ঢাকা,  বুধবার
১৫ জানুয়ারি ২০২৫

The Daily Messenger

রংপুরে কবর থেকে তোলা হলো ছাত্র আন্দোলনে নিহত শ্রমিকের মরদেহ

রংপুর ব্যুরো  

প্রকাশিত: ১৭:২১, ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪

আপডেট: ১৭:২৩, ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪

রংপুরে কবর থেকে তোলা হলো ছাত্র আন্দোলনে নিহত শ্রমিকের মরদেহ

ছবি : মেসেঞ্জার

৫৮ দিন পর উত্তোলন করা হলো (১৯ জুলাই) রংপুর সিটি বাজারের সামনে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালীন পুলিশ এবং আওয়ামী লীগ সন্ত্রাসী দের গুলিতে নিহত স্বর্ণ শ্রমিক মোসলেম উদ্দিন মিলনের মরদেহ। রোববার (১৫ সেপ্টেম্বর) দুপুরে নগরীর মুন্সিপাড়া কবরস্থান থেকে আদালতের আদেশে ময়না তদন্তের জন্য তার মরদেহ  উত্তোলন করা হয়। এসময় নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট আহমেদ শাহাদত, সেনাবাহিনী, মেট্রোপলিটন পুলিশের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আহমেদ শাহাদাত জানান, মিলন নিহতের ঘটনায় তার স্ত্রী দিলরুবা বাদি হয়ে হত্যা মামলা করেন। (১৯ জুলাই) বিকেলে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে রংপুর সিটি বাজারের সামনে পুলিশ ও আওয়ামীলীগ নেতাকর্মীদের গুলিতে আহত মেরাজুলকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হলে তিনি মারা যান।

কিন্তু সে সময় আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর চাপে ময়নাতদন্ত ছাড়াই মরদেহ দাফন করে তার পরিবার। আদালতের আদেশে   ময়নাতদন্তের জন্য তার মরদেহ উত্তোলন করা হলো। ময়নাতদন্ত শেষে যথাযথ নিয়মে আবারো তার মরদেহ দাফন করা হবে।

বাদির আইনজীবি অ্যাডভোকেট মোফাজ্জল হোসেন বকুল জানান, এ ঘটনায় রংপুর বিভাগীয় কমিশনার জাকির হোসেন, রংপুর রেঞ্জের সাবেক ডিআইজি আব্দুল বাতেন, রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের সাবেক কমিশনার মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান, রংপুর জেলার সাবেক পুলিশ সুপার মো. শাহজাহান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (এ সার্কেল) হুসাইন মোহাম্মদ রায়হান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (বি সার্কেল) আবু আশরাফ সিদ্দিকী, সাবেক বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি, সাবেক স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী, সাবেক সংসদ সদস্য নাছিমা জামান ববি, জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি আব্দুল মালেক, সাধারণ সম্পাদক আব্দুল হক প্রামাণিক, আওয়ামী লীগ নেতা রাশেক রহমান, সাবেক সংসদ সদস্য আবুল কালাম মোহাম্মদ আহসানুল হক চৌধুরী ডিউক, জেলা আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক ছায়াদাত হোসেন বকুল, মহানগর আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি সাফিয়ার রহমান সাফি ও সাবেক সাধারণ সম্পাদক তুষার কান্তি মন্ডলের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতদের আসামী করা হয়েছে। তিনি জানান, ন্যায় বিচারের স্বার্থে আমরা এই মামলা করেছি। আশা করি আদালত ন্যায় বিচার নিশ্চিতের মাধ্যমে সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করবে।

মিলন রংপুর নগরীর পূর্ব গনেশপুর এলাকার মন্টু মিয়ার পুত্র। মামলার বলা হয়, (১৯ জুলাই) বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে সিটি বাজার এলাকায় পুলিশ ও আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের সঙ্গে ছাত্র-জনতার সংঘর্ষে ৮ থেকে ১৭নং আসামিদের প্ররোচনা ও উসকানিতে ১ থেকে ৭নং আসামিদের নির্দেশে ২, ৩, ৪, ৬ ও ৭নং আসামিসহ হেলমেট পরিহিত পুলিশ সদস্যরা এলোপাতাড়ি গুলি ছুড়ে। এতে মিলন গুলিবিদ্ধ হলে তাকে উদ্ধার করে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। পরে আসামিদের চাপে মরদেহের ময়নাতদন্ত না করেই তড়িঘড়ি করে দাফন করা হয়।

মেসেঞ্জার/মান্নান/তারেক