ছবি : মেসেঞ্জার
(৫ আগস্ট) সরকার পরিবর্তনের পর বেশ কিছুদিন পুলিশিং কার্যক্রম বন্ধ থাকে। এর মধ্যে হবিগঞ্জের বানিয়াচং থানায় আগুন দিয়ে সম্পূর্ণ পুড়ে ফেলা হয়। এরপর সারাদেশের ন্যায় হবিগঞ্জের পুলিশের দায়িত্বেও ব্যাপক রদবদল হয়। (৩১ আগস্ট) এই জেলায় পুলিশ সুপার হয়ে আসেন মো. রেজাউল হক খান।
নবাগত এই পুলিশ সুপার জেলার আইনশৃঙ্খলা সম্পর্কিত সার্বিক পরিস্থিতি জানতে বুধবার (৪ সেপ্টেম্বর) বেলা ১২টায় নিজ সভাকক্ষে সাংবাদিকদের সাথে এক মতবিনিময় করেন। এসময় জেলায় কর্মরত সাংবাদিকরা এতে অংশ নেন। সভার শুরুতেই বৈষম্যমুক্ত নতুন বাংলাদেশ গড়ার আন্দোলনে যারা শহীদ হয়েছেন তাদের বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করা হয়।
পুলিশ সুপার মো. রেজাউল হক খান তার বক্তব্যে বলেন, আমি হবিগঞ্জের যোগদানের পর বিভিন্ন স্তরের পুলিশ সদস্যদের সাথে মতবিনিময় করে অতীতের ভুল থেকে শিক্ষা নিয়ে নতুন করে পুলিশকে জনগণের বন্ধু হিসেবে কাজ করার জন্য উদ্বুদ্ধ করছি। অতিমাত্রায় ক্ষতিগ্রস্ত বানিয়াচং থানা পরিদর্শন করেছি।
জেলার প্রতিটি থানায় স্বাভাবিক কার্যক্রম ফিরে আসতে শুরু করেছে। আমরা পুলিশকে পেশাদার, জবাবদিহিমূলক, জনবান্ধব ও রাজনৈতিক প্রভাবমুক্ত সুশৃঙ্খল বাহিনী হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে বদ্ধ পরিকর। এক কথায় আমরা সুন্দর মন নিয়ে স্বচ্ছতার সাথে কাজ করতে চাই।
সাংবাদিকদের উদ্দেশে পুলিশ সুপার বলেন, দেশে নতুন এই অধ্যায়ের সূচনালগ্নে পুলিশ ও রাষ্ট্রের চতুর্থ স্তম্ভ সাংবাদিকদের সম্পর্ক হবে পরস্পরের পরিপূরক। বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ পরিবেশন ও প্রদানের মাধ্যমে দেশ গঠন ও পুলিশের কার্যক্রমে সার্বিক সহযোগিতা কামনা করছি। যাতে আইনের শাসন, মানবাধিকার ও পুলিশের প্রতি জনগণের আস্থা ফিরিয়ে আনা যায়। শতভাগ ঘুষ ও দুর্নীতি মুক্ত জেলা পুলিশ গঠন করার লক্ষ্যে আমি কাজ করব।
মতবিনিময় সভায় সাংবাদিকরা হবিগঞ্জের বিভিন্ন বিষয়ে পুলিশ সুপারকে অবগত করেন। সেই সাথে অতীতের কর্মকর্তাদের মত যেন বক্তৃতাতেই সীমাবন্ধ না থেকে বাস্তবে পরিবর্তন করার জন্য পুলিশ সুপারকে অনুরোধ করা হয়। এতে অন্যানের উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সামছুল ইসলাম সামছ, আমিনুল ইসলাম, পুলিশ পরিদর্শক মো. কামরুল হাসান।
সভায় বক্তব্য রাখেন হবিগঞ্জ প্রেসক্লাবের সভাপতি রাসেল চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক আবু হাসিব খান চৌধুরী পাবেল, সাবেক সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা গোলাম মোস্তফা রফিক, শোয়েব চৌধুরী, ফজলুর রহমান, মোহাম্মদ নাহিজ প্রমুখ।
মেসেঞ্জার/পাবেল/তারেক