ঢাকা,  বুধবার
০৪ ডিসেম্বর ২০২৪

The Daily Messenger

শিবচর নন্দকুমার ইনস্টিটিউশন

বিদ্যালয়ের সাবেক প্রধান শিক্ষককে স্বপদে পূনর্বহালের দাবীতে মানববন্ধন

মাদারীপুর প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ১৬:১০, ৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪

বিদ্যালয়ের সাবেক প্রধান শিক্ষককে স্বপদে পূনর্বহালের দাবীতে মানববন্ধন

ছবি : মেসেঞ্জার

মাদারীপুর জেলার শিবচরের নন্দ কুমার মডেল ইনস্টিটিউশনের সাবেক প্রধান শিক্ষক মো. রুহুল আমিনকে স্ব-পদে পুনর্বহালের দাবীতে মানববন্ধন করেছেন বিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থীসহ সাধারণ মানুষ।

পরে তারা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার মাধ্যমে শিক্ষামন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা বরাবর একটি স্মরকলিপি প্রদান করেন। মো. রুহুল আমিনকে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের পদ থেকে ২০১৫ সালের (১ জুলাই) অন্যায় ভাবে ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে পদত্যাগে বাধ্য করেন বলে স্মারকলিপিতে উল্লেখ করা হয়।

মঙ্গলবার (৩ সেপ্টেম্বর) বেলা ১১ টার দিকে শিবচর পৌর এলাকার সড়ক ৭১ এ বিদ্যালয়টির প্রাক্তন শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও সচেতন জনসাধারণ এই মানববন্ধনের আয়োজন করে। বিদ্যালয়টির বিভিন্ন ব্যাচের সাবেক শিক্ষার্থী এবং অভিভাবকেরা উপস্থিত ছিলেন।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, মো. রুহুল আমিন ২০০৮ সালের (২ ফেব্রুয়ারি) বিদ্যালয়টিতে প্রধান শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ পেয়ে যোগদান করেন। টানা ৭ বছর বিদ্যালয়টিতে সুনামের সাথে চাকুরি করেন। আওয়ামীলীগ সরকারের সময় রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে তাকে পদত্যাগে বাধ্য করার অভিযোগ রয়েছে চীফ হুইপসহ স্থানীয় আওয়ামীলীগ নেতৃবৃন্দের বিরুদ্ধে।

স্মারকলিপিতে বলা হয়েছে, তৎকালীন সময়ে সরকারের ঘোষণা অনুযায়ী মডেল স্কুল প্রকল্পভুক্ত করতে নন্দকুমার ইনস্টিটিউশনকে বাদ দিয়ে শেখ ফজিলাতুন্নেছা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের নাম প্রকল্পভুক্ত করতে সাবেক চিফ হুইপ নূর-ই আলম চৌধুরী চেষ্টা করেন।

সেখানে নিজ বিদ্যালয়কে রাখতে চেষ্টা করেন প্রধান শিক্ষক রুহুল আমিন। মূলত তখন থেকেই দ্বন্দ্বের সূত্রপাত ঘটে। এরপর ভবনের বরাদ্দ, বিদ্যালয় জাতীয়করনসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে দ্বন্দ্ব আরও প্রকট হয়ে উঠে। এরই মধ্যে জামায়াতে ইসলামীর রাজনীতিতে সম্পৃক্ত থাকার অভিযোগ তুলেন ক্ষমতাসীনরা। এক পর্যায়ে তাকে বিদ্যালয় থেকে অপসারন করা হয়।

মানববন্ধনে বক্তারা বলেন,'রুহুল আমিন স্যার একজন আদর্শ ও যোগ্য শিক্ষক ছিলেন। আওয়ামীলীগ সরকারের সময় শিবচরের ক্ষমতাসীন দলের নেতৃবৃন্দ তাকে মিথ্যা অভিযোগ এনে জোরপূর্বক চাকুরিচ্যুত করেন। এবং বড় ধরনের অর্থদন্ডে দন্ডিত করেন। বর্তমানে তিনি মানবেতর জীবন যাপন করছেন। আমরা তাকে স্বপদে বহালের দাবী জানাই।'

বক্তারা আরও বলেন,'নন্দকুমার ইনস্টিটিউশনের সাবেক প্রধান শিক্ষক রুহুল আমিন স্যার জামায়াতের রাজনীতির সাথে জড়িত এমন কথা বলে চাপ প্রয়োগ করেন। নানা হুমকি দিয়ে, জোর করে পদত্যাগ করাতে বাধ্য করেন। তবে তিনি পদত্যাগপত্রে স্বাক্ষর করেননি। প্রাণ ভয়ে বিদ্যালয় ছেড়ে চলে এসেছিলেন।' শিবচর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা(ইউএনও) আবদুল্লাহ আল মামুন জানান,'শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাননীয় উপদেষ্টা বরাবর একটি স্মারকলিপি মানববন্ধনকারীরা পাঠিয়েছেন।'

মেসেঞ্জার/ইমতিয়াজ/তারেক