ঢাকা,  শুক্রবার
২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪

The Daily Messenger

গণপিটুনির শিকার জাবির সাবেক ছাত্রলীগ নেতার মৃত্যু

সাভার (ঢাকা) প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ১৩:১২, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪

গণপিটুনির শিকার জাবির সাবেক ছাত্রলীগ নেতার মৃত্যু

ছবি : মেসেঞ্জার

গণপিটুনির শিকার হয়ে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের (জাবি) সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক শামীম আহমেদ ওরফে শামীম মোল্লা মারা গেছেন। বুধবার (১৮ সেপ্টেম্বর) রাত ১০টার দিকে সাভারের গণস্বাস্থ্য সমাজভিত্তিক মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আশুলিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আবু বকর সিদ্দিক।

নিহত শামীম আহমেদ ওরফে শামীম মোল্লা (৩৪) আশুলিয়ার আশুলিয়া ইউনিয়নের কাঠগড়া মোল্লাবাড়ী এলাকার ইয়াজ উদ্দিন মোল্লার ছেলে। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩৯তম ব্যাচের ইতিহাস বিভাগের শিক্ষার্থী ছিলেন বলে জানা গেছে। 

জানা যায়, শামীম মোল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের পার্শ্ববর্তী ইসলামনগর এলাকায় থাকতেন। গত ১৫ জুলাই রাতে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের বাসভবনে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ওপর সন্ত্রাসী হামলা ও গুলি বর্ষণের ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে ক্যাম্পাস শাখা ছাত্রলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক শামীম আহমেদ ওরফে শামীম মোল্লাকে মারধর করা হয়। বুধবার বিকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের জয় বাংলা ফটক এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। পরে তাকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল বডির হাতে তুলে দেওয়া হয়। 

প্রত্যক্ষদর্শী ও নিরাপত্তা কর্মকর্তাদের সূত্রে জানা যায়, বুধবার বিকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের জয় বাংলা (প্রান্তিক গেইট) ফটকসংলগ্ন একটি দোকানে অবস্থান করছিলেন শামীম মোল্লা। বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল শিক্ষার্থী সেখানে গিয়ে তাকে আটক করে গণধোলাই দেন। পরে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল টিম উপস্থিত হয়। একপর্যায়ে নিরাপত্তাকর্মীদের সহায়তায় তাকে নিরাপত্তা শাখায় নিয়ে আসা হয়। এরপর প্রক্টরিয়াল টিম খবর দিলে আশুলিয়া থানা পুলিশের একটি দল আসে। এ সময় পুলিশ ও প্রক্টরিয়াল টিম শামীমকে ১৫ জুলাই রাতে উপাচার্যের বাসভবনে হামলার ঘটনার বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করে। পরে তাঁকে আশুলিয়া থানা পুলিশের কাছে সোপর্দ করা হয়।

বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তা শাখার প্রধান কর্মকর্তা সুদীপ্ত শাহীন বলেন, বিকালে খবর পেয়ে নিরাপত্তা শাখার কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে যান। সেখানে ৩৯ ব্যাচের সাবেক ওই ছাত্রকে উদ্ধার করে প্রক্টর অফিসে নিয়ে আসা হয়। পরে তার সঙ্গে কথাবার্তা বলে আগের মামলায় তাকে আশুলিয়া থানা পুলিশে সোপর্দ করা হয়।

গণস্বাস্থ্য সমাজভিত্তিক মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. সেলিমুজ্জামান সেলিম বলেন, আমাদের এখানে যখন আনা হয় তখন আমরা পরীক্ষা করে দেখি তিনি মৃত। অর্থাৎ তাকে আমাদের এখানে মৃত অবস্থায় আনা হয়। তার শরীরে সেরকম গুরুতর কোনো ক্ষত পাওয়া যায়নি৷

আশুলিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. আবু বকর সিদ্দিক বলেন, রাতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন থেকে আমাদের একটি টিম পাঠাতে বলা হয়। পৌনে ৯টার দিকে মারধরের শিকার এক যুবককে উদ্ধার করে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়েছে বলে জেনেছি। প্রাথমিকভাবে মারধরের কারণেই তার মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গেছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পেলে মৃত্যুর কারণ নিশ্চিত হওয়া যাবে।

মেসেঞ্জার/নোমান/আজিজ

×
Nagad