ঢাকা,  রোববার
০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪

The Daily Messenger

বরগুনায় দ্বিতীয় শ্রেণির ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে গ্রেপ্তার ১

বরগুনা প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ১৭:২০, ১৮ জুলাই ২০২৪

বরগুনায় দ্বিতীয় শ্রেণির ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে গ্রেপ্তার ১

ছবি : মেসেঞ্জার

৫০ টাকার লোভ দেখিয়ে দ্বিতীয় শ্রেণির মাদ্রাসা পড়ুয়া ছাত্রীকে রহিম মোল্লা (৪৮) নামক এক ব্যক্তি ধর্ষণ করেছে বলে অভিযোগ করেছে ধর্ষণের শিকার ওই মাদ্রাসা ছাত্রী। পুলিশ ধর্ষক রহিম মোল্লাকে গ্রেপ্তার করেছে।

বৃহস্পতিবার (১৮ জুলাই) পুলিশ তাকে আমতলী সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে সোপর্দ করেছে।

আদালতের বিচারক মোঃ আরিফুর রহমান তাকে জেল হাজতে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন। বুধবার রাতে বরগুনার আমতলী উপজেলার আমড়াগাছিয়া বাজারে ঘটনা ঘটে।

জানা গেছে, উপজেলা আমড়াগাছিয়া বাজারের দারুল হিকমা নূরানিয়া হাফিজি মাদ্রাসায় দ্বিতীয় শ্রেণিতে পড়ুয়া এক ছাত্রীকে ওই বাজারের মুরগী ব্যবসায়ি রহিম মোল্লা ৫০ টাকার লোভ দেখিয়ে বেশ কয়েকবার ধর্ষণ করেছে। হত্যার ভয় দেখিয়ে ধর্ষক রহিম মোল্লা বিষয়টি কাউকে জানাতে ছাত্রীকে নিষেধ করেছে। এমন দাবি ওই মাদ্রাসাছাত্রীরও।

বুধবার রাতে ঘটনা মাদ্রাসা ছাত্রী তার বড় বোনকে বলে দেয়। পরে তিনি ওই ছাত্রীকে আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসে। ওই হাসপাতালের চিকিৎসক ডাঃ লুনা বিনতে হক ওই ছাত্রীকে ডাক্তারী পরীক্ষার জন্য বরগুনা জেনারেল হাসপাতালে প্রেরণ করেন। ঘটনায় বুধবার রাতে আমতলী থানায় ধর্ষণ মামলা হয়েছে।

পুলিশ ধর্ষক রহিম মোল্লাকে গ্রেপ্তার করেছে। বৃহস্পতিবার পুলিশ তাকে আমতলী সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে সোপর্দ করেছে। আদালতের বিচারক মোঃ আরিফুর রহমান তাকে জেল হাজতে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন।

ধর্ষণের শিকার মাদ্রাসা ছাত্রী বলেন, আমাকে ৫০ টাকার লোভ দেখিয়ে প্রায়ই রহিম মোল্লা ধর্ষণ করতো। আমাকে হত্যার ভয় দেখিয়ে কাউকে বিষয়টি জানাতে নিষেধ করে তিনি। আমি প্রাণের ভয়ে কাউকে বলিনি। বুধবার রাতে বিষয়টি বোনকে জানিয়ে দিয়েছি।

আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার ডাঃ লুনা বিনতে হক বলেন, শিশুটির ডাক্তারী পরীক্ষার জন্য বরগুনা জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

আমতলী থানার (ওসি) কাজী সাখাওয়াত হোসেন তপু বলেন, ধর্ষক রহিম মোল্লাকে গ্রেপ্তার করে আদালতে পাঠানো হয়েছে।

মেসেঞ্জার/হিমাদ্রি/আপেল

×
Nagad