ঢাকা,  মঙ্গলবার
২২ অক্টোবর ২০২৪

The Daily Messenger

জন্ম নিবন্ধন কমিশনের টাকা আত্মসাৎ

রিপন ইসলাম শেখ, নীলফামারী

প্রকাশিত: ২০:৪২, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪

জন্ম নিবন্ধন কমিশনের টাকা আত্মসাৎ

ছবি : ডেইলি মেসেঞ্জার

বাংলাদেশ সরকারের সেবার মধ্যে জনভোগান্তি মূলক অন্যতম সেবা জন্ম নিবন্ধন। একটি জন্য নিবন্ধন তৈরীতে খোয়াতে হয় সপ্তাহ কিংবা মাস। দিতে হয় ৩/৪ দিনের শ্রম। ইউনিয়ন পরিষদের সচিবরা একদিকে সরকারী ফি’র চেয়ে নিচ্ছে বেশি মূল্য অন্যদিকে উধ্বতন কর্মকর্তার অজানতে আত্মসাৎ করছে সরকারের রাজস্ব।

একটি অনুসন্ধানে দেখা গেছে, চলিত বছরের জানুয়ারী-জুন মাস পর্যন্ত নীলফামারীর ডিমলা উপজেলার ৯ নং টেপাখড়িবাড়ী ইউনিয়ন পরিষদের ইউনিয়ন পরিষদের প্রশাসনিক কর্মকর্তা মো. মোবাশ্বের আলী ৬০৯ টি সার্টিফিকেট ইস্যু করেন। তার মধ্যে ২০ জন সার্টিফিকেট ধারী কমিশন গ্রহণ করেছে। কিন্তু বিভিন্ন মাধ্যমে দেখা যায় ৬০৯ সার্টিফিকেট এর মধ্যে তিনি ১৩০টি সার্টিফিকেটে কশিমন গ্রহণ করেছেন। ওই উপজেলার ৪ নং খগাখড়িবাড়ী ইউনিয়ন পরিষদে ৬৬১টি সার্টিফিকেটে সংশোধন করেছেন। কশিমন গ্রহণ করেছে এমন সেবা গ্রহিতার সংখ্যা ৩৭ জন।

সার্টিফিকেটে কমিশন গ্রহণকারীর তালিকায় থাকা টেপাখড়িবাড়ী ইউনিয়নের আব্দুর রশিদ জানান, ইউনিয়ন পরিষদে আমার ও আমার বোনের জন্ম নিবন্ধন ডিজিটাল সংশোধনী কপি নেওয়ার জন্য পরিষদের গেলে সেখানে সচিব আমার কাছে ২টা কার্ডের জন্য ৪০০ টাকা নেন। ডিসকাউন্ড গিয়েছে কিনা তা জানিনা। যদি ডিসকাউন্ড দিয়ে থাকে তাহলে আমার কাছে ৪০০ টাকা নিলো কেন? কার্ড দুটির জন্য আমাকে প্রায় ১ মাস ঘুরতে হয়েছে পরিষদে।

সফুরা নামের আরেক সেবা গ্রহিতা জানান, জন্ম নিবন্ধনের ইংরেজি সংযোজন করতে গেলে সচিব আমার কাছে ২শত টাকা নেয়। কমিশন দিয়েছে কিনা তা জানি না।

এছাড়াও আইয়ুব আলী, সালমান হোসেন, মরজিনা বেগম ও ইমরান আলী জানান, জন্ম নিবন্ধন কার্ড তৈরী করতে গেলে দুই তিনদিন হাজিরা দিতে একদিন ইউনিয়ন পরিষদে, সংশোধনের জন্য ইউএনও অফিসে একদিন দিতে হয়। সংশোধন হলে আবার ইউনিয়ন পরিষদে আসতে হয়। সচিব পরিষদে থাকলে কাজ হয়। সচিব পরিষদে না থাকলে আবার পরেরদিন যেতে হয়।

এবিষয়ে টেপাখড়িবাড়ী ইউনিয়ন ও টেপাখড়িবাড়ী ইউনিয়ন পরিষদের প্রশাসনিক কর্মকর্তা মোব্বাশ্বের আলী বলেন, যে অভিযোগ এসেছে তা সঠিক নয়। তগুলো সার্টিফিকেট এ কমিশন দিয়েছি তার প্রত্যেকে কাছে কম টাকা নিয়েছি।

এ ঘটনায় টেপাখড়িবাড়ী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রবিউল ইসলাম সাহিন ও খগাখড়িবাড়ী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলমকে পরিষদের পাওয়া না গেলে মুঠোফোনে একাধিকবার ফোন দিলে কোনো সাড়া পাওয়া যায়নি।

অনিয়মের বিষয়ে ডিমলা উপজেলা নির্বাহী অফিসার উম্মে সালমার কাছে জানতে তিনি বলেন, আপনাকে তথ্য অধিকারের মাধ্যমে তথ্য দিয়েছি। তা ঠিক আছে। অনিয়েমের বিষয়টা জানতে হবে তারপর আপনাকে জানাতে হবে।

মেসেঞ্জার/সজিব