ছবিঃ মেসেঞ্জার
সর্বক্ষেত্রে বৈষম্য বিলোপ, ফ্যাসিবাদী শাসনের ভিত্তি উচ্ছেদ ও সাম্প্রদায়িক সহিংসতা রুখে দাঁড়ানো, ছাত্র-জনতা হত্যার বিচার, দুর্নীতির মূল উৎপাটনের দাবিতে মঙ্গরবার (৬ আগস্ট) বিকেল সাড়ে ৪টায় শহরে মিছিল শেষে সাতমাথায় বাম গণতান্ত্রিক জোট, ফ্যাসিবাদ বিরোধী বাম মোর্চা ও বাংলাদেশ জাসদ আয়োজতি সমাবেশে নেতৃবৃন্দ অবিলম্বে আন্দোলনকারী ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন’ ও সকল ছাত্র সংগঠন এবং সকল গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক দলের সাথে আলোচনা করে অন্তবর্তীকালীন সরকার গঠনের ঘোষণার দাবি জানানো হয়েছে।
সমাবেশে ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের বীর শহীদদের শ্রদ্ধা জানিয়ে বলা হয়, গণবিক্ষোভে স্বৈরাচারী শেখ হাসিনার পলায়ন ছাত্র জনতার বিজয়। এই বিজয়কে স্থায়ী করতে হলে স্বৈরাচারী ব্যবস্থার অবসান করে পূর্ণ গণতান্ত্রিক অধিকার ও শ্রমজীবী মানুষের অধিকার আদায়ের সংগ্রাম অব্যাহত রাখতে হবে।
সমাবেশে সারা দেশের মানুষের জান-মালের নিরাপত্তা, ধর্মীয় ও জাতিগত সংখ্যালঘুদের জান-মালের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সচেতন দেশবাসীকে ভূমিকা নেওয়ার আহ্বান জানিয়ে বলা হয়, এই সুযোগে বিভিন্ন জায়গায়, দুর্নীতিবাজ, লুটপাটকারীরা বিভিন্ন অফিসে তাদের দুর্নীতির ফাইল পোড়ানোর উৎসব করতে পারে। এ বিষয়ে দেশবাসীকে সচেতন থেকে দুর্বৃত্তদের রুখে দাঁড়াতে হবে।
সমাবেশে বক্তারা বলেন, শত শত শহীদের রক্তদান ও দীর্ঘ লড়াই ছিল ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে গণতন্ত্রের লড়াই। ফ্যাসিবাদী শাসকের পতনের বিজয় ধরে রাখতে সচেতন দেশবাসীকে পাহারাদারের ভুমিকা নেওয়ারও আহ্বান জানান।
সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন বাম গণতান্ত্রিক জোট বগুড়া জেলার সমন্বয়ক, বাসদ জেলা আহ্বায়ক এড. সা্ইফুল ইসলাম পল্টু, বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি জেলা সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা জিন্নাতুল ইসলাম জিন্না, সাধারণ সম্পাদক কমরেড আমিনুল ফরিদ, বাসদ জেলা সদস্য সচিব এড. দিলরুবা নুরী, বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি জেলা সম্পাদক মণ্ডলীর সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা সন্তোষ কুমার পাল, বাসদ জেলা নেতা সা্ইফুজ্জামান টুটুল, বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি সম্পাদক মন্ডলীর সদস্য সাজেদুর রহমান ঝিলাম বাংলাদেশের সাম্যবাদী আন্দোলন বগুড়া জেলা নেতা আমিনুল ইসলাম, আব্দুল হা্ই নয়া গণতান্ত্রিক গণমোর্চা জেলা নেতা সামসুল আলম, বাংলাদেশ জাসদ নেতা্ ইসমা্ইল হোসেন দুখু প্রমুখ।
মেসেঞ্জার/আলমগীর/তারেক