ছবিঃ মেসেঞ্জার
মুন্সিগঞ্জ সদরে অনৈতিক সম্পর্কের জেরে প্রবাসী স্বামীকে পরিকল্পিতভাবে হত্যার ঘটনার ১৪ বছর পর স্ত্রী সহ ৪ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। এ ছাড়া প্রত্যেককে ১ লাখ জরিমানা ও অনাদায়ে আরও ৬ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
মঙ্গলবার (১০ সেপ্টেম্বর), দুপুর ৩টার দিকে অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ ২য় আদালতের বিচারক খালেদা ইয়াসমিন ঊর্মি এ রায় দেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছে আদালতের রাষ্ট্রপক্ষের এপিপি (অ্যাডভোকেট) সিরাজুল ইসলাম পল্টু।
দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন,রাজধানী ঢাকার উত্তর যাত্রাবাড়ী এলাকার ভিকটিম মোশারফ হোসেনের স্ত্রী রেশমা, নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জ উপজেলার মৃত মনু মিয়ার ছেলে মোঃ ফারুক মিয়া, কুমিল্লার মেঘনা থানার বন্ধনপুর গ্রামের বদুরজ্জামান বাদলের ছেলে নাসির উদ্দিন মিঠু ও ভিকটিম মোশারফের সৎ ভাই মোঃ বেলায়েত হোসেন। এদের মধ্যে সকল আসামী পলাতক রয়েছে।
মামলার এজাহার থেকে জানা যায়,ঢাকার উত্তর যাত্রাবাড়ী এলাকার মৃত আমির হোসেনের ছেলে গ্রীস প্রবাসী ভিকিটিম মোশারফ হোসেনের সাথে বিয়ে হয় মুন্সিগঞ্জ সদর উপজেলার পাচঁঘড়িয়াকান্দি এলাকার হোসেন সরকারের মেয়ে রেশমার সাথে। দুই সন্তান সহ রাজধানী ঢাকার উত্তর যাত্রাবাড়ি এলাকায় বসবাস করতেন পরিবার নিয়ে।
২০১০ সালের ৯ আগস্ট গ্রিস প্রবাসী মোশারফ হোসেন বাংলাদেশে আসেন। স্ত্রী রেশমার সঙ্গে দেখা করতে পরদিন ১০ আগস্ট মুন্সিগঞ্জের পাচঁঘড়িয়াকান্দি শশুড় বাড়ি আসেন মোশারফ হোসেন। শশুড় বাড়ি থেকে ফেরার পথে একই দিন সন্ধ্যার দিকে শহরের লিচুতলায় পৌছাঁলে দুইটি মটরসাইকেলে অজ্ঞাতনামা ৪ জন এসে মোশারফ হোসেনকে গুলি করে পালিয়ে যায়। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
এ ঘটনায় ২০১০ সালের ১১ আগস্ট অজ্ঞাতনামা আসামীদের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করেন নিহত মোশারফ হোসেনের মা হাজেরা বেগম।মামলার শুনানি শেষে মঙ্গলবার আদালত এ রায় দেন।
মামলার এজাহারে তিনি উল্লেখ করেন, নিহত মোশারফ হোসেন গ্রীসে অবস্থানকালে তার সৎ ভাই দন্ডপ্রাপ্ত আসামী বেলায়েত হোসেনের সাথে অনৈতিক সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে রেশমা। অনৈতিক সম্পর্কের জেরে ভাড়াটিয়া খুনিদের মাধ্যমে এ হত্যাকন্ড ঘটিয়েছেন।
মেসেঞ্জার/শুভ/সৌরভ