নিহতের বাড়িতে উৎসুক জনতার ভিড়। ছবি: মেসেঞ্জার।
জয়পুরহাট সদর উপজেলার নারায়ণ পাড়া গ্রামে প্রেমিকার বিয়ের পর মারুফ হোসেন নামে এক প্রেমিকের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
শনিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) সকালে মারুফ হোসেনের নিজ ঘর থেকে মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। নিহত মারুফ হোসেন (২৫) জয়পুরহাট সদর উপজেলার নারায়ণ পাড়া গ্রামের বাসিন্দা এমদাদুলের ছেলে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, নিহত মারুফ হোসেন শুক্রবার (২৭ সেপ্টেম্বর) রাতে খাবার খেয়ে তার নিজ শয়ন কক্ষে ঘুমিয়ে পড়ে। শনিবার সকালে মারুফের মা নাছিমা আক্তার ঘরের দরজার সামনে গিয়ে তাকে ডাকতে থাকে। পরে কোনো সাড়া না পেয়ে বাড়ির কয়েকজন মিলে ঘরের দরজা ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করে মারুফের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করে।
খবর পেয়ে পুলিশ এসে মরদেহ উদ্ধার করে জয়পুরহাট ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠায়। ধারণা করা হচ্ছে এক মেয়ের সঙ্গে মারুফের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। প্রেমিকার বিয়ে হওয়ায় সে আত্মহত্যা করেছে।
নিহত মারুফের বাবা এমদাদুল বলেন, মারুফ জয়পুরহাট শহরের বিহারিপাড়া এলাকায় একটি ইলেকট্রনিক্সের দোকানে কাজ করত। শুক্রবার রাতে আমরা পরিবারের সবাই একসঙ্গে রাতের খাবার খাই। পরে মারুফ তার নিজ ঘরে ঘুমানোর জন্য যায়। শনিবার সকালে মারুফের মা তাকে ডাক দেয়। অনেক ডাকাডাকি করেও কোনো সাড়া না পেয়ে ঘরের দরজা ভেঙে দেখা যায় মারুফ ঘরের তীরের সঙ্গে গলায় রশি দিয়ে ঝুলে আছে। খবর পেয়ে পুলিশ এসে মরদেহ উদ্ধার করে।
জামালপুর ইউনিয়ন পরিষদের ২নং ওয়ার্ডের সাবেক ইউপি সদস্য সামছুল ইসলাম বলেন, মারুফের সঙ্গে এক মেয়ের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। মেয়েটির অন্যত্র বিয়ের খবরে হয়তো গলায় রশি দিয়ে আত্মহত্যা করেছে মারুফ। ছেলেটি খুব ভালো ছিল।
জয়পুরহাট সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হুমায়ুন কবীর বলেন, সদর উপজেলার নারায়ণ পাড়া এলাকায় মারুফ নামে এক যুবকের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। মরদেহ উদ্ধার করে জয়পুরহাট ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় একটি অপমৃত্যু মামলা হয়েছে। ময়নাতদন্ত শেষে মৃত্যুর আসল কারণ জানা যাবে।
মেসেঞ্জার/রমি/আজিজ