ঢাকা,  বুধবার
০৪ ডিসেম্বর ২০২৪

The Daily Messenger

তিস্তার পানি বিপৎসীমা ছুঁই ছুঁই

মেসেঞ্জার অনলাইন

প্রকাশিত: ১১:০১, ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪

আপডেট: ১১:০৪, ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪

তিস্তার পানি বিপৎসীমা ছুঁই ছুঁই

ছবি : সংগৃহীত

তিস্তার জন্মলগ্ন থেকে খনন না করায় পলি পড়ে ভরাট হয়েছে নদীর তলদেশ। ফলে পানি প্রবাহের পথ না পেয়ে বর্ষাকালে উজানের ঢেউয়ে লালমনিরহাটসহ পাঁচ জেলায় দেখা দেয় ভয়াবহ বন্যা। এ সময় নদী ভাঙনও বেড়ে যায় কয়েকগুণ। এরই মধ্যে ভারী বর্ষণ ও উজানের ঢলে নদীর পানি ক্রমেই বৃদ্ধি পেয়ে তিস্তা ব্যারাজ পয়েন্টে বিপৎসীমা ছুঁই ছুঁই করছে।

প্রতি বছরই নদী পরিবর্তন করছে তার গতিপথ। বর্ষায় ভয়াবহ বন্যায় কিছুটা পানি নেমে যাওয়ার পরপরই তীব্র ভাঙনের মুখে পড়ে নদী পাড়ের মানুষ। তবে এবারের চিত্র ভিন্ন। কয়েকদিনের টানা বৃষ্টিতেই নদীর দুই তীরে ভাঙন দেখা দিয়েছে। এক একটি পরিবার ৮-১০ বার নদী ভাঙনের শিকার হয়ে সরিয়ে নিয়েছেন বসতভিটা। কেউ কেউ রাস্তায় ধারে বা বাঁধের পাশে মানবেতর জীবনযাপন করছেন।

শনিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) সকাল ৯টায় দেশের বৃহত্তম সেচ প্রকল্প তিস্তা ব্যারাজের ডালিয়া পয়েন্টে পানির প্রবাহ রেকর্ড করা হয় ৫২ সেন্টিমিটার। বর্তমানে যা (স্বাভাবিক ৫২ দশমিক ১৫ সেন্টিমিটার) বিপৎসীমার শূন্য দশমিক ১৫ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এর আগে গতকাল শুক্রবার (২৭ সেপ্টেম্বর) সারাদিন বিপৎসীমার শূন্য দশমিক ৩২ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে পানির প্রবাহিত রোর্কড করা হয়েছিল। ভারী বর্ষণ ও উজানের ঢলে তিস্তা নদীর পানি ক্রমেই বৃদ্ধি পেয়ে তিস্তা ব্যারাজ পয়েন্টে বিপৎসীমা ছুঁই ছুঁই করছে। পানির চাপ মোকাবিলায় ব্যারাজের ৪৪টি গেট খুলে দিয়েছে কর্তৃপক্ষ।

এদিকে গত জুন মাস থেকে তিস্তায় পানি বাড়ায় আকস্মিক বন্যায় পানিবন্দি হয়ে পড়েছিলেন জেলার পাঁচ হাজার মানুষ। তবে তিস্তার পানি বিপৎসীমার ওপরে কখনো যায়নি। হঠাৎ পানি বৃদ্ধি পাওয়ার ফলে অনেক উঠতি ফসল ঘরে তুলতে পারেননি চরাঞ্চলের কৃষকরা। পরে সন্ধ্যায় জিওব্যাগ ফেলে ভাঙন নিয়ন্ত্রণ করেন পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তারা।  এছাড়াও আদিতমারী উপজেলার মহিষখোচার কয়েকটি স্থানে পানি ঢুকে পড়েছে।

মেসেঞ্জার/দিশা