ছবি : মেসেঞ্জার
কলেজের ১৬ প্রভাষক মিলে এক দরখাস্ত লিখতে ১৪ টি বানান ভুল করেছে। সম্প্রতি এরকম ঘটনা ঘটেছে নীলফামারীর ডিমলা উপজেলার গয়াবাড়ী স্কুল এন্ড কলেজে। এ ঘটনার পর থেকে শিক্ষার্থীদের মধ্যে প্রশ্ন জেগেছে যে, প্রভাষকদের শিক্ষাগত যোগ্যতা নিয়ে। এতো জন প্রভাষক মিলে কিভাবে এতো বানান ভুল করে প্রশ্ন শিক্ষার্থীদের।
সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ঘুরে বেড়ানো ভুলে ভরা সেই দরখাস্তটি পড়ে দেখা যায়, অপসারন (অপসারণ), স্বাক্ষরকারীগন (স্বাক্ষরকারীগণ), অংশগ্রহন (অংশগ্রহণ), ভূগিতেছি (ভুগতেছি/ভুগছি), পরিসিস্থিতি (পরিস্থিতি), শিক্ষকগন (শিক্ষকগণ), ষরযন্ত্র (ষড়যন্ত্র), প্রবাহীত (প্রবাহিত), পরিসিস্থিতি (পরিস্থিতি), শিক্ষকগন (শিক্ষকগণ), দুর্নিতি (দুর্নীতি), অপসারন (অপসারণ), বিষম্য (বৈষম্য), প্রভাষকগন (প্রভাষকগণ) বানান ভুল। তাছাড়াও সেখানে ইং তারিখের পরিবর্তে খ্রিষ্টাব্দ হবে। কম্পিউটার টাইপের পরিবর্তে কম্পিউটার কম্পোজ হবে। এছাড়াও দরখাস্তটিতে সাধু ও চলিত ভাষার মিশ্রণ রয়েছে।
এ প্রসঙ্গে নবম শ্রেণী শিক্ষার্থী রশিদ ই মেজবা মাহিন বলেন, ১৬ দফা দাবি শিক্ষকদের দেয়া হলে তারা নিজ ইচ্ছায় আমাদের সাথে ঐক্যমত পোষণ করে এবং স্বাক্ষর করেন। অভিযোগের শিক্ষকগণ যা লিখেছে তার অধিকাংশই মিথ্যা এবং ভিত্তিহীন। শিক্ষকগণ সাধারণ শিক্ষার্থীদের বখাটে বলে চরম অপমান করেছে।
নবম শ্রেণীর আরেক শিক্ষার্থী মোমেন শাহরিয়ার রাজ বলেন, আমরা কোনো শিক্ষককে জোরপূর্বক ভাবে স্বাক্ষর নেওয়ার চেষ্টা করিনি। অথচ প্রভাষক স্যারেরা উল্লেখ করেছেন উনাদের হেনস্তা ও অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করা হয়েছে। আমরা শিক্ষকদের গালিগালাজ বা কোন ধরনের হেনস্তা করিনি। এটা সম্পূর্ণ উদ্দেশ্যপ্রণোদিত এবং মিথ্যা।
গয়াবাড়ী স্কুল এন্ড কলেজের প্রাক্তন শিক্ষার্থী আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, ১৬ প্রভাষক মিলে অল্প কয়েক লাইনের একটা দরখাস্তে এতগুলো ভুল বিষয়টি অত্যন্ত দুঃখজনক। দরখাস্তটি পড়ে স্যারদের শিক্ষাগত যোগ্যতা নিয়ে যথেষ্ট প্রশ্ন তৈরি হয়েছে। যারা শিক্ষার্থীদের শেখাবেন তাদের যদি শিক্ষাগত যোগ্যতার প্রশ্ন থাকে তাহলে তারা কিভাবে শিক্ষার্থীদের সঠিক শিক্ষা প্রদান করবেন?
এ বিষয়ে জানতে চাইলে প্রভাষক জাহাঙ্গীর আলম বলেন, কামরুজ্জামান স্যার সবার সাথে কথা বলে স্বাক্ষর নেন। সেই সময় আমি তিন বার বের হয়ে আসতে চাইলে আমার কাছ থেকে জোরপূর্বক স্বাক্ষর নেন।
অভিযোগ পত্রে স্বাক্ষরদানকারী প্রভাষক শিখা রানী সরকার বলেন, অভিযোগ পত্রটি না পড়েই আমি কামরুজ্জামান স্যারের কথায় স্বাক্ষর করি।
দরখাস্তে এতো গুলো ভুল কিভাবে হলো এই বিষয়ে জানার জন্য প্রভাষক কামরুজ্জামানের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আমি কি তোমার কাছে পরীক্ষা দিছি। তুমি কি এই বিষয়ে আমাকে নাম্বার দিবে। এক পর্যায়ে রাগান্বিত হয়ে তিনি অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন।##
মেসেঞ্জার/রিপন/আজিজ