ঢাকা,  রোববার
০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪

The Daily Messenger

সাতক্ষীরায় কোটা আন্দোলনকারী-ছাত্রলীগ মুখোমুখি

সাতক্ষীরা প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ২০:৩৮, ১৬ জুলাই ২০২৪

সাতক্ষীরায় কোটা আন্দোলনকারী-ছাত্রলীগ মুখোমুখি

ছবি : মেসেঞ্জার

সাতক্ষীরায় কোটা আন্দোলনকারীদের সাথে ছাত্রলীগের ধাওয়া ও পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। মঙ্গলবার (১৬ জুলাই) বিকালে শহরের নারকেলতলা মোড়ে এই ঘটনা ঘটে।

এর আগে স্লোগান দিতে থাকেন কোটা দিয়ে কামলা নয় মেধা দিয়ে আমলা চাই, এমন স্লোগান দিয়ে মুখর করে তোলেন সাতক্ষীরা নারকেল তোলা মোড় হয়ে সাতক্ষীরা খুলনা রোড মোড় পর্যন্ত। সাতক্ষীরা খুলনা রোড মোড় এলাকায় কিছু সময় অবস্থান করার পর সাতক্ষীরা সরকারি কলেজ অভিমুখে ফেরার সময় ছাত্রলীগের বাধার সম্মুখীন হন আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা।

ছাত্রলীগের মিছিলকে কেন্দ্র করে ‘ভুয়া-ভুয়া’ স্লোগান দিতে থাকেন আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা। কোটা আন্দোলনকারী ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা দীর্ঘসময় নারকেলতলা এলাকায় অবস্থান করে। দুইপক্ষই স্লোগান দিতে থাকে। 

এসময় উত্তেজনাকর পরিস্থিতি তৈরী হয়। তবে দুই পক্ষের মুখোমুখি সংঘর্ষ হবার আগেই পুলিশের হস্তক্ষেপে উভয়পক্ষকে নিবৃত্ত করা হয়। পরে কোটা আন্দোলনকারীরা ছত্রভঙ্গ হয়ে যায়। 

আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা ফিরে যাওয়ার সময় সাতক্ষীরা সরকারি কলেজ মাঠে এলাকায় তিনজনকে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা মারধর করে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ সময় ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা স্লোগান দিতে থাকে। ৭১ রাজাকার এই মুহূর্তে বাংলা ছাড়। জামাত শিবিরের চামড়া খুলে নেব আমরা। খালেদা জিয়ার চামড়া খুলে নেব আমরা। তারেক জিয়া চামড়া খুলে নেব আমরা।

বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাতক্ষীরা সমন্বয়ক ইমরান ইমু বলেন, আমরা তো কোটা বাতিল চাইনি। বিদ্যমান কোটা ব্যবস্থার সংস্কার চেয়েছি। সুষম বণ্টন চেয়েছি। আমরা এই দাবিতে আন্দোলন করতে এসে আমাদের ভাইবোনরা মার খেলো।

আমরা দাবি আদায়ের জন্য খুলনা রোড মোড় থেকে নারকেল তোলা মোড়ে গেলে ছাত্রলীগের কর্মীরা লাঠি লাঠা ভেঙে নিয়ে আমাদের উপর তেড়ে আসেন। মারধর করেন। আমাদের তথা সাধারণ মানুষের ঠেলা মেড়ে ফেলে দেন। ফেরার সময় সাতক্ষীরা সরকারি কলেজ মাঠ এলাকায় আমাদের কয়েকজন শিক্ষার্থীকে মারধর করে ছাত্রলীগ নেতা কর্মীরা।

আমাদের ভাই বোনরা মার খেয়েছে। আমরা তো মারামারি করতে যাইনি এবং আমার ভাই বোনদের লাঠি দিয়ে মেরে মেরে অনেককে রক্তাক্ত করা হয়েছে ঢাকা রাজপথে। অনেকে আহত হয়েছেন। আমরা মার খাচ্ছি। মার খাবো। দাবি আদায়ে আমরা রাজপথেই থাকব।

তিনি আরো বলেন, আজকে থেকে আমরা সকল স্কুল কলেজ ক্যাম্পাসে প্রতিরোধ গড়ে তুলবো। আজকে থেকে আমাদের কর্মসূচি শুরু হলো। আগামীকাল থেকে আমরা প্রতিটি কলেজে, স্কুলে কোটা সংস্কারের দাবিতে কঠোর ভাবে অবস্থান নিবো এবং সকল শিক্ষার্থীকে এই আন্দোলনে যোগ দেওয়ার আহবান যান আজকে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা।

এদিকে ছাত্রলীগ নেতা ফারিব আবির বলেন, কোটা আন্দোলন নামে দেশকে অস্থিতিশীল করতে না পারে সেজন্য আমরা সজাগ আছি। জামাত-বিএনপি'র সন্ত্রাসীরা সাধারণ মানুষের যানমলের ক্ষতি না করতে পারে সেজন্য আমরা অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছি। কোথাও কোন মারামারির ঘটনা ঘটেনি।

মেসেঞ্জার/আসাদ্দুজামান/তারেক

×
Nagad