ছবি: মেসেঞ্জার
বরগুনা সদর উপজেলার ঘটবাড়িয়া এলাকায় সুজন (২১) নামে এক যুবকের মরদেহ পাওয়া গেছে। সুজন ৪ নং কেওড়াবুনিয়া ইউনিয়নের জাকিরতবক (যুইগ্যা) গ্রামের বাদল ফরাজীর ছেলে।
জানা যায়, ১৯ আগস্ট সন্ধ্যায় কোটা আন্দোলনে অংশগ্রহণকে কেন্দ্র করে বরগুনা সদর উপজেলার ৪ নং কেওড়াবুনিয়া ইউনিয়নের ঘটবাড়িয়া বাজারে জাকিরতবক গ্রামের দেলোয়ার ফরাজীর ছেলে আরিফ (২২) কে এলাকার কিছু উগ্র লোক মারধর করে মারধরকে কেন্দ্র করে আরিফের পরিবার ২০ আগস্ট সকালে বরগুনা সদর থানায় মামলা করেন।
মামলার খবর জানার পর আসামিরা ওই দিন বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে ঘটবাড়িয়া বাজারে দলবদ্ধভাবে এসে বাদী পক্ষের কাছে কেনো মামলা করেছে জানতে চান। দুপক্ষের মাঝে প্রথমে কথা কাটাকাটি ও পরে এক পর্যায়ে তুমুল সংঘর্ষ ও ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপাকুপি হয়।
এতে অনেকেই আহত হন। পরবর্তীতে ২২ আগস্ট জাকির তবক গ্রামের বাদল ফরাজীর ছেলে সুজন নিখোঁজ হন। সুজনের আত্মীয়-স্বজন অনেক খোঁজাখুজি করেও সুজনের সন্ধান পাননি।
দুদিন পর শনিবার (২৪ আগস্ট) সকালে জাকির তবক গ্রামের ইন্তাজ আলীর কন্যা নিলুফা ফরাজির বাড়ির পশ্চিম পাশে একটি নালার মধ্যে একটি মরদেহ দেখতে পেয়ে স্থানীয় লোকজন ডাক-চিৎকার দিলে আশে পাশের লোকজন জড়ো হন। মরদেহটির মুখমণ্ডল পলিথিনের বস্তা দিয়ে পেঁচেয়ি স্যালাইনের পাইপ দিয়ে বাঁধা অবস্থায় ছিলো।
খবর পেয়ে নিহতের পিতা বাদল ফরাজী এসে মরদেহটি তার পুত্র বাদলের বলে শনাক্ত করেন। স্থানীয় লোকজন থানা পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে লাশটি পোস্টমটেমের জন্য বরগুনা সদর হাসপাতালে প্রেরণ করেন।
মেসেঞ্জার/হিমাদ্রি/শাহেদ