ঢাকা,  রোববার
২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪

The Daily Messenger

‘স্বৈরাচারী সরকার পালিয়ে যাওয়ায় দেশের মানুষ স্বাধীনতার স্বাদ পেয়েছেন’

সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ২১:০৮, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪

‘স্বৈরাচারী সরকার পালিয়ে যাওয়ায় দেশের মানুষ স্বাধীনতার স্বাদ পেয়েছেন’

ছবি : মেসেঞ্জার

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, তীব্র গণ-আন্দোলনের জনরোষ থেকে বাঁচতে দেশ ছেড়ে পালিয়েছে স্বৈরাচারী সরকার শেখ হাসিনা। তার বিদায়ীতে দেশের মানুষ নতুন করে স্বাধীনতার স্বাদ পেয়েছেন। কিন্তু স্বৈরাচারী সরকারের প্রধান পালিয়ে গেলেও তাদের প্রেতাত্মারা এখনো রয়ে গেছে। আমরা যদি ঐক্যবদ্ধ থাকি তাহলে বাংলাদেশের মানুষের যে আশা ও প্রত্যাশা সেই আশা প্রত্যাশা পূরণ করতে সক্ষম হবো।

তারেক রহমান আরও বলেন, আমাদের ঐক্যবদ্ধ থাকার কোনও বিকল্প নেই। আমরা কিছু যুক্তি উপস্থাপন করেছি, কিন্তু এর বাইরেও অনেক কাজ করতে হবে। দেশে রাজনৈতিক মুক্তির পাশাপাশি জনগণের অর্থনৈতিক মুক্তির পথ বের করতে হবে। যদি আমরা জাতিকে ঐক্যবদ্ধভাবে এগিয়ে নিতে পারি তাহলে আমরা অর্থনৈতিকসহ সবদিক থেকেই মুক্তি পেতে সফল হবো।

শনিবার (২১ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় সিরাজগঞ্জের এনায়েতপুর ইসলামিয়া উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে বেলকুচি, চৌহালী ও এনায়েতপুর থানা বিএনপির উদ্যোগে আয়োজিত আন্দোলনে শহীদদের স্মরণে ঐতিহাসিক স্মরণ সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, আমি দেশের বিভিন্ন প্রান্তে গিয়েছি, মূলত বাংলাদেশের মানুষের কাছাকাছি যাওয়ার চেষ্টা করেছি। আজ যারা আছেন এই মানুষগুলোর মধ্যে অনেককেই আমরা হারিয়েছি, অনেকেই শারীরিকভাবে আহত হয়েছেন তাদের সবার আত্মত্যাগের প্রতি আমার গভীর শ্রদ্ধা। স্বৈরাচারকে বিদায় করেছি, অল্প লক্ষ্য পূরণ হয়েছে। সামনে আরও অনেক পথ বাকি আছে। সেই পথও পাড়ি দিতে পারলে, মানুষের ভোটের অধিকারও নিশ্চিত হবে।

সিরাজগঞ্জ-৫ (বেলকুচি, চৌহালী ও এনায়েতপুর) আসনের মানুষের কথা উল্লেখ করে বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেন, আমরা যদি এই এলাকার দিকে তাকাই তাহলে আমরা সম্ভাবনাময় একটি এলাকা দেখতে পাই। সিরাজগঞ্জের নাম আসলেই সামনে ভেসে ওঠে তাঁত শিল্পের কথা।

এই পেশার সাথে অসংখ্য মানুষ জড়িত। আমার ইচ্ছা, বিএনপি আগামীতে সরকার গঠন করলে এই তাঁতশিল্পের পাশে এসে দাঁড়াবে ইনশাআল্লাহ। সারা পৃথিবীর নানান প্রান্তে বাংলাদেশীরা ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে। তাদের মাধ্যমে এই শিল্পকে কীভাবে সারাবিশ্বে ছড়িয়ে দেওয়া যায় সেই চেষ্টা আমরা করব।

তারেক রহমান আরও বলেন, আমরা আজ ঐক্যবদ্ধ হয়েছিলাম যে মানুষগুলো আত্মত্যাগ করেছেন তাদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে। বাংলাদেশের প্রত্যেকটি মানুষ আপনাদের প্রতি তাকিয়ে আছে, তাই দলের প্রত্যেকটি নেতাকর্মীদের সেভাবে প্রস্তুত করতে হবে।

এর আগে, স্মরণসভায় বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্যে বলেন, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান (৭ জানুয়ারির) নির্বাচন বয়কটের সিধ্যান্ত নিয়েছিলেন। এটা দারুণ একটা সিধ্যান্ত ছিল। (৭ জানুয়ারি) নির্বাচনে না যাওয়া নিয়ে অনেকেই সমালোচনা করেছিল। কিন্তু পরে সবাই বুঝতে পেরেছে তারেক রহমানের সেই সিধ্যান্তই সঠিক ছিল।

বৃষ্টির কারণে বক্তব্য সংক্ষিপ্ত করে রিজভী বলেন, শেখ হাসিনা ১৫ বছর ধরে গুম করছে, একের পর এক গুম-খুনের মধ্যে দিয়ে রক্তের বন্যা বইয়ে দিয়েছে। গভীর শ্রদ্ধার সাথে নিহত ও আহতদের স্মরণ করছি। ছাত্র-জনতার আন্দোলনে তরুণদের একটা বড় ভূমিকা আছে। এই ভূমিকায় আছেন তারেক রহমানও। গণ আন্দোলনের জনরোষ থেকে বাঁচতে দেশ ছেড়ে পালিয়েছে স্বৈরাচারী সরকার শেখ হাসিনা।

এনায়েতপুর থানা বিএনপির সদস্য সচিব মনজুরুল ইসলাম মঞ্জুর সঞ্চালনায় ও বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সহ প্রচার সম্পাদক আমিরুল ইসলাম খান আলিমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান বক্তা হিসেবে ভার্চুয়ালি যুক্ত হন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও সাবেক বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু।

এসময় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, জেলা বিএনপির সভাপতি রুমানা মাহমুদ ও সাধারণ সম্পাদক সাইদুর রহমান বাচ্চু প্রমুখ। অনুষ্ঠানে প্রচন্ড বৃষ্টির মধ্যেও বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের হাজারো নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। তারা বৃষ্টিতে ভিজে ভিজেও নানান স্লোগান দিতে থাকেন।

মেসেঞ্জার/রাসেল/তারেক

×
Nagad