ছবি : মেসেঞ্জার
দেশের প্রথম মেগা প্রকল্প বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) প্রকল্পের কাজ নির্দিষ্ট সময়ে শেষ করা সম্ভব হবে না বলে জানিয়েছেন সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব এ বি এম আমিন উল্লাহ নুরী।
তিনি বলেন, সেপ্টেম্বরে কাজ শেষ হতো, ডিসেম্বরে গাড়ী চলতো। কিন্তু আমাদের সে স্বপ্ন দুষ্কৃতিকারীরা ধুলিস্যাৎ করে দিয়েছে।
শনিবার (২৭ জুলাই) কোটা আন্দোলনের সময় দুস্কৃতিকারীদের হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) প্রকল্প ও গাজীপুর সড়ক ভবন সরেজমিনে পরিদর্শন শেষে গাজীপুর মহানগরীর চান্দনা চৌরাস্তা এলাকায় সড়ক ভবনের সামনে সাংবাদিকদের এসব কথা জানান তিনি।
তিনি বলেন, এটাতো আমাদের জন্য, গাজীপুরবাসীর জন্য অনেক কষ্টের প্রকল্প। গাজীপুরবাসীকে ধন্যবাদ, তারা এ প্রকল্পের জন্য অনেক কষ্ট সহ্য করেছেন। আমরা রাস্তার কাজ করতে গিয়ে, ওভার ব্রীজের কাজ করতে গিয়ে, অন্যান্য কাজ করতে গিয়ে আমরা অনেক সময় নিয়েছি। আগামী সেপ্টেম্বরেই আমাদের কাজ শেষ হত, ডিসেম্বরে গাড়ী চলতো। কিন্তু আমাদের সে স্বপ্ন ওরা (দুস্কৃতিকারীরা) ধুলিস্যাৎ করে দিয়েছে।
তিনি আরও বলেন, আমি বিশ্বাস করি না এটা ছাত্ররা করেছে। ভাঙ্গার যে কৌশল দেখলাম, প্রতিটা এক্সেলেটর পুড়ে গেছে, লিফট পুড়ে গেছে, এক্সাভেটর ভেঙ্গে গেছে, বড় বড় লোহার সাটার ভেঙ্গেছে। এগুলো একেবারে ট্রেইন্ড দুর্বৃত্তরা এ কাজটা করেছে। তারা এগুলো নষ্ট করার আগে একটা পরিকল্পনা-ছক করেছে এবং সে ছক মোতাবেক তারা কাজটা করেছে। এটা এমন নয় যে, অতর্কিত হামলা বা হঠাৎ করে করেছে।
সচিব বলেন, আমার পেছনে যে গাড়ী গুলো দেখছেন একদম নতুন গাড়ী। এখনো নাম্বার পর্যন্ত ফেলানো হয়নি। এমন গাড়ী, এরপরে ক্রেন।
এসময় তিনি বড় ধরণের দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা পাওয়ায় আল্লাহর কাছে শুকরিয়া আদায় করে বলেন, এখানে যদি ডিজেল টা ধরতো তাহলে এ এলাকা ধ্বংস হয়ে যেত। যদি গাড়ীর দু একটা সিলিন্ডার বিস্ফোরিত হত তাহলে ভয়াভহ ঘটনা ঘটে যেত। এটা পরিকল্পিত ধ্বংসযজ্ঞ ঘটানোর জন্য এটা করা হয়েছে।
এসময় তিনি বিভিন্ন ক্ষয় ক্ষতির বিবরণ দিয়ে বলেন, এগুলো আমরা যে মূল্যে কিনেছি, এখন আর সে মূল্যে কিনতে পারব না। ডলারের দাম যখন ৮০ টাকা ছিল তখন কিনেছি। এখন ১২০ টাকা ডলার দিয়ে কিনতে হবে। ফলে আমাদের ব্যাপক ক্ষতি হয়ে গেছে।
যে প্রকল্প আমরা শেষ করতাম সেপ্টেম্বরে, ডিসেম্বরে গাড়ী চালাতাম সে প্রকল্প আবার পিছিয়ে দিল দুস্কৃতিকারীরা।
এক প্রশ্নের জবাবে সচিব বলেন, বিদেশ থেকে আমাদের এক্সপার্টরা এসেছেন। তারা দেখে ঠিক করবেন, কোনটা ঠিক করা যাবে, কোনটা আবার বাইরে থেকে আনতে হবে। এসব কারণে একটু সময় লাগছে। কাজ কবে নাগাদ আবার শুরু করা হবে তা এক সপ্তাহের মধ্যে জানানো হবে।
এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন, বিআরটি প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ড. মো.মনিরুজ্জামান, গাজীপুরের জেলা প্রশাসক আবুল ফাতে মোহাম্মদ শফিকুল ইসলাম, সওজের ঢাকা বিভাগীয় তত্বাবধায়ক প্রকৌশলী কাজী শরিফুল ইসলাম, গাজীপুরের নির্বাহী প্রকৌশলী খন্দকার শরিফুল আলম, জিএমপির উপ পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক) মোঃ আলমগীর হোসেন, সহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ।
মেসেঞ্জার/সাদ/আপেল
