ছবি: মেসেঞ্জার
টানা বৃষ্টিপাতের ফলে সড়কের বিভিন্ন স্থান ভেঙে যাচ্ছে। বৃষ্টির পানির বেগে সড়কের পাশে সৃষ্টি হয়েছে বড় বড় গর্ত। পানি নামতে থাকায় ভেঙে যাচ্ছে। সড়কের এই ক্ষতিগ্রস্থ অংশ মেরামতে নেমেছে স্থানীয় যুব সমাজ। জনস্বার্থে দুই দিন ধরে বালুর বস্তা ফেলে আপাতত ভাঙন ঠেকাতে কাজ করছেন একঝাঁক যুবক-তরুণ!
মাদারীপুর জেলার শিবচর উপজেলার উৎরাইল নয়াবাজার থেকে আড়িয়াল খাঁ নদের সেতু পর্যন্ত নতুন সড়কটির বিভিন্ন স্থানের ভেঙে যাওয়া অংশ মেরামত করতে দেখা গেছে তাদের।
জানা গেছে, উৎরাইল নয়াবাজার থেকে শিবচর যেতে আড়িয়াল খাঁ নদের উপর নির্মিত সেতুর সংযোগ সড়কের নয়াবাজার সংলগ্ন অংশের একাধিক স্থানে বৃষ্টির ফলে গর্ত তৈরি হয়েছে। টানা বৃষ্টিপাতের ফলে সড়কের পাশে রাস্তাসহ ভেঙে পরেছে কয়েক স্থানে। তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা না নিলে বৃষ্টিতে সড়ক আরও ভেঙে যেতে পারে।
সড়কের এই অবস্থা দেখে দুইদিন ধরে উৎরাইল ও সংলগ্ন এলাকার একঝাঁক যুবক ও তরুণেরা ভাঙ্গা অংশ মেরামতে স্বেচ্ছাশ্রমে কাজ করছে। বস্তার মধ্যে বালু ভরে সড়কের ভাঙ্গা অংশ মেরামতের চেষ্টা করছে।
স্থানীয় যুবকেরা জানান,'এই সড়ক দিয়েই উপজেলা শহরের সাথে আমাদের যোগাযোগ করতে হয়। প্রতিদিন অসংখ্য মানুষ ও যানবাহ চলাচল করে। আড়িয়াল খাঁ নদের সেতু এবং এই সড়কটি সদ্য নির্মিত। বৃষ্টির কারণে সড়কের পাশে বালু সরে গিয়ে গর্ত হয়ে যাচ্ছে। যেহেতু বৃষ্টি অব্যাহত আছে, তাই আমরা নিজ উদ্যোগে সড়কের ভাঙন ঠেকাতে চেষ্টা করছি। বালুর বস্তা ফেলে গর্ত বন্ধ করছি।'
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, ২০২৩ সালের (৪ নভেম্বর) শিবচরের আড়িয়াল খাঁ নদের উপর নির্মিত ৫শত ৫০ মিটার দৈর্ঘ্যের 'লিটন চৌধুরী' সেতুর উদ্বোধন করা হয়। সেতুর সঙ্গে দেড় কিলোমিটারের সংযোগ সড়ক রয়েছে। সড়কটি নয়াবাজার থেকে সেতুর সাথে গিয়ে মিশেছে। এই সড়ক হয়ে প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষ শিবচর সদরের সাথে যোগাযোগ রক্ষা করে।'
স্থানীয়রা জানান,'রাস্তাটি দ্রুত মেরামত না করলে আরও ভেঙে যাবে। এই এলাকার যুবকেরা নিজ উদ্যোগে বালুর বস্তা ফেলে ভাঙন রোধ করার চেষ্টা করছে। তবে সরকারি ভাবে দ্রুত স্থায়ী সমাধান করা জরুরী।'
স্থানীয় সোহাগ মাতুব্বর বলেন,'বৃষ্টিতে বালু সরে যাওয়ায় সড়কের বিভিন্ন স্থানে গর্ত হয়ে ভেঙে যাচ্ছে। এই এলাকার মানুষের জন্য গুরুত্বপূর্ন সড়কটি। ভাঙন রোধে আমরা সাময়িক ব্যবস্থা নিয়েছি। স্থায়ী ভাবে দ্রুত ব্যবস্থা নেয়া জরুরী।'
মেসেঞ্জার/ইমতিয়াজ/তারেক