ছবি : মেসেঞ্জার
৫ কেজি ওজনের ১২ টি স্বর্ণের বার কোমরে লুকিয়ে থাকা যাত্রীবাহি বাসে চড়ে মহেশপুর সীমান্ত এলাকায় আসছিল ৩ স্বর্ন পাচারকারী। গোপনে খবর পেয়ে বিজিবির মহেশপুর ৫৮ ব্যাটালিয়নের সদস্যরা সড়কে অবস্থান নিয়ে বাসটি তল্লাশি করে ৩ পাচারকারীকে আটক করতে সক্ষম হয়।
বুধবার (১৭ জুলাই) ভোর সাড়ে ৫ টার দিকে এ অভিযান পরিচালনা করা হয়। এ সময় চুয়াডাঙ্গার জীবননগর-মহেশপুর সড়কে ফতেপুর শিশুতলা নামক স্থানে যাত্রীবাহী বাসটি তল্লাশি করে ১২টি অবৈধ স্বর্ণের বারসহ ৩ জনকে আটক করেছে বিজিবি।
৫ কেজি ১৪ দশমিক ৫৯ গ্রাম ওজনের ১২ টি স্বর্নের বারের বর্তমান বাজার মুল্য ৪ কোটি ৮৫ লাখ ৮১ হাজার ৫৪ টাকা।
আটক ব্যক্তিরা হলো, দিনাজপুর জেলার ফুলবাড়ি উপজেলার সুজাপুর গ্রামের মৃত শ্যামল কান্তি পালের ছেলে তপু পাল (৩৭), সিরাজগঞ্জ জেলার বেলকুচি উপজেলার মাইজাইল গ্রামের মহাদেব চক্রবর্তীর ছেলে মোহন চক্রবর্তী (৪২) ও একই জেলার সারুটিয়া গ্রামের মরহুম গুলজার হোসেনের ছেলে আব্দুর রাজ্জাক (৫৫)।
মহেশপুর ৫৮ বিজিবি ব্যাটালিয়নের পরিচালক শাহ মো: আজিজুস শহীদ এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে জানান, সহকারি পরিচালক মোহাম্মদ সাইফুল ইসলামের নের্তৃত্বে একদল বিজিবি সদস্য চুয়াডাঙ্গার জীবননগর সড়কের ফতেহপুর শিশুতলা নামক স্থানে অবস্থান নেয়। এ সময় কালিগঞ্জগামী একটি যাত্রীবাহি বাস তল্লাশি করে ওই বাসের ৩ সন্দেহভাজন যাত্রীকে নামিয়ে নেয়া হয়।
পরবর্তীতে তাদের শরীর তল্লাশি করে কোমরে লুকানো অবস্থায় প্রত্যেকের কাছ থেকে ৪ টি করে মোট ১২টি অবৈধ স্বর্ণের বার উদ্ধার করা হয়। যার ওজন ৫ কেজি ১৪.৫৯ গ্রাম এবং বাজার মূল্য ৪ কোটি ৮৫ লাখ ৮১ হাজার ৫৪ টাকা।
স্বর্ণের বার গুলো শুল্ক কর ফাঁকি দিয়ে অবৈধভাবে মহেশপুর সীমান্ত দিয়ে ভারতে পাচারের উদ্দেশ্যে বহন ও নিজেদের কাছে রাখার অপরাধে তাদের আটক করা হয়।
আটক ৩ ব্যক্তির বিরুদ্ধে মহেশপুর থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। স্বর্ণের বার গুলো পরীক্ষা শেষে ঝিনাইদহ ট্রেজারী কার্যালয়ে জমা দেয়া হয়েছে বলে তিনি জানান।
মেসেঞ্জার/লিটন/আপেল