ছবি : সংগৃহীত
হবিগঞ্জের মাধবপুরে দোকানে ঢুকে ১৭ টি মোবাইল ফোন ও এক লাখ টাকা লুটের অভিযোগে দুই পুলিশ কর্মকর্তাকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। রোববার (২৮ জুলাই) দুপুরে হবিগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (এডমিন) সামছুল ইসলাম শামস পুলিশ প্রত্যাহারের সত্যতা নিশ্চিত করেন।
পুলিশ কর্মকর্তা শামস বলেন- পুলিশের অভ্যন্তরীণ একটি তদন্তের পর মাধবপুর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) দ্বীন মোহাম্মদ ও সহকারি উপ-পরিদর্শক (এএসআই) আব্দুল হাকিমকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। তবে কারো অভিযোগের প্রেক্ষিতে তাদেরকে প্রত্যাহার করা হয়নি।
জানা যায়, এ দুইজনের বিরুদ্ধে গত বৃহস্পতিবার মাধবপুর উপজেলার জগদীশপুর বাজারে আলী আহমদ আলতাফের মালিকানাধীন জান্নাত টেলিকমে অভিযান চালান দ্বীন মোহাম্মদ ও আব্দুল হাকিম। এসময় তারা ওই দোকান থেকে বিভিন্ন ব্র্যান্ডের ১৭টি স্মার্ট ফোন ও নগদ এক লাখ টাকা কোন ডকুমেন্ট ছাড়াই নিয়ে আসেন।
পরে আলী আহমদ আলতাফ যোগাযোগ করলে ফোন ও টাকা আনার বিষয়টি অস্বীকার করেন দুই পুলিশ কর্মকর্তা। এ নিয়ে পুরো মাধবপুর উপজেলার ব্যবসায়ীয়দের মধ্যে প্রচণ্ড ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। বিষয়টি পুলিশ সুপার পর্যন্ত গড়ায়। পরবর্তীতে স্থানীয় ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দের মধ্যস্থতায় দুই পুলিশ সদস্য দোকান থেকে লুট করে নেয়া কয়েকটি ফোন সেট ও কিছু টাকা ফেরত দেন।
এরপর শনিবার (২৭ জুলাই) রাতে দ্বীন মোহাম্মদ ও আব্দুল হাকিমকে মাধবপুর থানা থেকে প্রত্যাহার করে হবিগঞ্জ পুলিশ লাইন্সে সংযুক্ত করেন পুলিশ সুপার মো. আক্তার হোসেন।
স্থানীয় ব্যবসায়ীরা জানান, ব্যবসায়ী আলী আহমদ আলতাফের নামে কোন গ্রেপ্তারী পরোয়ানা নেই। তারপরও এসআই দ্বীন মোহাম্মদ ও এএসআই আব্দুল হাকিম সেদিন বিকেলে তার দোকানে গিয়ে তল্লাসী করেন এবং সেখান থেকে ১৭টি মোবাইল ফোন ও এক লাখ টাকা লুটে নেন।
এ বিষয়ে পুলিশ সুপার আক্তার হোসেন বলেন, “এসআই দ্বীন মোহাম্মদ ও এএসআই আব্দুল হাকিমের বিরুদ্ধে একটি অভিযোগ আছে। তদন্তের প্রাথমিক পর্যায়ে তাদের কর্মস্থল থেকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। তদন্ত শেষে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
পুলিশের নিকট এ ব্যাপারে কোন লিখিত অভিযোগ আসেনি এবং মৌখিক অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতেই দুজনকে প্রত্যাহার করা হয় বলে জানান অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (এডমিন) সামছুল ইসলাম শামস।
মেসেঞ্জার/পাবেল/আপেল