ছবিঃ মেসেঞ্জার
জামালপুরে জেলা কারাগারের ফটক ভেঙে কয়েদিরা পালানোর চেষ্টা কারায় ব্যাপক গোলাগুলি ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে। বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) দুপুরে শহরের জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সংলগ্ন জেলা কারাগারে এই ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, দুপুর দেড়টার সময় বন্দিরা কারাগারের ভেতরের ফটক ভেঙে বের হওয়ার চেষ্টা করে। এ সময় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে কারারক্ষীরা গোলাগুলি শুরু করেন। মুহুর্মুহু গুলির শব্দে পাশ্ববর্তী জেলা প্রশাসকের কার্যালয়সহ শহরজুুড়ে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।
প্রায় তিন ঘন্টা থেমে থেমে ব্যাপক গোলাগুলি হয়। গোলাগুলির এক পর্যায়ে কারাগারের অভ্যন্তরে অগ্নিসংযোগ করে কয়েদিরা। আগুনের ধোয়ায় পুরো কারাগার এলাকা ছেয়ে যায়। ঘটনার খবর পেয়ে সেনাবাহিনীর সদস্যরা কারাগারের চারপাশ ঘিরে ফেলে। এ সময় কারাগারের ভেতর থেকে কয়েদীরা বাঁচাও বাঁচাও বলে তাদের আর্তনাদের শব্দ শুনতে পাওয়া যায়।
পরে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা এসে আগুন নেভানো শুরু করে। সেনাবাহিনীর সদস্যরা এ সময় মাইকিং করে কয়েদিদের শান্ত থাকা ও পালিয়ে না যাওয়ার জন্য আহবান জানায়। জামালপুর জেলা কারাগারে আট শতাধিক কয়েদি বন্দি অবস্থায় রয়েছে। এ ঘটনায় তিন কারারক্ষী আহত হয়েছেন, আহতরা হলো- রুকনুজ্জামান (৫০), সাদেকুজ্জামান সাদেক আলী (৪৫) ও জাহিদুল ইসলাম (৪১)।
আহত কারারক্ষীদের জামালপুর জেনারেল হাসাপাতালে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করা হয়েছে। তবে আরও কোন কারারক্ষী বা কয়েদিদের হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি। তাছাড়াও কোন বন্দি পালিয়েছে কিনা তা তাৎক্ষণিক ভাবে জানা যায়নি।
এ ব্যাপারে জেলার আবু ফাত্তাহকে ফোন করা হলে অন্য কেউ একজন ফোন ধরে বলেন, আপনি যাকে ফোন করেছেন তাকে এই মুহুর্তে দেয়া যাবে না। এই কথা বলে ওই ব্যাক্তি ফোন রেখে দেন।
এ ব্যাপারে জেল সুপার চলতি দায়িত্বত ভারপ্রাপ্ত অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মাজহারুল ইসলামের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি ফোন ধরেননি। তবে এই রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত কারাগারের ভেতর গোলগুলির শব্দ শোনা যাচ্ছিল। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসেনি।
মেসেঞ্জার/দুলাল/তারেক