ছবি : মেসেঞ্জার
ফেনীতে বন্যা পরবর্তী সময়ে ডাইরিয়া সহ বিভিন্ন অসুখ ছড়িয়ে পড়ায় হাসপাতালে স্থান সংকুলান হচ্ছেনা মর্মে বিভিন্ন পত্র পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশিত হলে সংবাদটি বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ও জিয়াউর রহমান ফাউন্ডেশনের প্রেসিডেন্ট তারেক রহমানের নজরে আসে।
তিনি তাৎক্ষণিক এ বিষয়ে পদক্ষেপ গ্রহনের জন্য জিয়াউর রহমান ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক ও বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য ডা: ফরহাদ হালিম ডোনার কে নির্দেশ প্রদান করেন।
তারই প্রেক্ষিতে ডা: ডোনার জিয়াউর রহমান ফাউন্ডেশনের কার্যকরী কমিটির সদস্য ও রিহেবিলিটেশন কমিটির আহবায়ক বিশিষ্ট অর্থপেডিক সার্জন ডা: শাহ আমানুল্লাহ ও বিএনপি জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য মশিউর রহমান বিপ্লব কে এ বিষয়ে খোঁজ খবর নিয়ে কি ব্যবস্থা গ্রহন করা প্রয়োজন তা অবহিত করার জন্য নির্দেশনা প্রদান করেন।
তারই প্রেক্ষিতে ফেনী সদর উপজেলা বিএনপির আহবায়ক ফজলুর রহমান বকুল, সদস্য সচিব আমান উদ্দিন কায়সার সাব্বির, পৌর বিএনপির আহবায়ক দেলোয়ার হোসেন বাবুল, সদস্য সচিব এডভোকেট মেজবাহ উদ্দিন ভূইয়া মঙ্গলবার (৩ সেপ্টেম্বর) বিকালে ফেনী সদর হাসপাতালে যান।
তারা সেখানে গিয়ে জিয়াউর রহমান ফাউন্ডেশন ও ড্যাব নেতাদের নিয়ে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করেন এবং কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে জিয়াউর রহমান ফাউন্ডেশন এর পক্ষ থেকে রুগিদের চিকিৎসায় সর্বাত্মক সহযোগিতা করার আশ্বাস দেন।
তারই ধাবাহিকতায় বুধবার (৪ সেপ্টেম্বর) সকালে নেতৃবৃন্দ হাসপাতালে গিয়ে কতৃপক্ষের সাথে আলোচনা করে সমস্যা সমূহ জানেন। হাসপাতাল কতৃপক্ষ জানান মেডিসিন বিশেষজ্ঞ ও শিশু রোগ বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক নেই হাসপাতালে এবং রুগির মাত্রা স্বাভাবিকের চেয়ে বহুগুনে বেশি হওয়ায় কিছু কিছু ওষুধের সংকট দেখা দিয়েছে।
বিশুদ্ধ খাওয়ার পানিরও সংকট আছে। এ সময় নেতৃবৃন্দ বলেন জিয়াউর রহমান ফাউন্ডেশন এর পক্ষ থেকে সকল বিষয়ে সাধ্যমত সর্বোচ্চ সহযোগিতা করা হবে। ইতিমধ্যে কয়েক হাজার লিটার পানি রুগিদের জন্য সরবরাহ করা হয়েছে। এ সময় উপস্থিত ছিলেন ফেনী সদর হাসপাতালের তত্বাবধায়ক ডা: আবুল খায়ের মিয়াজী, সহকারী পরিচালক ডা: জালাল হোসেন, আরএমও ডা: আসিফ ইকবাল ও ড্যাব ফেনীর সাধারণ সম্পাদক ডা: মোবারক হোসেন দুলাল প্রমুখ।
উল্লেখ্য যে, জিয়াউর রহমান ফাউন্ডেশন সব সময় মানুষের উপকারে কাজ করে। করোনা মহামারি ও বন্যার সময় এ সংগঠন নিপিড়ীত মানুষের পাশে ছিলো এবং সব সময় সকল সংকটে থাকবে। এই সংকটময় মুহূর্তে ফাউন্ডেশনের ভাইস প্রেসিডেন্ট বিশিষ্ট চিকিৎসক ডা:জোবায়দা রহমান যথেষ্ট উদ্বেগ ও উৎকন্ঠার মধ্যে রয়েছেন।
উনার ভাবনা কিভাবে এই দূর্দশাগ্রস্ত মানুষের চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত করা যায়। তিনি প্রতিনিয়ত ফাউন্ডেশনের দায়িত্বশীল ব্যাক্তিদের যোগাযোগ রক্ষা করে নির্দেশনা দিচ্ছেন, যাতে করে বন্যাদূর্গত একটি মানুষও চিকিৎসা সেবার বাইরে না থাকে। শিশু থেকে বৃদ্ধ, নারী-পুরুষ প্রতিটি মানুষেরই সুচিকিৎসা নিশ্চিত হয়।
মেসেঞ্জার/তারেক