ঢাকা,  রোববার
২২ ডিসেম্বর ২০২৪

The Daily Messenger

চাটমোহরে প্রধান শিক্ষক ও সাবেক সভাপতির দুর্নীতির প্রতিবাদে বিক্ষোভ

চাটমোহর (পাবনা) প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ১৬:৪৯, ২২ আগস্ট ২০২৪

চাটমোহরে প্রধান শিক্ষক ও সাবেক সভাপতির দুর্নীতির প্রতিবাদে বিক্ষোভ

ছবি : মেসেঞ্জার

পাবনার চাটমোহর উপজেলার বাঙালা বহুমূখী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সাবেক সভাপতির নানা অনিয়ম দুর্নীতির বিচারের দাবিতে ক্লাস, পরীক্ষা বর্জন বিক্ষোভ করেছে শিক্ষার্থীরা।

বৃহস্পতিবার (২২ আগস্ট) সকাল ১০ থেকে দুপুর পর্যন্ত শিক্ষকদের অবরুদ্ধ করে রাখে তারা। তবে অবস্থা বেগতিক দেখে স্কুল সটকে পড়েন প্রধান শিক্ষক। পরে স্থানীয়দের হস্তক্ষেপে এবং বিচারের আশ্বাস দেওয়ার পর অন্য শিক্ষকদের মুক্ত করা হয়।

শিক্ষার্থীদের অভিযোগে জানা গেছে, শিক্ষক-কর্মচারী নিয়োগে বাণিজ্যে করে অর্থ আত্মসাৎ, স্কুলের ফান্ডের টাকা তছরুপ, সুপেয় পানির ব্যবস্থা না থাকাসহ নানা অনিয়ম দুর্নীতি করেছেন ওই স্কুল প্রধান শিক্ষক তোরাব হোসেন এবং সাবেক সভাপতি বজলুর রহমান। এতে স্কুলের শিক্ষার পরিবেশ নষ্ট হচ্ছিল। কিন্তু প্রভাবশালী হওয়ার কারণে সব শিক্ষার্থী এতোদিন প্রতিবাদ করে সাহস পায়নি।

তবে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিদায়ের পর প্রতিবাদ করার পরিবেশ ফিরে আসায় এবং স্কুলের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতিদের অপসারণ করায় বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই বিক্ষোভ শুরু করে শিক্ষার্থীরা। সময় রোববার পর্যন্ত আল্টিমেটাম দিয়ে শিক্ষার্থীরা তাদের স্বুল কর্তৃপক্ষের কাছে লিখিত দাবি পেশ করে।

দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী, নাঈম হোসেন, জুবায়ের, শিমুল হোসেন, পাপিয়া আক্তারসহ বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থী বলেন, প্রধান শিক্ষক ম্যানেজিং কমিটির সাবেক সভাপতি যোগসাজশ করে দীর্ঘদিন ধরে নানা দুর্নীতি করেছেন। আমরা কখনো ভয়ে মুখ খুলতে পারিনি।

কিন্তু এখন সময় এসেছে প্রতিবাদ করার। আমরা লিখিত দাবি পেশ করেছি। স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ রোববার প্রধান শিক্ষককে হাজির করে এগুলোর সমাধানের আশ্বাস দিয়েছে বলে জানায় তারা।

অভিযোগের ব্যাপারে জানতে চেয়ে প্রধান শিক্ষক তোরাব হোসেনের মোবাইলে বার বার কল দেওয়া হলেও তিনি রিসিভ না করায় বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।

বিষয়ে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মগরেব আলী বলেন, ক্লাস বা পরীক্ষা বর্জন করে কোনো সুরাহা হয় না।

শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে কলেজে পড়ুয়া এক শিক্ষার্থীর সাথে কথা হয়েছে। তাদের অভিযোগ সম্প্রতি শিক্ষক-কর্মচারী নিয়োগের নামে বাণিজ্যে করা হয়েছে। যদি এমন হয়ে থাকে বিষয়টি তদন্তপূর্বক আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান তিনি।

মেসেঞ্জার/পবিত্র/আপেল