ঢাকা,  শুক্রবার
১৮ অক্টোবর ২০২৪

The Daily Messenger

এলজিআরডির নতুন রাস্তায় পাল্টে গেছে গ্রামীণ জনপদ

নোয়াখালী প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ১৭:১৯, ১৪ জুলাই ২০২৪

আপডেট: ১৮:২৯, ১৪ জুলাই ২০২৪

এলজিআরডির নতুন রাস্তায় পাল্টে গেছে গ্রামীণ জনপদ

ছবি : মেসেঞ্জার

গ্রামীণ জনপদ মানুষ নতুন পাকা রাস্তা দিয়ে অতি অল্প সময়ে শহরে কিংবা গন্তব্যে পৌঁছে যাচ্ছে। ফলে জীবনে স্বস্তি ফিরে আসছে সঙ্গে অর্থনৈতিকভাবে অনেকে সাফল্য লাভ করেছে।

কয়েক বছরে নোয়াখালী জেলার নয়টি উপজেলা এলজিআরডি  প্রায় ৫০০ নতুন রাস্তা করায় জনজীবন জনজীবনে ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে ফিরেছে অর্থনীতিতে উন্নয়ন আর প্রান্তীক কৃষকদের উৎপাদিত ফসল দ্রুত পৌঁছে যাচ্ছে নিকটস্থ শহরে।

সূএ জানায়, পাঁচ বছরে নোয়াখালী জেলার এলজিআরডি একই সাথে কিলোমিটার ২৫০ কিলোমিটার সংস্কার করায় যোগাযোগে গতি ফিরেছে। নোয়াখালী এলজিডি আরডি নির্বাহী পরিচালক এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন এলজি আর ডি জেলার বিভিন্ন উপজেলায় বিশেষ করে উপকূলীয় স্থানে ৩৫ টি সাইক্লোন সেন্টার, ৯ টা মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স, ৯ টি ভূমি  অফিস ভবন, সামাজিক অবকাঠামো আওতায় মসজিদ, মন্দির, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নির্মাণ করায় মানুষের জীবনে ব্যাপক উন্নয়ন হচ্ছে। 

এক প্রশ্নের জবাবে এলজিআরডি প্রকৌশলী মোঃ আজহারুল ইসলাম দি মেসেঞ্জার কে জানান, ৫ বছরে গ্রামীন পর্যায় পাশাপাশি আমরা আধুনিক ভবন তৈরি করেছি। 

তিনি বলেন, যেখানে ইটেন্ডার মাধ্যমে দরপএ প্রদান এবং গ্রহণ করা হয় কোন অনিয়ম সেখানে সুযোগ নেই। আরেক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, কোন রাজনৈতিক চাপ নেই, নিয়মের বাইরে সুযোগ কাজ পাইয়ে দেওয়া এখন ইতিহাস। এসব এখন হিমাগারে দাবী করে তিনি বলেন, কেউ মিথ্যা বললে, আমরা আর কি করতে পারি।

এখন সবকিছুই ডিজিটালাইজড। তিনি বলেন, সড়কের কাজের মান যাচাই ল্যাবরটরির মাধ্যমে করা হয়। আগে জেলা কেন্দ্রীয় ছিল এখন উপজেলায় ল্যাব রয়েছে। ল্যাবটরির মধ্য দিয়ে আমরা রাস্তার মান নিয়ন্ত্রণ করে থাকি।

যখন কোন অভিযোগ উঠে কোন ঠিকাদার বিরুদ্ধে, বিশেষ করে নিম্নমানের খোয়াইট বা বিটুমিন ব্যবহার করেছে বা মানসম্মত নয়, এমন অভিযোগ ফেলে তাৎক্ষণিক কাজ পুনরায় করে দিতে হয়, বা ঠিকাদারের প্রদেয় বিল বাতিল করে দেয়া হয়।

সড়কে মান যাচাই কি ভাবে করেন এমন প্রশ্নের জবাবে জনাব আজাহার ইসলাম বলেন, এজন্য আমাদের একটি টিম রয়েছে, টিমে পিডি, সকল প্রকৌশলী সরেজমিন তদারকি করে ব্যবস্থা। এ ছাড়া সড়ক বিষয় মন্ত্রণালয় উচচ উচ্চ পর্যায়ে কমিটি তদন্ত করছেন। জেলা পর্যায়ে ইঞ্জিনিয়ার ও উপজেলা পর্যায়ে ও ল্যাবরেটরীতে মান নিয়ন্ত্রণ করা হয়।

ঠিকাদার দের ঠিকাদারের অনিয়ম বা নিম্নমানের নিউরনের অভিযোগে এক বছরে তারমধ্যে একজনের দুই বছর, অনেক ঠিকাদারের আইডি ব্যবহার করার কারণে তাদের লাইসেন্স বাতিল প্রক্রিয়া রয়েছে অর্থাৎ জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা হয়েছে।

আরেক প্রশ্নের জবাবে আজাহার ইসলাম বলেন, প্রকল্প সময়মত শেষ না হলে ব্যয় বাড়বে না এমন নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে ঠিকাদারদের। তিনি বলেন, মানসম্মত সাংবাদিকতা ও মূল ধারার গণমাধ্যম তথ্যসমূহ যাচাই-বাছাই করে, চেক করে সবার সঙ্গে কথা বলে প্রতিবেদন করেন।

কিন্তু অনেকেই সোশ্যাল সাইডের ছবি বা তথ্য নিয়ে একঘেয়েমি লিখেন, আমাদের সাথে কোন যোগাযোগ করেন না, আমরা বিব্রতবোধ করি, আবার সাথে সাথে আবার খোঁজ নিয়ে থাকি সত্য কিনা জনাব আজাহার ইসলাম বলেন, এই জেলায় গ্রামীন জনপদে আনাছে-কানাচে সমস্ত পাকা রাস্তা হয়ে গেছে বলা যায়।

যদি কোথাও বাকি থাকে তাহলে ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান, উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও উপজেলা ইঞ্জিনিয়ার সংশ্লিষ্ট নিয়ে নতুন রাস্তা সংস্করণের কাজ হাতে নেওয়া হয় তাও ইজিপি টেন্ডারের মাধ্যমে দেয়া হয়।

এদিকে নোয়াখালী এলজিডিআরডি সিনিয়র ইঞ্জিনিয়ার যুগল কৃষ্ণ কৌশিক মন্ডল দি ডেইলি মেসেঞ্জার কে জানান, মাননীয় মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, সেতু ও সড়ক যোগাযোগ মন্তনালয়, প্রচেষ্টায় এ জেলায় ব্যাপক রাস্তা তৈরি ও সংস্কার হয়েছে। 

মাননীয় যোগাযোগ সচিব ও সংশ্লিষ্ট পিডির সঠিক নির্দেশনায় সব প্রকল্পের কাজ হয়, ফলে পরিবর্তনে এসেছে মন্ত্রণালয় বিভাগ ও জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে।

মেসেঞ্জার/মামুন/তারেক