ছবি : মেসেঞ্জার
কুমিল্লার তিতাসের এমএমআর ব্রিকফিল্ডের ভাড়াটিয়ার বিরুদ্ধে বাৎসরিক ভাড়া ও চুক্তির শর্ত সমূহ পরিশোধ না করার অভিযোগ এনে সংবাদ সম্মেলন করেছে মালিক পক্ষ মজিবুর রহমান।
বৃহস্পতিবার (১৮ জুলাই) সকাল ১১টায় উপজেলার ভিটিকান্দি ইউনিয়নের দড়িকান্দি এম.এম.আর ব্রিকফিল্ডের উপস্থিত হয়ে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন মজিবুর রহমান।
তিনি সাংবাদিকদের বলেন, বিগত ২০১৭ সালের প্রথম দিকে আমার আর্থিক অসুবিধার কারণে আমার অবর্তমানে আমার স্ত্রী হাসিয়া বেগম শর্ত সাপেক্ষে ভাড়া দেয় শফিউল হোসেনকে। তিনি বিগত বছরগুলোতে ভাড়া না দিয়ে প্রতিবছর নানা বিষয়ে জামেলার সৃষ্টি করে।
এ বিষয়ে এলাকায় ও থানাতে একাধিক বৈঠক হয়। এমতাবস্থায় ৭-৮ বৎসর গত হয়ে যায়। এ ব্যাপারে কোন সমাধান হয় নাই। এমনকি গত বৎসরের ভাড়াও পরিশোধ করে নাই। আমি দেশে আসার পরে ২ দুই বার বিদ্যুৎ বিলও পরিশোধ করি। ওই চুক্তিতে সরকারি আয়কর-ভ্যাট লাইসেন্স নবায়ন এবং ব্রিকফিল্ড সংস্কার করে নাই।
চুক্তির শর্ত সমূহের সরকারি ভ্যাট-আয়কর পরিশোধ, পরিবেশ ছাড়পত্র, ডিসির ইট পুড়ানো ও ফায়ার সার্ভিস লাইসেন্স নবায়ন করে নাই এবং চুলার ডিম সম্পূর্ণরূপে ব্যবহার অনুপযোগী করে ফেলেছে, ভাড়াটিয়া চুক্তি হিসেবে ডি-ফল্ডার হয়েছে। এজন্য চুক্তির মেয়াদ উত্তির্ণ হওয়ার আগেই ব্রিকস ফিল্ড ভাড়ার চুক্তিনামাটি বাতিল বলে গন্য হয়।
উক্ত ভাড়াটিয়াকে আদালতের মাধ্যমে চুক্তি বাতিল সম্পর্কে জানানো হয়েছে এবং আমার পাওনা টাকা পরিশোধের জন্য ১০ দিন সময় দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু ভাড়াটিয়া অদ্যাবধি আমার পাওনা পরিশোধ করে নাই। এই মর্মে আমি আদালতের স্বরনাপন্ন হই এবং একটি মামলা দায়ের করি। আমি আমার ব্রিকফিল্ড আমার দখলে নিতে যাচ্ছি।
এ বিষয়ে শফিউল হোসেনের মোবাইল ফোনে কল করলে তিনি বলেন, ব্রিক ফিল্ড জোর পূর্বক দখলে নেওয়ার চেষ্টার ঘটনায় কয়েকবার স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তিরা বিচার সালিশ করে। কিন্তু মজিবুর রহমান স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তিদের বিচার অমান্য করায় তার বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের থানায় লিখিত অভিযোগ করেছি।
তিনি আরও বলেন, আদালতে একটি মামলা করেছি। কিন্তু আমার চুক্তির মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই মজিবুর রহমান জোর পূর্বক ব্রিক ফিল্ডটি দখলে নেওয়ার চেষ্টা করছে।
মেসেঞ্জার/সাগর/আপেল