
এ বিষয়ে সরাইল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইউএনও মোহাম্মদ মেজবাহ উল আলম ভূঁইয়া বলেন, আবেদন দেখে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
মেসেঞ্জার/রিমন/মুমু
