ঢাকা,  রোববার
০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪

The Daily Messenger

চাকরি প্রার্থী তিনজনকে হত্যা করেন বহিষ্কৃত সেনা সদস্য কনক

টাঙ্গাইল প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ০৮:৩০, ১৮ জুলাই ২০২৪

চাকরি প্রার্থী তিনজনকে হত্যা করেন বহিষ্কৃত সেনা সদস্য কনক

ছবি : মেসেঞ্জার

টাঙ্গাইলে সেনাবাহিনীর চাকরি দেয়ার নামে টাকা নিয়ে চাকরি দিতে না পারায় ৩ জনকে হত্যার পর লাশ গুম করেন চাকরিচ্যুত সেনা সদস্য মো. কনক।

বুধবার (১৮ জুলাই) সন্ধ্যায় সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মিনহাজ উদ্দিন ফরাজীর আদালতে চাকরিচ্যুত সেনা সদস্য কনক স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। মো. কনক (২৮) টাঙ্গাইলের ধনবাড়ী উপজেলার মুশুদ্দি দক্ষিনপাড়া গ্রামের তালেব আলীর ছেলে। 

বুধবার সন্ধ্যায় টাঙ্গাইলের পুলিশ সুপার গোলাম সবুর প্রেস বিফ্রিং এ তথ্য জানান। 

পুলিশ সুপার বলেন, জেলার ঘাটাইল, গোপালপুর এবং জামালপুরের ৩ যুবকের কাছ থেকে সেনাবাহিনীর চাকরি দেয়ার কথা বলে কনক ২৪ লাখ টাকা হাতিয়ে নেয়। পরে কনক ওই তিনকে সেনাবাহিনীর সীল সাক্ষর জাল করে ভূয়া নিয়োগপত্র প্রদান করেন। পরবর্তীতে তাদের চাকরিতে প্রেরণ করতে না পেরে চলতি বছরের ৩১ জানুয়ারি কনক ও তার সহযোগী সজিবকে সুপরিকল্পিভাবে হত্যা করে।

একই কায়দায় ২ মার্চ আতিক হাসানকে মধুপুরের পাহাড়ী এলাকায় আনারস বাগানে সুকৌশলে নিয়ে তারা গলাটিপে হত্যা করে। সর্বশেষ ৩ মার্চ রাতে উজ্জলকে টাঙ্গাইল শহরের আট পুকুরপাড় এলাকায় গলাটিপে হত্যা করা হয়। তাদের লাশ লাশ গুম করে চাকরিচ্যুত সেনা সদস্য কনক ও তার সহযোগী পালিয়ে যায়। 

পুলিশ সুপার বলেন, তাদের কোন সন্ধ্যান না পেয়ে পরিবারের সদ্যসরা সেনাবাহিনীর কাছে বিষয়টি অবগত করেন। পরে সজিবের পিতা বাদী হয়ে কনকসহ ৫ জনের বিরুদ্ধে আদালতে একটি পিটিশন দাখিল করেন। আদালতের নির্দেশে পিটিশনটি ঘাটাইল থানায় মামলা করা হয়। একই সাথে আতিক হাসানের পিতা বাদী হয়ে কনকসহ ৪ জনের নামে গোপালপুর থানায় লিখিত অভিযোগ করেন।

ঘাটাইল থানা পুলিশ মামলাটি তদন্তকালে জানতে পারে কনক জামালপুর সদর থানার মামলা সংক্রান্তে গ্রেপ্তার হয়ে জামালপুর কারাগারে আটক রয়েছেন। পরে ঘাটাইল থানা পুলিশ আদালতের মাধ্যমে দুইদিনের রিমাণ্ডে এনে মঙ্গলবার (১৭ জুলাই) কনককে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদ করেন। জিজ্ঞাসাবাদের একপর্যায়ে কনক পুলিশের কাছে ৩ জনের হত্যার কথা স্বীকার করে। 

 

মেসেঞ্জার/মোস্তফা/আজিজ

×
Nagad