ঢাকা,  বৃহস্পতিবার
৩১ অক্টোবর ২০২৪

The Daily Messenger

লালমনিরহাটে হিন্দু সম্প্রদায়ের বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ সমাবেশ

লালমনিরহাট প্রতিনিধি 

প্রকাশিত: ১৯:২৭, ১১ আগস্ট ২০২৪

লালমনিরহাটে হিন্দু সম্প্রদায়ের বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ সমাবেশ

ছবি : মেসেঞ্জার

চলমান পরিস্থিতিতে দেশের হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর হামলা, ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ লুটপাটের অভিযোগ তুলে লালমনিরহাটে বিক্ষোভ মিছিল প্রতিবাদ সমাবেশ হয়েছে।

রোববার (১১ আগস্ট) দুপুরে লালমনিরহাট শহরের মিশনমোড় গোল চত্বরে হিন্দু সম্প্রদায়ের প্রতিবাদ সভা মিছিল হয়। লালমনিরহাট জেলা পুজা উদযাপন পরিষদ কর্মসূচির আয়োজন করেন।

কর্মসূচিতে অংশ নেওয়া ব্যক্তিরা জেলার বিভিন্ন স্থানে হামলা মন্দির ভাঙচুরের প্রতিবাদে মিছিলে বিভিন্ন শ্লোগান দেন। তারা সরকার প্রশাসনের কাছে হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদাড়ের আহ্বান জানান।

সমাবেশে বক্তারা বলেন, “আজ আমরা আমাদের বাড়িঘর মন্দিরে কয়েক দিন ধরে দিন-রাত পাহারা দিয়ে যাচ্ছি। নিজেদের জানমাল আর সম্ভ্রম রক্ষায় আমরা কাজ করছি। কিন্তু এখন শুধু আত্মরক্ষা করলেই হবে না, সম্মিলিতভাবে প্রতিবাদ করতে হবে।

বক্তারা আরও বলেন, “এই মাটি আমাদের, আমরা এই দেশের নাগরিক। এটা আমাদের পিতৃপুরুষের সম্পত্তি। আমরা আর নিজ গৃহে পরবাসী হয়ে থাকতে চাই না। আমরা কোথাও যেতে চাই না।

সমাবেশে লালমনিরহাট জেলা পূজা উদযাপন কমিটির সভাপতি হিরা লাল রায়, সম্পাদক প্রদীপ চন্দ্র রায়, হিন্দু, বৌদ্ধ, খৃষ্টান ঐক্য পরিষদ নেতা বিধুভূষণ রায়, ইসকন সভাপতি সহ হিন্দু মহাজোটের নেতাকর্মীরা বক্তব্য দেন। বক্তব্যে নেতারা সকলকে ঐক্যবদ্ধ থেকে দুষ্কৃতকারীদের প্রতিহত করার আহ্বান জানান।

সেইসাথে আইন শৃঙ্খলা সকল দলের নেতাকর্মীদের সহযোগীতা প্রত্যাশা করেন। পরে লালমনিরহাট পৌর মেয়র রেজাউল করিম স্বপন জেলা বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক একেএম মমিনুল হক সমাবেশে বক্তব্য দেন সংহতি জানান।

এর আগে সকাল থেকে জেলার বিভিন্ন স্থান থেকে হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজন বিভিন্ন শ্লোগান নিয়ে মিশনমোড় গোল চত্বরে এসে জড়ো হতে থাকে।

এক সময় মিশনমোড় এলাকা লোকে লোকারোন্য হয়ে পড়ে। লোকজনের ভিড়ে সময় লালমনিরহাট-রংপুর মহাসড়ক কয়েকশ যানবাহন আটকা পরে যানজটের সৃষ্টি হয়।

প্রায় দুই ঘন্টা ব্যাপি সমাবেশ চলে। পরে তারা মিছিল নিয়ে গোশালা বাজার মন্দির অভিমুখে রওয়ানা দেয়। মিছিলটি শহরের নর্থ বেঙ্গল মোড় এলাকায় পৌঁছালে সেখানকার একটি ভবনের ছাদ থেকে মিছিলকারীদের উপর দুষ্কৃতকারীরা ঢিল ছুঁড়ে মারে। এসময় অন্তত তিনজন আহত হয়।

সময় মিছিলে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। পরে সেই ভবনে মিছিলকারীরা হামলা চালিয়ে কয়েকটি দোকান একটি মোটরসাইকেল ভাংচুর করে। খবর পেয়ে সেনাবাহিনীর ঘটনাস্থলে যায় এবং পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

মেসেঞ্জার/লাডলা/আপেল