ঢাকা,  শনিবার
২১ ডিসেম্বর ২০২৪

The Daily Messenger

ফুলের মালা দিয়ে বরণ করে প্রধান শিক্ষককে ফেরালো শিক্ষার্থীরা

দিনাজপুর প্রতিনিধি 

প্রকাশিত: ১৬:৪৮, ২৯ আগস্ট ২০২৪

ফুলের মালা দিয়ে বরণ করে প্রধান শিক্ষককে ফেরালো শিক্ষার্থীরা

ছবি: মেসেঞ্জার

স্বৈরাচারী সরকারের পতনের পর চারদিকে যখন শিক্ষার্থীদের দাবির মুখে প্রতিষ্ঠান প্রধানরা পদত্যাগ করছেন তখন ভিন্ন চিত্র দেখা গেছে দিনাজপুর বিরল উপজেলার ধুকুরঝাড়ী দ্বিমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ে। অজ্ঞাত ব্যাক্তিরা প্রধান শিক্ষকের অনুপস্থিততে তালা ঝুলিয়ে দেয়। অবশেষে শিক্ষার্থীদের চাপের মুখে খুলে দেয়া হয় সেই তালা। 

বৃহস্পতিবার (২৯ আগস্ট) সকালে ধুকুরঝাড়ী দ্বিমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা তাদের প্রধান শিক্ষক বিমল চন্দ্র রায়কে ফুলের মালা পরিয়ে দিয়ে বরণ করে নেন। এর আগে (১৭ আগস্ট) প্রধান শিক্ষকের কক্ষে তালা ঝুলিয়ে দেয়া হয়। 

ধুকুরঝাড়ী দ্বিমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা জানান, আমাদের প্রধান শিক্ষক দীর্ঘদিন ধরে আমাদের স্কুল সুন্দর ভাবে পরিচালনা করে আসছেন। কিন্তু (১৭ আগস্ট) যখন শিক্ষাবোর্ডে স্কুলের কাজে যান, তখন অজ্ঞাত কিছু ব্যাক্তি স্যারের নামে অভিযোগ তুলে তার রুমে তালা ঝুলিয়ে দেন।

আমাদের অন্যান্য শিক্ষকগণও এজন্য মর্মাহত। আজকে আমরা সব শিক্ষার্থীরা একত্রিত হয়ে স্যারকে ফুলের মালা দিয়ে বরণ করে আবারো তার আসনে বসিয়ে দিয়েছি। সবখানেই প্রধান শিক্ষকের পদত্যাগের জন্য আন্দোলন করছে। কিন্তু আমরা তো স্যারের পদত্যাগ চাই না। আমাদের কাছে স্যার অনেক ভালো মানুষ। সবসময় আমাদের শিক্ষার ও স্কুলের উন্নয়ন করেছেন। 

স্কুলের প্রধান শিক্ষক বিমল চন্দ্র রায় জানান, (১৭ আগস্ট) স্কুলের কাজে শিক্ষাবোর্ডে যাই। এসময় ফোনে জানতে পারি আমার কক্ষে তালা ঝুলিয়ে দেয়া হয়েছে। এর আগেও অসুস্থতার জন্য ছুটির আবেদন করি। তারপর থেকে আমি ছুটিতে ছিলাম।

আজকে স্কুলের শিক্ষক -শিক্ষার্থীদের অনুরোধে স্কুলে আসি। শিক্ষার্থীরা আমাকে ফুল দিয়ে বরণ করে নেয়। আমি সকল শিক্ষক শিক্ষিকাগণ, অভিভাবক, ম্যানেজিং কমিটির সাথে আলোচনা করে স্কুলের উন্নয়নের কাজ অব্যাহত রাখব। পাশাপাশি শিক্ষার্থীরা কয়েকটি দাবি জানিয়েছে, সেই দাবিসমুহ বাস্তবায়ন করে লেখা পড়ার মান বজায় রেখে স্কুলের সার্বিক উন্নয়নে কাজ করব। 

কয়েকজন স্থানীয় জানান, বেশ কয়েকটি অভিযোগের ভিত্তিতে প্রধান শিক্ষক বিমল চন্দ্র রায়ের কক্ষে তালা ঝুলিয়ে দেয় কয়েকজন। এসব অভিযোগ তদন্তের জন্য উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা ও সংশ্লিষ্টদের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি। তদন্ত সাপেক্ষে যেন প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হয়।

মেসেঞ্জার/কুরবান/তারেক