ছবি : মেসেঞ্জার
বগুড়া কমপ্লিট শাটডাউন কর্মসূচিতে রণক্ষেত্রে পরিণত হয়েছে বগুড়া। শহরের সাতমাথা, বনানী সহ বিভিন্ন এলাকায় কোটা বিরোধী আন্দোলন কারীদের সঙ্গে পুলিশের ধাওয়া, পাল্টা ধাওয়া, সংঘর্ষ হয়েছে।
পুলিশ আন্দোলনকারীদের ছাত্রভঙ্গ করতে অসংখ্য টিয়ারশেল ও রাবার বুলেট ছুড়েছে। এ সময় ১০ জন পুলিশ সহ ৫০ জন আহত হয়েছে। পুলিশ ১৫ জন শিক্ষার্থীকে আটক করেছে।
আহতদের বগুড়ার শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, মোহাম্মদ আলী হাসপাতাল ও স্থানীয় ক্লিনিকে ভর্তি করা হয়েছে বেলা সাড়ে এগারো টায়। পুলিশের বাধা উপেক্ষা করে বিভিন্ন কলেজের শিক্ষার্থীরা লাঠি সোটাসহ নিয়ে শহরের সাতমাথায় প্রবেশ করে।
এরপর কোটা প্রথা সংস্কারের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করে। এ সময় পুলিশ তাদের বাধা দিলে দফায় দফায় ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষ শুরু হয়। শহরের বড়গোলা, ষ্টেশন রোড ও পৌরপার্ক রোডে আন্দোলনকারী অবস্থান নিয়ে বিকেল ৪ টা পর্যন্ত দফায় দফায় ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে।
এছাড়া ইয়াকুবিয়া স্কুল মোড় জজ কোয়ার্টারের ভাংচুর, অগ্নিসংযোগ ও পুলিশের পোষাক ও লাঠি কেচে নেয় আন্দোলনকারী। পুলিশ আন্দোলনকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে অসংখ্য রাবার বুলেট ও সাউন্ড গ্রেনেড ছুড়েছে।
এছাড়াও শহরের বনানী, কলোনি সহ বিভিন্ন এলাকায় বিক্ষোভ মিছিল করেছে কোটা বিরোধী আন্দোলনকারীরা। ৩ প্লাটুন বিজিবি সদস্য শহরের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক টহল দিচ্ছে।
জেলা পুলিশ, গোয়েন্দা পুলিশ ও এপিবিএন পুলিশ আন্দোলনকারীদের প্রতিহত করতে বিভিন্ন জায়গায় অবস্থান নিয়ে প্রয়োজনে রাবার বুলেট ও টিয়ারসেল নিক্ষেপ করছে।
বগুড়া মোহাম্মদ আলী হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক ডাঃ শফিক আমিন কাজল জানান, হাসপাতালে ৯ পুলিশ সদস্যসহ ৫১ জন আহত এসেছিলেন। এদের মধ্যে ১২ শিক্ষার্থীকে চিকিৎসা দিয়ে পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছিল। তারাও বিকেলে হাসপাতাল ত্যাগ করেছে। বর্তমানে ৯ পুলিশ সদস্য হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে।
বগুড়ার শহীদ জিয়াউর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের উপ-পরিচালক আবদুল ওয়াদুদ বলেন, আজ বেলা তিনটা পর্যন্ত গুলিবিদ্ধ ৩৭ জন শিক্ষার্থীকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এর মধ্যে ৩৫ জন শিক্ষার্থী ও দুজন পথচারী।
এর মধ্যে কয়েকজনের মাথা ও চোখে গুলি লেগেছে। এতে কেউ কেউ দৃষ্টিশক্তি হারাতে পারেন। এটা বিকেল সাড়ে ৪ টা পর্যন্ত অবস্থা। আহতদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
মেসেঞ্জার/আলমগীর/আপেল