ছবিঃ মেসেঞ্জার
আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পরও বন্ধ হয়নি চাঁদা সংগ্রহ। চরফ্যাসন উপজেলা সদরে চাঁদা তোলা নিয়ে দুই গ্রুপের মধ্যে হামলার ঘটনায় ৫ জন আহত হয়েছে।
মঙ্গলবার (১০ সেপ্টেম্বর) দুপুরে সিএনজি থেকে চাঁদা তোলার সময় চাঁদা না দেয়ার প্রতিবাদ করায় এই হামলার ঘটনা ঘটে।
জানাে যায়, সদর রোড সিএনজি স্ট্যান্ডে ড্রাইভার মাহফুজের নেতৃত্বে মুরাদ নামের একজন সিএনজি ড্রাইভার প্রতিটি সিএনজি থেকে ৩০টাকা করে চাঁদা আদায় করে। আর এ চাঁদা না দেয়ার জন্য প্রতিবাদ করলে মাহফুজ, মুরাদ ও মেহেদী সিএনজি ড্রাইভারদের লাঠিসোঁটা নিয়ে হামলা করে মারধর করে বলে অভিযোগ করেন ভুক্তভোগী মো. মনির।
অভিযোগকারী বলেন, মুরাদ চাঁদার টাকা নিতে আসলে মেহেদী ৩০ টাকা চাঁদা দেয়। এসময় আমরা একাধিক ড্রাইভার বাঁধা দিলে তারা আমাকেসহ রুহুল আমিন (৪০) রিয়াজ (৩৫) ও বেলাল (৩৭) এবং জাকির (৩২) কে এলোপাথাড়ি মারধর করে জখম করে। পরে আমরা হাসপাতাল থেকে প্রাথমিক চিকিৎসা গ্রহণ করি।
রুহুল আমিন ও মনির বলেন, দেশে নির্বাচিত সরকার গঠন না হওয়া পর্যন্ত আমরা কোনো রকম চাঁদা দেবোনা এবং কোনো চাঁদা সংগ্রহ করতে দেয়া হবে না। অন্যথায় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
জানা গেছে, চরফ্যাসন উপজেলায় প্রায় শতাধিক সিএনজি রয়েছে। আওয়ামীলীগ সরকারের সময়কালে চরফ্যাসন পৌরসভার টোলসহ ১০০ টাকা করে চাঁদা দিতেন বলে জানান সিএনজি ড্রাইভাররা।
হামলায় অভিযুক্ত মাহফুজ ও মুরাদ হামলার ঘটনা অস্বীকার করে বলেন, আমরা এই হামলার সাথে জড়িত নই।
চরফ্যাসন থানার ওসি শাখাওয়াত হোসেন বলেন, চাঁদা সংগ্রহের বিষয়ে কেউ অভিযোগ করেনি। লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনি পদক্ষেপ নেয়া হবে।
মেসেঞ্জার/সাইফুল/সৌরভ