ঢাকা,  রোববার
০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪

The Daily Messenger

বানেশ্বরহাটে ঢলনে জিম্মি পেঁয়াজ-রসুন চাষিরা, নিরব প্রশাসন

রাজশাহী প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ১৬:১৬, ১৬ জুলাই ২০২৪

বানেশ্বরহাটে ঢলনে জিম্মি পেঁয়াজ-রসুন চাষিরা, নিরব প্রশাসন

ছবি : মেসেঞ্জার

রাজশাহীর পুঠিয়া উপজেলার বানেশ্বর হাটে কৃষকদের জিম্মি করে অতিরিক্ত নেওয়া হচ্ছে রসুন-পেঁয়াজ। প্রশাসন নীরব ভূমিকা পালন করায় কৃষকরা প্রতি মণে দুই কেজি পেয়াজ-রসুন অতিরিক্ত ঢলন দিতে বাধ্য হচ্ছে প্রাইকারী ব্যবসায়ীদের। দুই কেজি পেয়াজের বাজার দর ২০০ টাকার এবং রসুন ৩৫০-৪০০ টাকা।

অথচ (৭ জুলাই) বানেশ্বর হাটে প্রতি মণে এক কেজি ঢলন নেবার নির্দেশনা দেন হাট ইজারাদার জাহাঙ্গীর আলম। এতে সাধারণ কৃষকরা খুশি ছিলেন। ফলে হাটে পেঁয়াজ-রসুনের আমদানি বাড়ে। কিন্তু পাইকারী ব্যবসায়ী চক্র হাটইজারাদারের সাথে সমঝোতা করে আবার প্রতিমণে ২ কেজি ঢলন নিতে শুরু করেছে।

এদিকে পুঠিয়ার ঝলমলিয়া, মোল্লাপাড়া, সৈয়দপুর ও ধোপাপাড়া হাটসহ ছোট বড় সব হাটে ৪১ কেজিতে মণ নেওয়া হচ্ছে। উপজেলার বানেশ্বর হাটেই ব্যবসায়ী সিন্ডিকেটের সাথে আপস করে ৪২ কেজিতে মণ হিসেবে পেঁয়াজ-রসুন বেচা-কেনায় কৃষকদের বাধ্য করা হচ্ছে।

পুঠিয়া উপজেলা ঝলমলিয়া হাট ইজারাদার নাজমুল হোসেন সুমন বলেন, আমি ব্যবসায়ী ও কৃষকের কথা চিন্তা করে প্রতি মণে এক কেজি করে ঢলন করেছি। এ জন্য আমার একটু সমস্যা হবে। এটা স্বাভাবিক। বানেশ্বর হাট যদি তারা প্রতি মনে এক কেজি হিসেবে রাখে তাহলে আর কোন ধরনের সমস্যা হবে না।

বানেশ্বর হাটের পেঁয়াজ-রসুন বিক্রেতারা জানান, দুইহাট আগে মাইকে ঘোষণা দিল প্রতি মণে এক কেজি করে ঢলন নেওয়া হবে। কিন্তু হাটে আসার পরে দেখছি আগের মতই ২ কেজি হারে ঢলন হিসাবে পিঁয়াজ-রসুন নেওয়া হচ্ছে। আমরা অশিক্ষিত মানুষ।

কার কাছে বিচার দিবো জানিনা। তবে আমাদের দুঃখ কষ্ট দেখার কেউ নেই। তবে পেঁয়াজ এবং রসুন কিনতে আশা ব্যবসায়ীরা জানান, আমরা তো বেশি নেওয়ার জন্য চেষ্টা করবই। এ জন্য ইজারাদার আমাদের থেকে বেশি সুবিধা নিচ্ছে, তাও সত্য। আমি এর বেশি কিছু বলতে পারছি না।

বানেশ্বর হাট ইজারাদার জাহাঙ্গীর আলম বলেন, আমার হাটে এখন ১ কেজি করে ঢলন নেওয়া হয়। কৃষকের থেকে ২ কেজি করে পেঁয়াজ-রসুন ঢলন বেচা-কেনার জন্য নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে। শনিবার বানেশ্বর হাট ঘুরে দেখা যায় তার নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে ৪২ কেজিতে মণ হিসাবে পেঁয়াজ-রসুন ক্রয় করছে।

এ বিষয়ে তিনি বলেন, হাটটি অনেক বড়। এ কারণে কোথাও এমন হতে পারে। আমরা হাট পরিচালনা কমিটির কাছে এমন অভিযোগ পেলে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেব।

এ বিষয়ে পুঠিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এ, কে, এম, নূর হোসেন নির্ঝর জানান, আমার কাছে এধরনের কোন অভিযোগ এখনো আসেনি। তবে আমার কাছে কোন কৃষক যদি অভিযোগ করেন, তাহলে বিষয়টি আমি দেখবো।

মেসেঞ্জার/আনিসুজ্জামান/তারেক

×
Nagad