ছবি : মেসেঞ্জার
ঢাকায় গুলিবিদ্ধ হয়ে লালমনিরহাটের আদিতমারী উপজেলার মহিষখোচার মিরাজ খাঁন (২০) নামে এক শিক্ষার্থীর চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছে।
বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়। মিরাজ মহিষখোচা বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসি উত্তীর্ণ হয়ে কলেজে ভর্তি হয়ে ঢাকায় গার্মেন্টস এ কাজ করতে গিয়েছিলো। মিরাজ উপজেলার মহিষখোচা ইউনিয়নের খাঁনপাড়া এলাকার আব্দুস সালামের পুত্র।
এলাকাবাসী জানায়, আর্থিক অস্বচ্ছলতার জন্য পড়াশুনা তেমন করতে না পেরে কলেজে ভর্তি হয়ে ঢাকায় গিয়ে গার্মেন্টস এ কাজ করতো মিরাজ। ছাত্রত্বের টানে ঢাকার যাত্রাবাড়িতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মিছিলে অংশ নেন তিনি।
গত ৫ আগস্ট সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশ ছেড়ে পালানোর পর যাত্রাবাড়ী থানার সামনে মিছিল চলাকালে দুর্বৃত্তদের গুলিতে আহত হয় মিরাজ।
খবর পেয়ে পরিবার ও আত্মীয়-স্বজনরা প্রথমে যাত্রাবাড়িতে একটি ক্লিনিকে পরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে অপারেশন করানোর চেষ্টা করেও চিকিৎসকের দেখা না পাওয়ায় মঙ্গলবার সকালে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসেন। সেখানে গত বুধবার অপারেশন সম্পন্ন হয় মিরাজের। পরে বৃহস্পতিবার তার মৃত্যু হয়।
মিরাজের মরদেহ গ্রামের বাড়িতে নিয়ে আসা হয়েছে। এদিকে মরদেহ নিয়ে আসার পর এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
মহিষখোচা এলাকার ফিরোজ হোসেন বলেন, খুবই ভালো ছিলো মিরাজ। ভাগ্য পরিবর্তনের জন্য ঢাকায় পাড়ি জমিয়েছিলো। কিন্তু দূর্বত্তের গুলি তার জীবনকে শেষ করে দিলো।
মিরাজের ছোট ভাই রেজাউল ইসলাম জানায়, তার ভাই গুলিবিদ্ধ হওয়ার পর ঢাকায় ঠিকমতো চিকিৎসা না পেয়ে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আনা হয়েছিল। বুধবার অপারেশন হলেও আমার ভাইকে বাঁচানো যায়নি।
মিরাজের বাবা আব্দুস সালাম পুত্রকে হারিয়ে বার-বার মূর্ছা যাচ্ছিলেন। এসময় তিনি তার শহীদ পুত্রের জন্য সকলের নিকট দোয়া চেয়েছেন।
আদিতমারী থানার (ওসি) মাহমুদ উন-নবী বলেন, মিরাজের গুলিবিদ্ধ হয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুর সংবাদ পেয়েছি। তার পরিবারের সাথে কথা বলে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আতিদমারী উপজেলা নির্বাহী অফিসার নুর-ই-আলম সিদ্দিকী বলেন, মিরাজের মারা যাওয়া বিষয়টি জানতে পেরেছি। তিনি মিরাজে পরিবার ও এলাকার লোকজনকে ধৈর্য ধারণ করার আহ্বান জানান।
আনিছুর রহমান লাডলা,লালমনিরহাট ৮আগষ্ট
মেসেঞ্জার/লাডলা/আপেল