ঢাকা,  শনিবার
২১ ডিসেম্বর ২০২৪

The Daily Messenger

হাতিয়ায় ট্রলার ও স্পীডবোটের ভাড়ায় চলছে চাঁদা আদায়

হাতিয়া (নোয়াখালী) প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ১৬:৩৪, ১৪ আগস্ট ২০২৪

হাতিয়ায় ট্রলার ও স্পীডবোটের ভাড়ায় চলছে চাঁদা আদায়

ছবি : মেসেঞ্জার

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মাধ্যমে ছাত্র-জনতার গণঅভ্যূত্থানে সরকার পদত্যাগ করে পালিয়ে গেলে সকল জায়গায় পরিবর্তন এবং সংস্কার কার্যক্রম শুরু হয়।

তারই ধারাবাহিকতায় দ্বীপ উপজেলা হাতিয়ায় পরিবর্তনের হাওয়া লাগতে শুরু করলেও বন্ধ হয়নি হাতিয়ার সাথে যোগাযোগের অন্যতম রুট নলচিরা-চেয়ারম্যান ঘাটে ট্রলার এবং স্পীডবোটের ভাড়া থেকে চাঁদা বাণিজ্য। সে সাথে রয়ে গেছে যাত্রীদের দুর্ভোগ।

হাতিয়ার সাথে যোগাযোগের প্রধান রুট নলচিরা-চেয়ারম্যান ঘাটে যাত্রীদের যাতায়াতের বাহন স্পীডবোট, ট্রলার সি-ট্রাক। জনপ্রতি পূর্বে ভাড়া ছিল স্পীডবোট ৫শ, ট্রলারে ২৫০ সি-ট্রাকে ১৪৫ টাকা।

সরকার পতনের পর ছাত্ররা ভাড়া কমিয়ে স্পীডবোট ২৫০, ট্রলারে ১৫০ টাকা নির্ধারণ করে দেয়। সি-ট্রাকের ভাড়া বিআইডবিউটিসির নির্ধারিত হওয়ায় তা অপরিবর্তীত রয়েছে। এতে করে সাধারণ যাত্রীরা খুশি হলেও বন্ধ হয়নি সুকৌশলে ঘাটে চাঁদাবাজি।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক ব্যক্তি জানান, ছাত্ররা দেশ স্বাধীন করেছে কিন্তু হাতিয়া খেয়া ঘাট এখনো স্বাধীন হয়নি। এক গ্রুপের চাঁদা বন্ধ হলেও আরো অনেক গ্রুপ শক্রিয় হয়েছে। বোটের ভাড়া কমিয়ে ১৫০ টাকা করা হলেও সেখান থেকে ৫০ টাকা চাঁদা নেওয়া হচ্ছে।

স্পীডবোট ভাড়া ২৫০ টাকা করা হলেও নেওয়া হচ্ছে ৩০০ টাকা সেখান থেকেও ৫০ টাকা নেওয়া হচ্ছে। আবার ২৫০ টাকা বলে স্পীডবোটে তুলে মাঝ নদীতে গিয়ে আরো ১৫০ টাকা আদায় করেন। এছাড়াও মাছের ঝুড়ি থেকে টাকা আদায় কয়েকজন স্থানীয় নেতাকে চাঁদার ভাগ দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে।

চাঁদা আদায়ের বিষয়ে ঘাটের দায়িত্ব পালন করা মনু মাঝি এবং রুবেল মাঝি বলেন, ঘাট থেকে কাউকে চাঁদা দেওয়া হয়না। ছাত্ররা যে ভাড়া নির্ধারণ করে দিয়েছে আমরা তাই নিচ্ছি। সি-ট্রাক আগে একবার চলতো এখন দুইবার চলে। যে কারণে আগের মত বোটে যাত্রী হয়না। ঘাটে ইজারাদারের কোন লোকজন নেই। আমাদের প্রায় ১৯ জন লোক কাজ করে তাদের বেতন বাবদ বোটের ভাড়া থেকে ৫০ টাকা নেওয়া হচ্ছে। তাও আমাদের খরচ পোষায় না।

মুঠোফোনে বিষয়ে হাতিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার শুভাশীষ চাকমা বলেন, সরকারি সী-ট্রাক দৈনিক দুই বার দুই দিক থেকে সার্ভিস দেয়ার বিষয়ে আমরা ডিসি মহোদয়ের সাথে আলাপ করে ব্যবস্থা করেছি। স্পীডবোট এবং ট্রলার সার্ভিসের ভাড়া নির্ধারণের বিষয়ে ছাত্ররা নৌবাহিনী মিলে সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এখানে কোন পক্ষ যদি চাঁদা আদা করে এবং তার সুনির্দিষ্ট অভিযোগ আসে আমরা ব্যবস্থা নিব।

মেসেঞ্জার/জিল্লুর/আপেল