ঢাকা,  শনিবার
২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪

The Daily Messenger

পুলিশ সদস্য ও বাড়িতে স্ত্রীর স্বীকৃতির দাবিতে তরুনির অসশন

পটুয়াখালী প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ২০:০৯, ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪

পুলিশ সদস্য ও বাড়িতে স্ত্রীর স্বীকৃতির দাবিতে তরুনির অসশন

ছবি : মেসেঞ্জার

পটুয়াখালীতে একই তরুনীকে ৩ বার বিয়ে করলেও স্ত্রীর স্বীকৃতি না দেয়ায় পুলিশ কনস্টেবল আসাদুজ্জামানের বড়িতে অনশন করেছে বিথি আক্তার (২৬) নামের এক তরুনী। বিথি আক্তার বরগুনা জেলার বেতাগী পৌরসভার ১নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা মৃত সুলতান হাওলাদারে মেয়ে। শুক্রবার (২৭ সেপ্টেম্বর) সকালে পুলিশ কনস্টেবল আসাদুজ্জামান আসাদ এর বাড়িতে অবস্থান নেয় তিনি। আসাদ পটুয়াখালীর সদর উপজেলার লাউকাঠি ইউনিয়নের ঢেউখালী গ্রামের বাসিন্দা আজিজ মৃধার ছেলে। আসাদ বর্তমানে বরগুনা আদারতে কর্মরত আছেন।

ঘটনাস্থলে গিয়ে পুলিশ কনস্টেবল আসাদের পরিবারে সাথে কথা বলার চেস্টা করলে তারা গনমাধ্যমকর্মীদের কোন কথা বলেননি। পওে গনমাধ্যমকর্মীদের সামনে তরুনীকে হেনস্তা করে আসদেও পরিবারের সদস্যরা। একপর্যায়ে গনমাধ্যমকর্মীদের হুমকি-ধামকি দেয় আসাদের পরিবার।

পরে বসতঘরে মালামাল অগোছালো করে গনমাধ্যমকর্মীদেওর দ্বারা হামলার দায় চাপাতে গেলে স্থানীয়দের রোসানলে পুনরায় তারা গুছিয়ে নেয়। এদিকে ওই তরুনী আসাদেও বাড়ির সামনে সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত অবস্থান করলে বিকেলে তাকে বেধরক মারধর করা হয়। পরে স্থানীয় মেম্বার মো. নেছার উদ্দিন তালুকদার ও চৌকিদার মো. দুলাল হাওলাদারের সহায়তায় বিথিকে পটুয়াখালী ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালে ভর্তী করা হয়।

অনশনরত তরুনী বিথি জানায়, ২০১৯ সালে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে পরিচয় হয় আসাদের সাথে। বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে একাধিকবার শারিরীক সর্ম্পক করে আসাদ। পরে ৩ বছরে আমাকে ২বার তালাক এবং ৩ বার বিয়ে করে।

শেষবার চলতি মাসের ১৮ তারিখ কুয়াকাটায় বসে আমাকে বিবাহ করলেও আমাকে ওখানে রেখে চলে আসে। আমি আজ স্ত্রীর স্বীকৃতি চাইতে এওে আমকে দেখে আসাদেও পরিবার বাসার দরজা বন্ধ করে রাখে।

জানা যায়, দীর্ঘদিন ধরে বিথি আক্তারের সাথে অনৈতিক সর্ম্পক কওে আসলেও তাকে বিবাহ করতে রাজি ছিলেন না পুলিশ সদস্য আসাদ। পরে ২০২১ সারের (৬ জুন) প্রথম বিয়ে করেন আসাদ, এরপরে ২০২৩ সালের (৮ ফেব্রুয়ারি) ও চলতি মাসের ১৮ তারিখ কুয়াকাটায় বিবাহ হয় তাদের।

এবিষয় কনস্টেবল আসাদের মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করলেও তাকে পাওয়া যায়নি। এবিষয়ে পটুয়াখালী সদর থানার অফিসার মো. জসিম বলেন আপনার সাংবাদিকতার থেকে পারসোনার রিলেশন ভালো আপনি সাহায্য করেন।  তিনি ঘটনাস্থলে কোন পুলিশ পাঠাননি।

মেসেঞ্জার/মানিক/তারেক

×
Nagad