ছবি : মেসেঞ্জার
নাশকতার মামলায় সাবেক পানিসম্পদমন্ত্রী ও ঠাকুরগাঁও-১ আসনের আওয়ামী লীগের সাবেক সংসদ সদস্য রমেশ চন্দ্র সেনকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
শনিবার (১৭ আগস্ট) দুপুরে মাথায় পুলিশের হেলমেট ও বুলেট প্রুফ জ্যাকেট পরিয়ে আদালতের এজলাসে রমেশ চন্দ্রকে তোলা হয়। পরে জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট রাজিব কুমার রায় শুনানি শেষে বিচারক রমেশ চন্দ্র সেনকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পদাক এন্তাজুল হক বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, কোটাবিরোধী আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের হত্যার উদ্দেশ্য হামলা ও তাদের লক্ষ্য করে ককটেল-বোমা বিস্ফোরণ ঘটনায় রমেশ চন্দ্র সেনসহ ৪০ জনকে অভিযুক্ত করে মামলা হয়েছে। ওই মামলায় রমেশ চন্দ্রকে আদালতে তোলা হলে বিচারক তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি জয়নাল আবেদীন জানান, সাবেক সংসদ সদস্য রমেশ চন্দ্র সেনের পক্ষে কোনো আইনজীবী ছিলেন না। এমনকি আত্মপক্ষ সমর্থন করে তিনি আদালতে কোনো বক্তব্যও দেননি। পুরোটা সময় রমেশ চন্দ্র সেন নিশ্চুপ ছিলেন।
এ মামলায় রমেশ চন্দ্র সেন ছাড়াও আসামি করা করা হয় জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও যুবলীগের সভাপতি আব্দুল মজিদ আপেল, জেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক সমীর দত্তসহ আওয়ামী লীগের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীদের।
মামলার বাদী রিপন বাবু এজাহারে উল্লেখ করেন, গত ১৬ জুলাই বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ৮’শ থেকে ১ হাজার জন ছাত্র-ছাত্রী ঠাকুরগাঁও বালক উচ্চ বিদ্যালয়ে প্রধান ফটকের সামনে পাকা রাস্তার উপর শান্তিপুর্ণভাবে অবস্থান করেন।
এ সময় আসামিরা আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের উপর বেআইনীভাবে দলবদ্ধ হয়ে হত্যার উদ্দেশ্যে হামলা করে। পরে ককটেল-বোমা বিস্ফোরণ ঘটিয়ে জনমনের ভীতি সৃষ্টি করে পালিয়ে যায়।
এর আগে গত শুক্রবার রাত সাড়ে ১০ টার দিকে সদর উপজেলার রুহিয়া এলাকার বাড়ি থেকে তাঁকে আটক করে পুলিশ। সাবেক সংসদ রমেশ চন্দ্র সেন বর্তমানে আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পদে আছেন। ২০০৯ থেকে ২০১৪ পর্যন্ত তিনি পানিসম্পদমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্বপালন করেন।
তিনি ১৯৯৭ সালের ১৮ ফেব্রুয়ারি উপ-নির্বাচনে ঠাকুরগাঁও-১ আসন থেকে প্রথম সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। এরপর ২০০৮, ২০১৪, ২০১৮ ও ২০২৪ সালে সংসদ সদস্য হিসেবে জয়ী হন।
মেসেঞ্জার/আরিফ/আপেল
