ঢাকা,  শনিবার
২১ ডিসেম্বর ২০২৪

The Daily Messenger

চিলমারীতে চেয়ারম্যানকে অপসারণের দাবি

চিলমারী (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি 

প্রকাশিত: ১৮:০৫, ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৪

আপডেট: ১৮:৩২, ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৪

চিলমারীতে চেয়ারম্যানকে অপসারণের দাবি

ছবিঃ মেসেঞ্জার

কুড়িগ্রামের চিলমারীতে স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা ও ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানের অপরসারণ চেয়ে ইউপি সদস্যরা জেলা প্রশাসকের নিকট অভিযোগ দাখিল করেছেন। 

লিখিত অভিযোগ পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মো. সাইদুল আরীফ।

অভিযুক্ত ওই চেয়ারম্যানের নাম আসাদুজ্জামান আসাদ। তিনি নয়ারহাট ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান।  

তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন অনিয়ম ও স্বেচ্ছাচারিতার অভিযোগ এনে পরিষদের ৩ জন ওয়ার্ড সদস্য ও ২ জন সংরক্ষিত নারী সদস্য জেলা প্রশাসকের কাছে লিখিত অভিযোগ করেছেন।

এই সদস্যরা হলেন ২ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য মো. রহমত আলী, ৩ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য আব্দুস ছাত্তার, ৪ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য মো. সানোয়ার হোসেন এবং ১, ২,৩ নম্বর ওয়ার্ডের সংরক্ষিত সদস্য মোছা. ফাতেমা বেগম ও ৪,৫,৬ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য মোছা: ফাতেমা বেগম।

লিখিত অভিযোগে এই ইউপি সদস্যরা উল্লেখ করেছেন, ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান আসাদ খেরুয়ার চরে নতুন আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘর দেয়ার নাম করে বিভিন্ন জনের কাছ থেকে ১৫ থেকে ২০ হাজার করে টাকা নিয়েছেন। কিন্তু অদ্যবদি ঘর দিতে না পারায় তাদের তোপের মুখে এলাকা ছাড়েন। নদী পাড়াপাড়ের খেয়াঘাট উন্মুক্ত ডাকের মাধ্যমে না করে গোপনে ১ লাখ ৩০ হাজার টাকায় ইজারা দিয়ে আত্মসাত করেন। 

পরিষদের উন্নয়ন তহবিল সহায়তার ১ম ও ২য় কিস্তির মোট ১১ লাখ ৭১ হাজার ৪’শ টাকা মনগড়া প্রকল্পে ব্যয় করেছেন। 

এডিপি ও ইউড্রেন বরাদ্দের একই অবস্থা জানিয়ে তারা আরও উল্লেখ করেছেন, টিআর, কাবিখা- কাবিটা ও ননওয়েজ প্রকল্পের চলমান কাজ শতভাগ দেখিয়ে বিল উত্তোলন ও আত্মসাত করেন। 

এবিষয়ে অভিযুক্ত চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান আসাদ বলেন, তিনি নিয়মিত ইউপি অফিসে আসছেন। যে সব দূর্নীতির অভিযোগে আপসারণ চাওয়া হয়েছে তা ভিত্তিহীন।

কুড়িগ্রাম জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সাইদুল আরীফ জানান, অভিযোগ পেয়েছি তাই তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।

মেসেঞ্জার/রাফি/সৌরভ