ঢাকা,  রোববার
০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪

The Daily Messenger

উত্তাল রংপুর মেডিকেল কলেজ

রংপুর ব্যুরো 

প্রকাশিত: ১৩:৪৪, ১৬ জুলাই ২০২৪

উত্তাল রংপুর মেডিকেল কলেজ

ছবি : মেসেঞ্জার

কোটার যৌক্তিক সংস্কার, প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য প্রত্যাহার এবং শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার প্রতিবাদে উত্তাল রংপুর মেডিকেল কলেজ।

সোমবার (১৬ জুলাই) সকাল ১০ টা থেকে  শতশত মেডিকেল একত্রিত হয়ে শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ মিছিল শুরু করে। এরপর কলেজ ক্যাম্পাস থেকে বের হয়ে শিক্ষার্থীরা হাসাপাতাল ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ কেরে। সেখানে সেখানে প্রধান ফটকের সামনে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ শুরু করে।

এসময় তারা কোটা না মেধা, মেধা মেধা, আমার ভাইয়ের রক্ত বৃধা যেতে দিবো না, আমার সোনার বাংলায়ে বৈষম্যের ঠাঁই নাই বলে ম্লোগান দিতে থাকে। 

সানজিদা ফেরদৌস নামের এক আন্দোলনকারী বলছেন, সাধারণ শিক্ষার্থীদের ওপর পরিকল্পিকভাবে ছাত্রলীগ এবং বহিরতাগতরা হেলমেট এবং লাঠি নিয়ে যেভাবে হামলা করেছে, গুলি করেছে তাতে সব কিছু স্পস্ট হয়ে গেছে। আমরা এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। 

আন্দোলনে অংশ গ্রহনকারী ৪৭ ব্যাচের ডা. রিয়াজ বলেন, অবশ্যই মুক্তিযোদ্ধা এবং তাদের পরিবারের ফাস্ট জেনারেশনের জন্য যে সুবিধা দেয়া হচ্ছে সেটার সাথে আমরা একমত। আমরাও এটা চাই। জাতীর শ্রেষ্ঠ সন্তানদের তো আমরা বিনিময় দিতে পারবো না। আমরা তাদেরকে সম্মানিত করছি। তাদের থাডৃ জেনারেশন ফোরথ জেনারেশনকে যে সুবিধা দেয়া হচ্ছে এটা হলো রাজার মতো অবস্থা হচ্ছে। যে রাজার বংশধরদের মতো। তাদের বংশধররা রাজা হচ্ছে। এখানেও সেই অবস্থা চলছে।

আমার বিশ্বাস আমাদের সম্মানিত মুক্তিযোদ্ধারা এক ক্ষুদ্র বিষয় নিয়ে এতোবড় মহৎ মুক্তিযুদ্ধ করে না। এজন্য আমরা যৌক্তিক কোটা সংস্কার চাই। আমরা চাই প্রতিবন্ধি , অনগ্রসর জাতি, পিছিয়ে থাকা জেলা এবং নারীদের জন্য কোটা থাকুক। কিন্তু মুক্তিযোদ্ধানের নাতিপুতিদের নামে, অনেক মুক্তিযোদ্ধাই যেখানে এর বিরুদ্ধে। সেখানে তাদের ৩০ ভাগ কোটা দেয়া হচ্ছে। এটা অযৌক্তিক। এটা মৌলিক অধিকারের আন্দোলন।

আমাদের মধ্য বিত্ত, নিম্ম মধ্য বিত্ত এবং নিম্মবিত্ত যারা আছি, তাদের চুড়ান্ত লক্ষ হলো একটা সরকারি চাকরি। সেই চাকরির উপর নির্ভর করে আমাদেরবাসস্থান, আমাদের চিকিৎসা, আমাদের সন্তানদের শিক্ষা, আমাদের বাবা মা সন্তানদের খাদ্য নিরাপত্বা তার মানে মৌলিক অধিকারের ৫ টার মধ্যে ৪ টাই কোটা সংস্কার আন্দোলনের সাথে যুক্ত আছে। আমরা চাই কোটা প্রথার সংস্কার। যৌক্তিক পর্যায়ে ৫ ভাগড় কোটা রাখতে হবে। আমাদের মেধার মূল্যয়ন করা হোক। 

সাব্বির আশরাফ নামের ৫ম বর্ষের এক শিক্ষার্থী জানান, প্রথমে আমাদের দাবি ছিল একটা কোটার যৌক্তির সংস্কার। গতকাল থেকে আমাদের উদ্দেশ্য এখন দুইটা। প্রথমত সংবিধা অনুযায়ী অনগ্রতর জাতি ও প্রতিবন্ধিদের জন্য ৫ ভাগ কোটা থাকুক। এটা আমরা চাই। কিন্তু একটা নির্দিষ্ট সমাজকে সুবিধা দিতে গিয়ে বহুলাংশে সাধারণ মানুষ তাদের বঞ্ছিত করা সংবিধান পরিপন্থি। গতকাল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, চট্রগাম বিশ্ববিদ্যালয়ের আমার ভাইবোনদের ওপর এমনভাবে হামলা করা হয়েছে। তার প্রতিবাদে, তার বিরুদ্ধেই আমাদের আজকের এই সমাবেশ।

কোটা আন্দোলনে আমার ভাই ও বোনদের রক্ত ঝড়েছে আমরা এর প্রতিবাদ জানিয়ে মাঠে নেমেছি। সন্ত্রাসীদের চিহ্নিত করে বিচারের আওতায় আনা হোকে। আর কোন ভাই, আর কোন বোনের রক্ত যেন না ঝড়ে। আমাদের দাবি মানতেই হবে। 

মাঈশা মারিহা নামের ২য় বর্ষের এক শিক্ষার্থী জানান, গতকাল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও মেডিকেলে আমার অনেক ভাই বোন আহত হয়েছে, অনেকে মৃত্যুর সাথে লড়াই করছে। এর বিরুদ্ধে আমাদের আজকের প্রতিবাদ। আমরা চাই কোটার যৌক্তিক সংস্কার। বৈষম্যের বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছি। আমরা কোটার  সংস্কার চাই। কোটা সংস্কার না হওয়া পর্যন্ত আমাদের আন্দোলন চলবে।


 

মেসেঞ্জার/মান্নান/আজিজ

×
Nagad