ঢাকা,  বৃহস্পতিবার
১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪

The Daily Messenger

লক্ষ্মীপুরে ছাত্র হত্যা মামলায় পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি গ্রেপ্তার  

লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি 

প্রকাশিত: ১৩:৫৯, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪

লক্ষ্মীপুরে ছাত্র হত্যা মামলায় পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি গ্রেপ্তার  

ছবি: মেসেঞ্জার

লক্ষ্মীপুরে পৃথক দুটি হত্যাসহ পুলিশের ওপর হামলার ঘটনায় মামলার এজাহারভুক্ত আসামি পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি সৈয়দ আহম্মদ পাটওয়ারীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

সোমবার (১৬ সেপ্টেম্বর) রাতে পৌরসভার ৩ নম্বর ওয়ার্ডের বাঞ্ছানগর এলাকার বাসা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইয়াছিন ফারুক মজুমদার মঙ্গলবার সকালে তাকে গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, হত্যা মামলার আসামি পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি সৈয়দ আহম্মদকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এতোদিন তিনি আত্মগোপনে ছিলেন।

গ্রেপ্তার সৈয়দ আহম্মদ পাটওয়ারী শিক্ষার্থী আফনান পাটওয়ারী হত্যা মামলার ১৩ নম্বর, সাব্বির হোসেন রাসেল হত্যা মামলার ৮১ নম্বর ও পুলিশের দায়েরকৃত মামলার ৮ নম্বর আসামি।

থানা পুলিশ সূত্র জানায়, ৪ আগস্ট বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে আওয়ামী লীগ-যুবলীগ ও ছাত্রলীগসহ অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা শহরের ঝুমুর-মাদাম ব্রিজ ও তমিজ মার্কেট এলাকায় আন্দোলনরত ছাত্রজনতার ওপর হামলাসহ গুলি চালায়। এতে ৪ শিক্ষার্থী গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যায়। এরমধ্যে নিহত শিক্ষার্থী আফনান পাটওয়ারীর মা নাছিমা আক্তার ও সাব্বির হোসেন রাসেলের বাবা আমির হোসেন সদর মডেল থানায় পৃথক দুটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।

আফনান হত্যায় এজাহারে ৭৫ জনের নাম ও সাব্বির হত্যায় ৯১ জনের নাম উল্লেখ করা হয়। এ দুই মামলায় ৭০০ জনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে। এছাড়া ৪ আগস্ট দায়িত্বরত কাজে বাধাসহ পুলিশের ওপর হামলার ঘটনায় সদর মডেল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আনবিক চাকমা বাদী হয়ে ১৯ জনের নাম উল্লেখ করে মামলা দায়ের করেন। এতে ৭০০ জনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়। প্রত্যেকটি মামলায় সদর উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও জেলা যুবলীগের সাবেক সভাপতি একেএম সালাহ উদ্দিন টিপুকে প্রধান আসামি করা হয়েছে।

২০ আগস্ট রাতে সাব্বির হত্যা মামলার এজাহারভুক্ত আসামি লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও চররুহিতা ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান হুমায়ুন কবীর পাটওয়ারীকে রাজধানীর বসুন্ধরা আবাসিক এলাকা থেকে আটক করে শিক্ষার্থীরা। পরে তাকে ভাটারা থানা পুলিশের কাছে সোপর্দ করা হয়।

মেসেঞ্জার/শিবলু/আজিজ

×
Nagad