ঢাকা,  বুধবার
০৪ ডিসেম্বর ২০২৪

The Daily Messenger

দৌলতপুরে প্রকাশ্যে দিবালোকে অস্ত্রের মহড়া দিয়ে গুলি

দৌলতপুর (কুষ্টিয়া) প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ০৯:১৪, ১৫ জুলাই ২০২৪

দৌলতপুরে প্রকাশ্যে দিবালোকে অস্ত্রের মহড়া দিয়ে গুলি

ছবি : সংগৃহীত

কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার ফিলিপনগর ইউনিয়নের আবেদেরঘাটে প্রকাশ্য দিবালোকে অস্ত্রের মহড়া দিয়ে উড়ো গুলি ফুটানোর খোঁজ পাওয়া গিয়েছে।  

পুলিশ প্রশাসনের উদাসীনতা ও তৎপরতার অভাবে এমন ঘটনা ঘটেছে বলে দাবী এলাকাবাসীর। রবিবার (১৪ জুলাই) বিকাল অনুমানিক ৫ টার সময় এ ঘটনা ঘটেছে। 

আবেদের ঘাটের নৌকার মাঝি মুক্তার কবিরাজ বলেন, ৪ জন আমার নৌকা ভাড়া করে, তবে তারা ৮-১০ জন নৌকায় উঠতে গেলে আমার ছেলে হুসাইন তাদের বাঁধা প্রদান করে। বাঁধা দেওয়ায় তাদের সাথে আমার ছেলের হাতাহাতি হয়। পরে তারা চলে যায়, কিছু সময় পরে আব্দুল মান্নানের ছেলে রনি, হানিফের ছেলে স্বজল সহ ৮-১০ জন আসে, তাদের সকলের হাতে ব্যাগ ছিল। ওদের মধ্যে সজল নামের একজন প্রকাশ্য দিবালোকে মানুষের সামনে দাড়িয়ে অস্ত্র বের করে ২ রাউন্ড গুলি করে চলে যায়। 

আবেদের ঘাটের লেবার ও প্রত্যক্ষদর্শী নাহারুল ইসলামের ভাষ্য, আমার পাশে দাঁড়িয়ে প্রকাশ্য দিবালোকে অস্ত্রের মহড়া দিয়ে গুলি করে চলে যায়। 

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক এলাকাবাসী সাথে কথা হলে তারা বলেন, আগের ওসি রফিকুল ইসলাম থাকাকালীন সময় আমাদের ফিলিপনগর এলাকার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি খুব ভালো ছিলো। বর্তমান ওসি (মাহবুবুর রহমান) যোগাদানের পর থেকে আমাদের এলাকার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি দিন দিন খারাপ হতে শুরু করেছে। আজ প্রকাশ্য দিবালোকে অস্ত্রের মহড়া হলো সাথে গুলি, তাদের হাতে ৪ টি অস্ত্র ছিল। এর আগে সজল ও তার পিতা হানিফ পুলিশকে মেরে হাতকড়া নিয়ে পালিয়েছিল। আমরা সকল অস্ত্রধারীকে আইনের আওতায় দেখতে চাই। 

বিষয়টি নিয়ে অফিসার ইনচার্জ দৌলতপুর থানা মাহাবুবুর রহমানের সাথে কথা হলে তিনি জানান, শুনেছি সাজলের বাবা হানিফ ও মুক্তারের সাথে নৌকায় উঠা নিয়ে ঝামেলা হয়েছে। সজল আসার পরে দুইটা শব্দ হয়েছে, আমি এলাকাবাসীকে বলেছি এটা বোমার শব্দ নাকি পটকার শব্দ বা গুলির। তবে কউ সঠিক বলতে পারে না।

কেউ বলেছে অস্ত্র দেখেছি, যেহেতু নাম পেয়েছি আমরা, আইনের উর্ধ্বে কেউ না তাই ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।  আপনি যোগদানের পরে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি অবনতি হয়েছে এমন অভিযোগ করেছেন এলাকাবাসী, তখন ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বলেন আমি যোগদানের পরে ওখানে জুয়া খেলতো তাদের ধরে চালান দিয়েছি, তিন জনকে মাদক সহ আটক করেছি। তাদের তো টার্গেট থাকবে, তারা কি বললো না বললো সেটা ব্যপার না। আমার কর্মকাণ্ড দেখেন।

মেসেঞ্জার/তুহিন/আজিজ