ছবি: মেসেঞ্জার
কুমিল্লার তিতাসে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে হামলা ও বিস্ফোরণের অভিযোগে সাবেক দুই এমপিসহ আওয়ামী লীগের ১৪২ নেতাকর্মীর নামে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৫ সেপ্টেম্বর) রাতে তিতাস থানায় জামির হোসেন বাদী হয়ে এই মামলা দায়ের করেন। জামির হোসেন উপজেলার সদর কড়িকান্দি ইউনিয়নের কড়িকান্দি গ্রামের আব্দুর রহিমের ছেলে। মামলায় আরও ১৫০-২০০ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে। তিতাস থানার ওসি কাজী নাজমুল হুদা মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
মামলার এজাহারে উল্লেখযোগ্য আসামিদের মধ্যে রয়েছেন- কুমিল্লা-১ (দাউদকান্দি-তিতাস) সংসদীয় আসনের সদ্য সাবেক এমপি ইঞ্জি. আবদুস সবুর, জাতীয় পার্টির সাবেক এমপি আমির হোসেন ভুইয়া, দাউদকান্দি উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মেজর অব. মোহাম্মদ আলী সুমন, তিতাস উপজেলা চেয়ারম্যান পারভেজ হোসেন সরকার, ভাইস চেয়ারম্যান ফরহাদ আহমেদ ফকির, সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান শাহীনুল ইসলাম সোহেল শিকদার, তিতাস উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি শওকত আলী, সাধারণ সম্পাদক মহসিন ভূইয়া, কড়িকান্দি সদর ইউপি চেয়ারম্যান সাইফুল আলম মুরাদ, মজিদপুর ইউপি চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলম, সাবেক চেয়ারম্যান ফারুক সরকার, কলাকান্দি ইউপি ইব্রাহিম, ভিটিকান্দি ইউপি চেয়ারম্যান বাবুল আহম্মেদ, নারান্দিয় ইউপি চেয়ারম্যান আরিফুজ্জামান খোকাসহ উপজেলা আওয়ামী লীগ যুবলীগের আরও অনেকে।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, গত ৫ আগস্ট বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনকে নস্যাৎ করতে এবং আন্দোলনকারীদের হত্যার উদ্দেশ্যে সাবেক দুই এমপির নির্দেশে তিতাস উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এলাকায় ছাত্র জনতার ওপর হামলা, এলোপাতাড়ি গুলি ও ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায়। এতে কয়েকজন রক্তাক্ত জখম এবং ছাত্রজনতার শান্তিপূর্ণ সমাবেশকে ছত্রভঙ্গ করে দেয়া হয়।
মামলার বাদি জামির হোসেন এজাহারে উল্লেখ করেন, ছাত্র জনতার আন্দোলনের সাথে একাত্মতা প্রকাশ করে কড়িকান্দি বাজার থেকে মিছিলে অংশগ্রহণ করেন। মিছিলটি গৌরীপুর-হোমনা সড়কের তিতাস উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সামনে গেলেই হামলার মুখে পড়ে।
মেসেঞ্জার/সাগর/শাহেদ