ছবি : মেসেঞ্জার
বান্দরবানের লামা উপজেলা শহরের প্রাণ কেন্দ্রে থাকা শতবর্ষী বাজার পুকুরটি অব্যাহত দূষণ ও দখল থেকে মুক্তি পাচ্ছে। প্রায় দুই যুগ ধরে পুকুরটিকে ময়লা-আবর্জনার ভাগাড় হিসেবে ব্যবহার করত বাজারের এক শ্রেণির ব্যবসায়ী ও দখলবাজরা। দীর্ঘস্থায়ীভাবে দখল করে ভবন নির্মাণের পাঁয়তারাও করছিল একটি মহল।
অবশেষে পুকুরটি রক্ষায় এগিয়ে এসেছে লামা উপজেলা প্রশাসন। সরকারি এ সম্পত্তি রক্ষার জন্য ময়লা-আবর্জনা অপসারণের উদ্যোগ নিয়েছে লামা উপজেলা প্রশাসন। শুক্রবার (২০ সেপ্টেম্বর) পুকুরটি সংস্কার কাজ পরিদর্শন করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার কামরুল হোসেন চৌধুরী।
এসময় স্থানীয় সাংবাদিক, বাজার ব্যবসায়ী, সাধারণ জনগণ ও আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। উপজেলা নির্বাহী অফিসার কামরুল হোসেন চৌধুরী বলেন, লামা বাজারে যদি কোনো ধরনের অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটে তাহলে তা নির্বাপণের কোনো ব্যবস্থা নেই, সবগুলো পুকুর দখল হয়ে গেছে। এই পুকুরটা সংস্কার করা হবে। যাতে করে এখানকার পানি অজু, গোসলসহ বিভিন্ন কাজে মানুষ ব্যবহার করতে পারে। অগ্নি নির্বাপণে পানি যেন কাজে আসে।
স্থানীয় ব্যবসায়ীরা যে পুকুরটাতে ময়লা ফেলে ভাগাড় তৈরি করেছিল, সেই পুকুরকে দেওয়া হবে দৃষ্টিনন্দন রূপ। লামা বাজার ব্যবসায়ী কমিটির সভাপতি আমান উল্লাহ বলেন, দখল ও দূষণের কবলে পড়ে বাজারের একমাত্র পুকুরটি ক্রমশ মজাপুকুরে পরিণত হচ্ছে।
এ অবস্থা থেকে পুকুরটিকে মুক্ত করার উদ্যোগ গ্রহণ করেছে উপজেলা প্রশাসন। এরই অংশ হিসেবে ময়লা আবর্জনায় ভরপুর পুকুরটির সৌন্দর্য ফিরিয়ে আনার জন্যে কাজ শুরু করেছে। আর একাজে সহযোগিতা করে যাচ্ছে লামা পৌরসভা সহ স্থানীয় বাসিন্দারা।
এলাকাবাসীর অভিযোগ,ময়লা আবর্জনা ফেলে নষ্ট করা হয়েছিল লামা বাজারের পুকুরটি। শুধু দুষণ ও দখলের কবলে পড়ে পুকুরটি প্রায় ভরাট হয়ে গেছে। অব্যাহত ভাবে পুকুর ভরাটের কারণে পরিবেশের ভারসাম্য বিনষ্ট হওয়ার পাশাপাশি অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটলে প্রয়োজনীয় পানি সংকটের আশঙ্কা সৃষ্টি করছেন স্থানীয়রা। ফলে জনবসতি ও লামা বাজারের পানি চাহিদা পূরণের স্বার্থে পুকুরটিকে রক্ষায় প্রয়াস গ্রহণ করায় স্থানীয়রা উপজেলা প্রশাসনকে ধন্যবাদ জানান।
মেসেঞ্জার/বিপ্লব/তারেক
