ছবি : মেসেঞ্জার
যশোরে বিবাহ বার্ষিকীর দিনে প্রিয়ন্তী নামে (১৯) এক গৃহবধুর মৃত্যু হয়েছে। রোববার (১৪ জুলাই) যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে চিবিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
প্রিয়ন্তী যশোর শহরের মাছ বাজার এলাকার নিতাই দের ছেলে নয়ন দে এর স্ত্রী ও খুলনা রুপসা উপজেলার তালিমপুর গ্রামের দিলীপের মেয়ে।
তার মৃত্যুর পর থেকে স্বামী পলাতক রয়েছে। স্বামী পক্ষের স্বজনরা জানিয়েছেন, পারিবারিক কলহের জেরে প্রিয়ন্তী বিষপানে আত্মহত্যা করেছে। তবে পিতা পক্ষের দাবি তাকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে।
নিহতের খালা মুক্তি জানিয়েছেন, ২০২৩ সালে ১৪ জুলাই নয়ন দে প্রিয়ন্তীকে অপহরণ করে বিয়ে করে। বিয়ের পর থেকে বিভিন্ন সময় স্বামীসহ তার পরিবার শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন শুরু করে বলে প্রায় সময় প্রিয়ন্তী মোবাইল ফোনে জানাতো।
প্রিয়ন্তীর বাবা দিলীপের অভিযোগ, নয়ন ও তার পরিবার আমার মেয়েকে বাঁচতে দিলো না। নয়ন অন্য মেয়ের সাথে পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়ে। এতে বাধা হয়ে দাঁড়ায় পিয়ন্তী। পথের কাটা সরাতে শনিবার জোরপূর্বক তাকে খাওয়ানো হয়। এরপর বিষপানে আত্মহত্যার চেষ্টা বলে হাসপাতালে ভর্তি করেন।
রোববার (১৪ জুলাই) সকালে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় প্রিয়ন্তীর মৃত্যু হয়। মারা যাওয়ার পর তাদের খবর দেয়া হয়।
ঘটনার পর থেকে নয়ন পলাতক রয়েছে বলে জানা গেছে। ঘটনা ভিন্ন খাতে নিতে আত্মহত্যা বলে প্রচার করা হচ্ছে।
দিলীপ দে জানান, যদি তারা হত্যা না করতো তাহলে ‘দুই লাখ টাকায় ঘটনা রফার প্রস্তাব দেয়া হতো না। কিন্তু তারা রাজি হননি। প্রিয়ন্তীকে হত্যার সাথে জড়িতদের শাস্তির জন্য তারা আইনের আশ্রয় নেবেন।
এদিকে, স্বামী পক্ষের স্বজনরা দাবি করেছেন, পারিবারিক কলহের জের ধরে প্রিয়ন্তী আত্মহত্যা করেছেন। তাকে হত্যার অভিযোগ মিথ্যা।
হাসপাতালের জরুরি বিভাগের ইনচার্জ ডা. বিচিত্র মল্লিক জানান, শনিবার গভীর রাতে প্রিয়ন্তীকে হাসপাতালে আনা হয়েছিলো। তার মুখে বিষের গন্ধ ছিলো। বহনকারীদের দেয়া তথ্যানুযায়ী বিষপান হিসেবে রোগীকে ভর্তি করা হয়।
হাসপাতালের মর্গে দায়িত্বরত এসআই রাজু আহমেদ জানান, প্রিয়ন্তীর মৃত্যু নিয়ে পিতা ও স্বামী পক্ষ ভিন্ন দাবি করেছেন। মরদেহের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট আসার পর মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে।
মেসেঞ্জার/বিল্লাল/আপেল