ছবিঃ মেসেঞ্জার
ভোলার চরফ্যাসনে রোগীর সুচিকিৎসা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের সাধারণ শিক্ষার্থীরা ১৭ দফা দাবি তুলে ধরেছে।
সোমবার (৯ সেপ্টেম্বর) সকাল ১১টায় শিক্ষার্থীরা চরফ্যাসন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গেলে উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডাক্তার শোভন বসাক যৌক্তিক বেশ কিছু দাবি সংস্কারের আশ্বাস দেন শিক্ষার্থীদের।
এসময় শিক্ষার্থীরা ১৭ দফা দাবিতে উল্লেখ করেন, সরকারি হাসপাতালে সঠিক সময় ডাক্তার চেম্বারে আসেনা, তাই আমরা চাই সকাল ৮টা থেকে দুপুর আড়াইটা পর্যন্ত চেম্বারে থাকবে ডাক্তার।
এছাড়াও ইমারজেন্সি ডক্টর সেফটি লেজার এবং সিসিটিভি মনিটরিং করতে হবে। তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণীর কর্মচারীদের উপজেলা থেকে উপজেলায় পরিবর্তন করতে হবে। সরকারি সাপ্লাইকৃত সকল মেডিসিন সকল রোগী যেন সঠিকভাবে পায় সেটার সঠিক মনিটরিং করতে হবে, এক্সরে আল্ট্রাস সাউন্ড ও প্যাথলজিকাল টেস্ট ২৪ঘন্টা চালু রাখতে হবে। ঔষধ কোম্পানির প্রতিনিধিরা নির্দিষ্ট সময় ব্যতিত হসপাতালে ডাক্তারদের সাথে দেখা করতে পারবে না এবং রোগীর প্রেসক্রিপশন এর ছবি তুলতে পারবে না। প্রাইভেট ক্লিনিকে টেস্ট বাণিজ্য বন্ধ করতে হবে। অদক্ষ নার্স ও টেকনিশিয়ান পরিহার করতে হবে। শতভাগ ডেলিভারি সিজার বানিজ্য ও ব্লাড বানিজ্য বন্ধ করতে হবে এবং নরমাল ডেলিভারি নিশ্চিত করতে হবে।
এসময় সম্প্রতি সেন্ট্রাল ইউনাইটেড হাসপাতাল অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারের গাইনি চিকিৎসক ডা. আখি আক্তারের ভুল চিকিৎসায় প্রসূতি মায়ের মৃত্যুর সঠিক তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানান। আর কোন ভুল চিকিৎসায় কোন প্রসূতি মা যেন মৃত্যু না হয় সেটি নিশ্চিত করতে হবে।
এসময় চরফ্যাসন উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. শোভন বসাক বলেন, শিক্ষার্থীদের ১৭ দফা দাবির মধ্যে সিসিটিভি মনিটরিং ব্যবস্থা আগে থেকেই রয়েছে এছাড়াও যেগুলো আমার আওতায় আছে সেগুলো দ্রুত সময়ের মধ্যে সংস্কার করা হবে এবং সকল বিষয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করে যথাযথ সংস্কারের চেষ্টা করবো।
মেসেঞ্জার/সাইফুল/সৌরভ