ছবি : মেসেঞ্জার
নোয়াখালীর মূল ভূখন্ড থেকে বিচ্ছিন্ন দ্বীপ উপজেলা হাতিয়ার সাধারণ মানুষের যাতায়াতের অন্যতম প্রধান মাধ্যম নলচিরা-চেয়ারম্যান ঘাট নৌ-রুটে দীর্ঘদিনের যাতায়াতের দুর্ভোগ লাঘবে ফেরি চলাচলের আশ্বাস দিয়েছেন নৌ-পরিবহণ সচিব মোস্তফা কামাল।
তিনি জানান, যাত্রীদের সুবিধার জন্য আমাদের যা যা করা দরকার আমরা সব কিছু করতে প্রস্তুত। এছাড়া বিগত বছরগুলোতে যে সমস্যা হয়েছে লঞ্চ যাতায়াতে এবং যাত্রীদের সুবিধা অনুযায়ী ভাড়া কমিয়ে আনা হবে।
হাতিয়া দ্বীপের সঙ্গে ফেরি যোগাযোগ নিশ্চিত করা যায় কিনা সেজন্য আমরা কারিগরি কমিটি দিয়ে যাচাই বাছাই করে পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
ইতিমধ্যে হাতিয়ায় পরিদর্শনে এসেছে বিআইডব্লিউটিএর পরিচালক আশিকুজ্জামানের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল। তারা আশ্বাস দিয়েছেন যে অল্প সময়ের মধ্যে নলচিরা-চেয়ারম্যান ঘাট নৌ-রুটে ফেরি চলাচলের জন্য কার্যক্রম শুরু করা হবে।
গত মঙ্গলবার (২০ আগস্ট) বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক আবদুল হান্নান তার নিজ জন্মস্থান হাতিয়া দ্বীপের যাতায়াত ব্যবস্থার উন্নতির জন্য নৌ পরিবহণ সচিব মোস্তফা কামালের কাছে বেশ কিছু দাবি জানান।
দাবিগুলো হচ্ছে- হাতিয়ার দক্ষিণাংশের নলচিরা ঘাট থেকে উত্তরাংশের চেয়ারম্যান ঘাট রুটে একটি আধুনিক ফেরি চালু করা, চরচেঙ্গা-তমরুদ্দি-চেয়ারম্যান ঘাট রুটে সি-ট্রাক পুণরায় চালু করা, প্রাইভেটভাবে একটি স্টিমার চালানোর অনুমতি প্রদান করা, চট্টগ্রাম-হাতিয়া রুটে প্রতিদিন জাহাজ চালানের ব্যবস্থা করা, ঘাট কেন্দ্রিক সবধরনের নৈরাজ্য বন্ধ করা ও ঢাকা-হাতিয়া আরও দুটি লঞ্চ সংযোগ করা।
আব্দুল হান্নান মাসুদ জানান, আমরা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন থেকে এখন একটা রাষ্ট্র সংস্কারের কাজে নিজেকে নিয়োজিত করেছি। আমি হাতিয়ার সন্তান হিসেবে এটা আমার নৈতিক দায়িত্ব বলে মনে করি। যে যতদূর সম্ভব হাতিয়ার মানুষের দীর্ঘদিনের আশা আকাঙ্খার প্রতিফলন ঘটানো যায়।
এজন্য আমি নৌ পরিবহন সচিবের সাথে কথা বলেছি হাতিয়াতে একটি ফেরি দেওয়ার জন্য। এছাড়াও আরো কিছু দাবি উপস্থাপন করেছি।
হাতিয়াতে বিআইডব্লিউটিএর একটি প্রতিনিধি দল ইতোমধ্যে পরিদর্শনে গিয়েছে এবং সেখানে আমারও একটি প্রতিনিধি দল ছিল। সচিব মহোদয় দুই মাসের মধ্যে আমাদের দাবিগুলো পূরণের আশ্বাস দিয়েছেন।
মেসেঞ্জার/জিল্লুর/আপেল
