ঢাকা,  শুক্রবার
১৮ অক্টোবর ২০২৪

The Daily Messenger

সেন্টমার্টিনে ট্রলার ও স্পীডবোট ডুবিতে তিনজনের মরদেহ উদ্ধার

টেকনাফ (কক্সবাজার) প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ১২:১২, ২৭ জুলাই ২০২৪

আপডেট: ১৪:১৮, ২৭ জুলাই ২০২৪

সেন্টমার্টিনে ট্রলার ও স্পীডবোট ডুবিতে তিনজনের মরদেহ উদ্ধার

ছবি : সংগৃহীত

কক্সবাজারের টেকনাফ শাহপরীর দ্বীপ থেকে সেন্টমার্টিন যাওয়ার পথে বঙ্গোপসাগরে ডুবে যাওয়া ট্রলার ও স্পীডবোটের নিখোঁজ তিনজনের মরদেহ উদ্ধার হয়েছে। তারা হলেন, সেন্টমার্টিনের বাসিন্দা মোহাম্মদ ইসমাঈল, মোহাম্মদ ফাহাদ ও নুর মোহাম্মদ সৈকত।  

শুক্রবার (২৬ জুলাই) সকালে উপজেলার বাহারছড়া সৈকতে ইসমাঈল ও ফাহাদের এবং বিকাল পাঁচটার দিকে সাবরাং জিরো পয়েন্টে নুর মোহাম্মদ সৈকতের মরদেহ ভেসে আসে। পরে স্থানীয়রা মরদেহ উদ্ধার করে পরিবারের সদস্যদের কাছে হস্তান্তর করেন। 

সেন্টমার্টিন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মুজিবুর রহমান বলেন, বুধবার (২৪ জুলাই) বিকালে দ্বীপে আসার পথে একটি ট্রলার এবং উদ্ধার অভিযানে যাওয়া একটি স্পীডবোট ডুবির ঘটনা ঘটেছে। ট্রলার ও স্পীডবোট ডুবির ঘটনায় ১৬ জন জীবিত উদ্ধার হলেও তিনজন নিখোঁজ ছিলেন। তাদের মধ্যে শুক্রবার সকালে ও বিকালে পৃথকস্থানে তিনজনের মরদেহ ভেসে আসে। এরমধ্যে দুইজনের মরদেহ সেন্টমার্টিনে এনে সন্ধ্যার আগে জানাজা ও দাফন শেষ করা হয়।

সেন্টমার্টিনের বাসিন্দা ও ডুবে যাওয়া স্পীডবোটের মালিক মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ বলেন, গত বুধবার বিকাল তিনটার দিকে শাহপরীর দ্বীপ থেকে সেন্টমার্টিন যাওয়ার পথে বঙ্গোপসাগরের 'গরা' নামক এলাকায় একটি ট্রলার ডুবে যায়। ট্রলারটিতে ১৩ জন লোক ছিলেন। খবর পেয়ে সেন্টমার্টিন থেকে আমরা চারটি স্পীডবোট নিয়ে সাগরে নেমে নুর মোহাম্মদ সৈকত নামের একজনকে ছাড়া ১২ জনকে জীবিত উদ্ধার করতে সক্ষম হয়। 

তিনি আরও বলেন, উদ্ধার শেষে চারটি স্পীডবোট দ্বীপে ফেরার পথে আমার স্পীডবোটটি সাগরের বড় ঢেউয়ে উল্টে যায়। আমরা ছয়জনের মধ্যে চারজন রাতেই সাঁতরিয়ে কূলে ফিরেছি। ইসমাইল ও ফাহাদ নিখোঁজ ছিলেন। তন্মধ্যে ইসমাঈল ডুবে যাওয়া ট্রলারের যাত্রী ছিলেন। তাকে আমরা উদ্ধার করে স্পীডবোটে উঠিয়েছিলাম।
 

মেসেঞ্জার/জাকারিয়া/আজিজ