ঢাকা,  রোববার
০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪

The Daily Messenger

২ কোটি টাকার সড়ক ভেঙে খালে বিলীন

আলমগীর হোসেন, বগুড়া 

প্রকাশিত: ১৬:০৯, ১৬ জুলাই ২০২৪

২ কোটি টাকার সড়ক ভেঙে খালে বিলীন

ছবি : ডেইলি মেসেঞ্জার

২ কোটি টাকার সড়ক ভেঙ্গে গেল খালের পেটে। এটি বগুড়ার জেলার ধুনট উপজেলায় চৌকিবাড়ি ইউনিয়নের পেঁচিবাড়ি-চাঁনদিয়াড় আঞ্চলিক সড়কটি। বর্ষণের কারণে গত বৃহস্পতিবার সড়কের প্রায় ৮ মিটার অংশ ভেঙে পাশের খালে বিলীন হয়ে  গেছে। ফলে জনগুরুত্বপূর্ণ এই সড়কে যোগাযোগ ব্যবস্থার চরম বিপর্যয় ঘটেছে। এতে দুর্ভোগে পড়েছেন এলাকার প্রায় অর্ধশত গ্রামের নানা শ্রেণি-পেশার মানুষ। সড়কটির ভাঙা স্থানে দুর্ঘটনা এড়াতে লাল নিশান উড়িয়ে সতর্ক সংকেত দিয়েছে স্থানীয়রা।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ২০১১ সালের ধুনট উপজেলার পেঁচিবাড়ি বাজার থেকে জালশুকা হয়ে চাঁনদিয়াড় সেতু পর্যন্ত প্রায় ৪ কিলোমিটার সড়ক স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) তত্ত্বাবধানে পাকা করা হয়। পরবর্তীকালে একবার মেরামতও করা হয়েছে সড়কটি। সব মিলে ব্যয় হয়েছে কমপক্ষে দুই কোটি টাকা। বর্তমানে চার কিলোমিটার পাকা সড়কের অর্ধশত স্থানে ভাঙন দেখা দিয়েছে। ফলে ওই সড়কে যোগাযোগ ব্যবস্থার ভয়াবহ বিপর্যয় ঘটেছে। সব মিলে ব্যয় হয়েছে কমপক্ষে দুই কোটি টাকা। বর্তমানে চার কিলোমিটার পাকা সড়কের অর্ধশত স্থানে ভাঙন দেখা দিয়েছে। ফলে যোগাযোগ ব্যবস্থার চরম বিপর্যয় ঘটেছে।

অন্যদিকে, পেঁচিবাড়ি বাজার থেকে চাঁনদিয়াড় সেতু পর্যন্ত পাকা সড়কের গা ঘেঁষে এঁকেবেঁকে বয়ে গেছে সরকারি একটি খাল। পানি উন্নয়ন বোর্ডের তত্ত্বাবধানে ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে খালটির পুনঃখননের কাজ শেষ হয়। এতে ব্যয় হয়েছে ২ কোটি ৩৬ লাখ টাকা। বাঙালি নদী থেকে এই খাল দিয়ে এক সময় পানি প্রবাহিত হয়েছে। কিন্তু আশির দশকে খালের উৎসমুখ পেঁচিবাড়িতে বাঁধ নির্মাণ করা হয়। সেটি বর্তমানে পাকা সড়কে পরিণত হয়েছে। ওই সড়ক দিয়ে সব ধরনের যানবাহন চলাচল করে।

স্থানীয়রা জানান, পানি উৎসমুখ বন্ধ থাকায় প্রবাহও বন্ধ হয়ে যায়, এতে সেটি মরা খালে পরিণত হয়। কাজে না লাগলেও খালটি অপরিকল্পিতভাবে খনন করায় সৃষ্টি হয় সমস্যা। সরাসরি সড়কের পাশ ঘেঁষে খাল খনন করার কারণে পাকা সড়কের বিভিন্ন জায়গা খালের ভেতর ভেঙে পড়ছে।

অটোভ্যান চালক আব্দুল জলিল বলেন, খালের পাড় দিয়ে রাস্তা হওয়ায় এমনিতেই অনেক ঝুঁকি নিয়ে যাওয়া-আসা করতে হয়। এরপর রাস্তাটি ভেঙে গেছে। তাই জীবনের ঝুঁকি নিয়ে যাত্রী পরিবহন করছি। তবে সড়কের ভাঙা স্থানে যাত্রী নেমে দিয়ে কষ্ট করে পার হয়ে আবারো যাত্রী উঠানো হয়।

ভ্যান চালক খলিলুর রহমান জানান, এই রাস্তায় ভাঙ্গে যাওয়ায় চলাচল করতে দুর্ভোগে পড়তে হচ্ছে। এই ভাঙ্গার কারণে যে কোন সময় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।

ধুনট উপজেলা স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) ধুনট উপজেলা প্রকৌশলী মনিরুল সাজ রিজন বলেন, খাল খনন করতে গিয়ে পাকা সড়কের পাশে জায়গা রাখা হয়নি। এ কারণে সড়কটি রক্ষা করা যাচ্ছে না। বর্ষণের কারণে বাড়ির পানি গড়ে সড়কের কিছু অংশ ভেঙে গেছে। জরুরি ভাবে ভাঙা স্থান মেরামত করা হবে।

মেসেঞ্জার/সজিব

×
Nagad