ঢাকা,  বুধবার
০৪ ডিসেম্বর ২০২৪

The Daily Messenger

মেস থেকে এইচএসসি পরিক্ষার্থীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার

কুষ্টিয়া প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ২২:০৮, ১৪ জুলাই ২০২৪

আপডেট: ২২:০৯, ১৪ জুলাই ২০২৪

মেস থেকে এইচএসসি পরিক্ষার্থীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার

ছবি : মেসেঞ্জার

কুষ্টিয়া শহরের একটি ছাত্রী মেস থেকে জেমি নামের এক এইচএসসি পরিক্ষার্থীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। রোববার (১৪ জুলাই) ভোরের দিকে কালিশংকরপুরের ছাত্রীনিবাস থেকে তাঁর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে তাকে মৃত ঘোষণা করা হয়।

খবর পেয়ে কুষ্টিয়া মডেল থানা পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠান। ধারণা করা হচ্ছে- পরীক্ষা খারাপ হওয়ায় গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন জেমি।

নিহত তাসনিভু আক্তার জেমি (১৮) মেহেরপুরের মুজিবনগর উপজেলার আনন্দধাম গ্রামের জাহিদুর রহমানের মেয়ে। সে কুষ্টিয়া শহরের কালিশংকরপুর এলাকার সোনার বাংলা মসজিদের সামনে নাসিমা খাতুনের বাড়ির চারতলায় ছাত্রী মেসে প্রায় দেড় বছর ধরে থাকতো।

কুষ্টিয়া সরকারি বালিকা কলেজের এইচএসসি পরিক্ষার্থী। সে একাই এক রুমে থাকতো। সে খুব মেধাবী শিক্ষার্থী ছিলো। এসএসসি পরীক্ষায় সে গোল্ডেন জিপিএ ৫ পেয়েছিল। সে সরকারি ও বেসরকারি মেধা বৃত্তি পেতো।

ছাত্রীনিবাসের ছাত্রীরা, বাড়ির মালিক ও নিহতের পরিবার সূত্রে জানা গেছে, শনিবার দিবাগত রাত তিনটার দিকে জেমির রুম থেকে চিৎকার শুনতে পায় ছাত্রীনিবাসের ছাত্রীরা। তার রুমের দরজা বন্ধ ছিল। এরপর তার আর কোনো সাড়াশব্দ পাওয়া যায়নি। বিষয়টি বাড়ির মালিক ও ওই ছাত্রীর বাবাকে জানানো হয়।

দরজা বন্ধ থাকায় মেসের ছাত্রীরা ও বাড়ির মালিক তার দরজায় নক করলেও কোনো সাড়া পাওয়া যায়নি।

রোববার (১৪ জুলাই) ভোরের দিকে ঘরের দরজা ভেঙে ফ্যান ঝুলানোর রডের সাথে ঝুলছে। তারা ঝুলন্ত জেমির দেহ নামায় এবং হাসপাতালে নিয়ে গেলে তাকে মৃত ঘোষণা করা হয়। ধারণা করা হচ্ছে সে আত্মহত্যা করেছে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক তার কয়েকজন বান্ধবী ও ওই মেসের ছাত্রীরা বলেন, জেমি খুব ভালো মানুষ ছিল। প্রচুর পড়াশোনা করতো। ভালো ছাত্রী ছিল। তার অনেক স্বপ্ন ছিল।

কিন্তু পদার্থ বিজ্ঞান পরিক্ষা খারাপ হওয়ায় কয়েকদিন ধরে খুব মন খারাপ করতো। সে অনেক ভেঙে পড়েছিল। পরীক্ষা খারাপ হওয়ায় সে আত্মহত্যা করেছে।

নাম প্রকাশ্যে অনিচ্ছুক এক পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, প্রাথমিকভাবে জানা গেছে পরীক্ষা খারাপ হওয়ায় সে আত্মহত্যা করেছে। এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।

এ বিষয়ে নিহতের বাবা জাহিদুর রহমান বলেন, আমার মেয়ে খুব ভালো। সে খুব মেধাবী শিক্ষার্থী। এসএসসি পরীক্ষায় সে গোল্ডেন জিপিএ ৫ পেয়েছিল। সে সরকারি ও বেসরকারি মেধা বৃত্তি পেতো। কি কারণে এই ঘটনা ঘটেছে তা জানি না। আমার সব স্বপ্ন শেষ হয়ে গেল। মেয়েটাকে নিয়ে আমার অনেক স্বপ্ন ছিলো। আমরা সব স্বপ্ন শেষ হয়ে গেল।

এ বিষয়ে কু‌ষ্টিয়া কুষ্টিয়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহফুজুর রহমান বলেন, মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে আত্মহত্যা করেছে। তবে কি কারণে আত্মহত্যা করেছে তা জানা যায় নি।

মেসেঞ্জার/রাজুু/আপেল