ঢাকা,  রোববার
০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪

The Daily Messenger

গাইবান্ধায় কোটা বিরোধী আন্দোলনে ত্রিমুখী সংঘর্ষে আহত শতাধিক 

গাইবান্ধা প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ১৮:০১, ১৭ জুলাই ২০২৪

আপডেট: ০১:১৮, ১৮ জুলাই ২০২৪

গাইবান্ধায় কোটা বিরোধী আন্দোলনে ত্রিমুখী সংঘর্ষে আহত শতাধিক 

ছবি : সংগৃহীত

কোটাবিরোধী আন্দোলন ঘিরে গাইবান্ধায় দিনভর বিক্ষোভ-পাল্টা বিক্ষোভ এক পর্যায়ে গড়িয়েছে সংঘাতে। আগের দিন সারাদেশে ঢাকা, চট্টগ্রাম ও রংপুরে সংঘর্ষ ও হামলার ঘটনায় ছয়জনের মৃত্যুর জের ধরে বুধবার (১৭ জুলাই) সকাল থেকে জেলা সদরের বিভিন্ন স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরা মিছিল নিয়ে শহরের ডিবি রোডে ১ নম্বর রেলগেট এলাকায় রেললাইনের উপর অবস্থান নেয়।

অপরদিকে ১ নম্বর রেলগেট এলাকায় আওয়ামী লীগের জেলা কার্যালয়ে অবস্থান নেন দলের সিনিয়র নেতৃবৃন্দসহ ছাত্রলীগ, যুবলীগ ও স্বেচ্ছাসেবকলীগের নেতাকর্মীরা। পুলিশ বেষ্টনীর ভেতর আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ কর্মসূচি চলাকালে বেলা ১২টার দিকে উত্তেজনা বাড়ে আন্দোলনকারী ও সরকারদলীয় সংগঠনের নেতাকর্মীদের মধ্যে। একপর্যায়ে শিক্ষার্থীরা জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে হামলা চালিয়ে ভাংচুর ও নেতাকর্মীদের মারধর করে এবং অন্তত ১১টি মোটরসাইকেলে আগুন ধরিয়ে দেয়। এসময় সংঘর্ষে জড়ায় পুলিশও।

দফায় দফায় সংঘাতের ঘটনায় আহত হয়েছেন কয়েকশ মানুষ। এর মধ্যে ২০ জন সাংবাদিক এবং শতাধিক আন্দোলনরত শিক্ষার্থীসহ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আবু বকর সিদ্দিক, সাংগঠনিক সম্পাদক ও গাইবান্ধা পৌরসভার মেয়র মো. মতলুবর রহমান, সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আমিনুরজামান রিংকু, সাবেক পৌর মেয়র এ্যাড. শাহ্ মাসুদ জাহাঙ্গীর কবীর মিলন, জেলা যুবলীগ সাধারণ সম্পাদক শাহ্ আহসান হাবিব রাজিবসহ অন্তত অর্ধশতাধিক নেতাকর্মী আহত হন। এরমধ্যে পৌরসভার মেয়র মো. মতলুবর রহমানের আঘাত গুরুতর বলে জানা গেছে।

দুপুর একটার দিকে আওয়ামী লীগের জেলা কার্যালয় থেকে হামলা-ভাংচুর-অগ্নিসংযোগের প্রতিবাদে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করে দলের নেতাকর্মীরা। মিছিলটি শহরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে। শহরের সার্কুলার রোড অতিক্রম করার সময় মিছিল থেকে কিছু কর্মী জেলা বিএনপির অফিসে ভাংচুর চালায় এবং অগ্নিসংযোগ করে। মিছিলটি পৌরপার্কে শহিদ মিনার চত্বরে গিয়ে শেষ হয়। সেখানে গায়েবানা জানাযায় অংশ নেন নেতাকর্মীরা।

পুলিশ লাটিচার্জ, টিয়ারসেল ও ফাঁকা গুলি ছুড়ে পরিস্থিতি সামাল দেয়। এসময় শহরের সবগুলো সড়কে যান চলাচল এবং দোকানপাট বন্ধ হয়ে যায়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে জেলা শহরে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। শহরে থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে।

মেসেঞ্জার/সজিব

×
Nagad